প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১২ অক্টোবর: পুজোর মধ্যেই বর্বরতার শিকার যুবতী। শুক্রবার সকালে দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লীর সরাই কালে খানে এক যুবতীকে ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় যুবতীকে এইমস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পথচারীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ এসে পৌঁছায় এবং ওই যুবতীকে উদ্ধার করে। এরপর ডাক্তারি পরীক্ষার পর ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে। যুবতীর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়নি।
পুলিশ ডিডি এন্ট্রিতে ধর্ষণের মামলা নথিভুক্ত করেছে এবং যুবতীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অভিযুক্তদের সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছে। পুলিশ আধিকারিক জানান, শুক্রবার সকালে এক পথচারী আহত অবস্থায় যুবতী পড়ে থাকার কথা পুলিশকে জানায়। পিসিআর টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং পুলিশ কর্মীরা যুবতীকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায়, যুবতীর গোপনাঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছে।
তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই যুবতী মূলত ওড়িশার বাসিন্দা। প্রায় এক বছর আগে তিনি তাঁর পরিবারকে না জানিয়ে দিল্লী চলে আসেন। প্রায় দুই মাস আগে কাটোয়ারিয়া সরাই থেকে তাকে খুঁজে পায় পুলিশ। এরপর তাঁর পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হলেও তিনি তাঁর পরিবারের সঙ্গে যায়নি। পরে তার মোবাইল হারিয়ে বা চুরি হয়ে যায়। এরপর না তো তিনি পুলিশের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন, না পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তাঁর। কখনও এটিএমের বাইরে আবার কখনও অন্য কোথাও ঘুমাতেন।
শুক্রবার সকালে তাকে সরাই কালে খানে আহত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিক তদন্তে এটি ধর্ষণের ঘটনা বলে মনে হচ্ছে। যদিও তাঁকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত মনে হচ্ছিল। এমনকি পুলিশকে ঘটনাটি জানাতেও সহযোগিতা করছেন না তিনি। টিওআই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতীয় নৌবাহিনীর এক আধিকারিক ভোর ৩.২০ মিনিটে পুলিশকে এই ঘটনার কথা জানান, যিনি রক্তমাখা পোশাকে যুবতীকে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেতে দেখেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে স্থানীয় পুলিশ। তাঁরা দেখতে পান ওই যুবতীর পরনে একটি ছেঁড়া কুর্তি এবং তার নিচের অংশে এক টুকরো কাপড়।
No comments:
Post a Comment