'মিশন ৪০' দিয়ে মহারাষ্ট্রে খেলা ঘোরানোর‌ চেষ্টা! - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday, 11 October 2024

'মিশন ৪০' দিয়ে মহারাষ্ট্রে খেলা ঘোরানোর‌ চেষ্টা!


প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১১ অক্টোবর: মহারাষ্ট্রের এনডিএ সরকার বৃহস্পতিবার দুটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একদিকে রাজ্য তফসিলি জাতি কমিশনকে সাংবিধানিক মর্যাদা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারকে ওবিসি ক্রিমি লেয়ারের সীমা ১৫ লক্ষ টাকা করার সুপারিশ করেছে। বর্তমানে এই সীমা মাত্র ৮ লক্ষ টাকা। কেন্দ্রীয় অনগ্রসর শ্রেণী কমিশন দ্বারা একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যার অধীনে মহারাষ্ট্রের ১৯টি ওবিসি জাতি এবং উপ-জাতিকে কেন্দ্রের অনগ্রসর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই জাতিগুলির মধ্যে রয়েছে গুর্জার, লোধ, ডাংরি, ভোয়ার ইত্যাদি।


এই সিদ্ধান্তগুলি থেকে কত জাতি উপকৃত হবে তা আলাদা অধ্যয়নের বিষয় হতে পারে। তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন সরকারের এই সিদ্ধান্ত নির্বাচনী সমীকরণ পাল্টে দিতে পারে। আগামী মাসে রাজ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি রয়েছে এবং আগামী সপ্তাহে যে কোনও সময় নির্বাচন ঘোষণা করা হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে, কেন্দ্রীয় তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ১৯ ওবিসি বর্ণের সংখ্যা এমন যে তারা প্রায় ৩০ টি আসনে নির্বাচনী ফলাফল পরিবর্তন করতে পারে। একইভাবে, এমন প্রায় ডজনখানেক আসন রয়েছে, যেখানে দলিত সম্প্রদায়ের লোকের সংখ্যা এত বেশি যে তারা নির্বাচনী ধারা পরিবর্তন করতে পারে।


এই সমস্ত সমীকরণ মাথায় রেখেই 'মিশন ৪০'-এর পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। বিজেপি, শিবসেনা এবং এনসিপি-র জোট মনে করছে এই সিদ্ধান্তগুলির মাধ্যমে তাঁরা রাজ্যের সমীকরণ পরিবর্তন করতে সফল হবেন। এই সিদ্ধান্তের একটি বড় কারণ হল গত কয়েক বছর ধরে রাজ্যে মারাঠা আন্দোলন চলছে। মনোজ জারাঙ্গে পাটিলের নেতৃত্বে মারাঠা সংরক্ষণের জন্য বহুবার আন্দোলন হয়েছে এবং আবারও আলোচনা তীব্র হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, রাজ্যে মারাঠা জনসংখ্যা প্রায় ৩০ শতাংশ। তাঁদের একটা বড় অংশ যদি সরকারের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়, তাহলে লোকসান নিশ্চিত।


এমন পরিস্থিতি টের পেয়ে বিজেপি, একনাথ শিন্ডের শিবসেনা এবং অজিত পাওয়ারের এনসিপি ইতিমধ্যেই সতর্ক রয়েছে। তিনটি দলই মারাঠা আন্দোলনকে মোকাবেলা করতে ওবিসি এবং এসসি শ্রেণীকে আকৃষ্ট করতে চায়। এ ছাড়া টিকিট বণ্টনে যেসব এলাকায় মারাঠা সংখ্যাগরিষ্ঠ সেখানে তাঁদের অগ্রাধিকার দিয়ে ক্ষোভ কমানোর চেষ্টা করা হবে। একভাবে, এই কৌশলটি হরিয়ানার মতোই। সেখানেও, বিজেপি জাটদের মধ্যে ক্ষোভ কমানোর জন্য গুর্জার, কাশ্যপ, সাইনি, কুমহার, স্বর্ণকার ইত্যাদি অন্যান্য ওবিসি জাতিকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেছিল।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad