প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১২ অক্টোবর : সংঘের বিজয়াদশমী (দশেরা) সমাবেশে হিন্দুদের নিয়ে বড় কথা বললেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রধান মোহন ভাগবত। তিনি বলেন, "হিন্দুদের সংগঠিত ও শক্তিশালী থাকতে হবে। দুর্বল হওয়া অপরাধ। সমাজে বিভেদ ও বিবাদ থাকা উচিত নয়। আমাদের দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বে ভারতের সুনাম তৈরি হয়েছে। ভারতের বৈচিত্র্যই ভারতের শক্তি। ভারতের অগ্রগতিতে কিছু লোকের সমস্যা আছে।"
তিনি বলেন, "বাংলাদেশে হিন্দুদের নির্যাতন করা হচ্ছে। সেখানে সংখ্যালঘুদের ওপর বিপদের খড়গ ঝুলছে। বাংলাদেশে, প্রথমবারের মতো, হিন্দু সম্প্রদায় আত্মরক্ষার জন্য ঘর থেকে বেরিয়েছিল, তাই কিছুটা সুরক্ষা ছিল। বিশৃঙ্খল ও দুর্বল থাকা মানে দুষ্টদের নৃশংসতাকে আমন্ত্রণ জানানো। সারা বিশ্বের হিন্দু সমাজের এটা বোঝা উচিত। হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ থাকা খুবই জরুরি।"
এ সময় মোহন ভাগবত কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলা এবং ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের মতো অনেক বিষয় নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, "অপরাধ ও রাজনীতির মিশ্রণে আরজি কর ঘটনা ঘটেছে। দুর্বল ও অগোছালো হওয়া অপরাধ। বাংলাদেশ কে বিভ্রান্ত করছে সবাই জানে। আমরা এই সংকেত পেয়েছি। গণেশ বিসর্জনে পাথর ছোড়া হয়।"
তিনি বলেন, "গুন্ডামি চলতে দেওয়া উচিত নয়। আমাদের নিজেদের রক্ষা করার জন্য সতর্ক হওয়া উচিত এবং এটি আমাদের অধিকারও। সারা বিশ্বের হিন্দুদের ভারত সরকারের সাহায্য পাওয়া উচিত। বাংলায় অপরাধীদের সুরক্ষা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। অসন্তোষের নামে অশান্তি সৃষ্টি করা অন্যায়। মৌলবাদকে উস্কে দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হয়। একজনের ভুলের জন্য পুরো সমাজকে দায়ী করা অন্যায়।"
তিনি বলেন যে, "বাংলাদেশে একটি আলোচনা চলছে যে আমরা ভারতের থেকে বিপদে আছি এবং তাই আমাদের পাকিস্তানকে সমর্থন করতে হবে কারণ তাদের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। আমরা ভারতকে থামাতে পারি। যে বাংলাদেশ গড়তে ভারত সাহায্য করেছিল, তার প্রতি ভারতের কোনও শত্রুতা ছিল না এবং ভবিষ্যতেও থাকবে না। ওখানে এই ধরনের আখ্যান চালাচ্ছে কারা? আমাদের তাদের নাম নেওয়ার দরকার নেই। তিনি চান ভারতেও এটা হোক কারণ ভারত বড় হলে স্বার্থপরতার দোকান বন্ধ হয়ে যাবে।"
No comments:
Post a Comment