প্রদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা, ৪ অক্টোবর: দক্ষিণ কোরিয়া বিশ্বের একটি দেশ, যে দেশের আইন যেমন ভিন্ন, তেমনি সেখানকার মানুষের চিন্তাভাবনাও অন্যরকমের। বেশ কয়েক বছর ধরেই দেশটি জনসংখ্যা কমার খবরের জন্য শিরোনামে এসেছে। এই দেশে জন্মহার ভীষণভাবে কমে যাচ্ছে। ২০২২ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার জন্মহার নেমে গিয়েছিল ০. ৭৮ শতাংশে। যা পুরো বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে কম। দেশটির নারীদের মধ্যে সন্তান ধরনের প্রবণতা কমছে। আর এর জন্যই জন্মহার একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে।
তবে সন্তানের চেয়ে পোষ্যদের দেখাশোনার প্রবণতা এই দেশে বেড়েছে। সম্প্রতি জিমার্কেট নামের একটি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম থেকে জানা গেছে, ২০২৩ সালে পোষ্যদের জন্য যেখানে ৫৭ শতাংশ স্ট্রোলার বিক্রি হয়েছে সেখানে শিশুদের জন্য স্ট্রোলার বিক্রি হয়েছে মাত্র ৪৩ শতাংশ।
২০১২ সালে যেখানে ৩৬ লাখ পরিবারে পোষ্য ছিল সেখানে ২০২২ সালে সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০ লাখে। আর এই কারণেই নিম্ন জন্মহারতে 'ন্যাশনাল এমার্জেন্সি' হিসেবে ঘোষণা করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইয়েল।
জন্মহার বাড়াতে বিভিন্ন পরিকল্পনাও করেছে সে দেশের সরকার। বিভিন্ন স্কিমের ঘোষণা করেছে দেশের সরকার। সন্তান নিলে যুগলদের আর্থিক সাহায্য, করছাড়ের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। কিন্তু তাতেও যে পরিস্থিতি খুব একটা বদলেছে, এমন নয়। জন্মহারের পাশাপাশি দক্ষিণ কোরিয়ায় বিয়ের প্রবণতাও কমেছে। যা নিয়ে উদ্বেগে আছে সে দেশের প্রশাসন।
No comments:
Post a Comment