জেনে নিন গরুর দুধ সম্পর্কিত কিছু মিথ এবং সত্য - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Tuesday, 29 October 2024

জেনে নিন গরুর দুধ সম্পর্কিত কিছু মিথ এবং সত্য


প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,২৯ অক্টোবর: গরুর দুধ অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টিতে সমৃদ্ধ।তাই এটি সম্পর্কিত কিছু মিথের পিছনের সত্যটি আমাদের জানা গুরুত্বপূর্ণ।

ছোটবেলা থেকেই আমরা সবাই শুনে আসছি যে দুধ পান করা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী এবং গুরুত্বপূর্ণ।  বাজারে দুই ধরনের দুধ বিক্রি হয়- গরুর দুধ এবং মহিষের দুধ।  প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য মহিষের দুধ হজম করা সাধারণ নয়,তাই বেশিরভাগ লোকেরা পানের জন্য গরুর দুধ ব্যবহার করে।  গরুর দুধ সহজপাচ্য এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর।কিন্তু গরুর দুধ নিয়ে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে আছে নানা মিথ,যা মানুষ সহজেই বিশ্বাস করে।এমন পরিস্থিতিতে আসুন জেনে নেই অন্ত্রের হরমোন বিশেষজ্ঞ এবং আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক অলকা বিজয়নের কাছ থেকে গরুর দুধ সম্পর্কিত কিছু মিথ ও সত্য।

মিথ ১: দুধে অত্যধিক চর্বি থাকে,যা অনেক রোগের কারণ

সত্য: দুধে শুধু চর্বিই নয়,৮৭.৭% জল,৪.৯% ল্যাকটোজ (কার্বোহাইড্রেট),৩.৪% চর্বি,৩.৩% প্রোটিন এবং ০.৭% খনিজ পদার্থ রয়েছে।অতিরিক্ত চর্বি অনেক রোগের কারণ হতে পারে, শুধুমাত্র যদি কারও ধীর বিপাক বা ল্যাকটোজ সংবেদনশীলতা থাকে।আমাদের মস্তিষ্ক ৭০% চর্বি দ্বারা গঠিত।আমাদের অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলি চর্বির স্তরের ভিতরে ভালোভাবে সুরক্ষিত, তাই চর্বি বেশিরভাগ রোগের জন্য দায়ী হতে পারে না। 

মিথ ২: দুধে অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে,যা হাড় থেকে ক্যালসিয়াম অপসারণ করতে পারে

সত্য: অ্যামিনো অ্যাসিড হল প্রোটিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস, যা মানবদেহের বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য অপরিহার্য।উপরন্তু,দুধে সামান্য অম্লতা আছে এবং তাই ক্ষয়কারী নয়।কিন্তু,এটি আসলে ধোসা,ইডলি,গাঁজানো চালের মতো অম্লীয় নয়।দুধ ক্যালসিয়ামের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস।বুকের দুধ শিশুর সেরা খাদ্য,তবে পরবর্তী জীবনে দুধ এড়িয়ে চললে হাড়ের ভর কম হতে পারে। 

মিথ ৩: দুগ্ধজাত খাবার খেলে অস্টিওপরোসিস হতে পারে

সত্য: না,দুগ্ধজাত দ্রব্য খাওয়া আসলে অস্টিওপরোসিস সৃষ্টি করে না।বরং দুধ এবং দুগ্ধজাত দ্রব্য ধারণকারী খাদ্য গ্রহণ অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসাবে বিবেচিত হয়।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad