প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৯ অক্টোবর : পশ্চিম উত্তর প্রদেশের হাপুড় জেলার সদরপুর গ্রাম বর্তমানে তুমুল আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। কারণ এখানে কীভাবে সাপ দেখা যায় তা রহস্যের বিষয়। এর সমাধানে বনবিভাগ, সর্পপ্রেমিক ও গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে নানা প্রচেষ্টা চালানো হলেও এখন পর্যন্ত কোনও সফলতা না পাওয়ায় গ্রামবাসীরা আতঙ্কের ছায়ায় প্রতিদিন কাজ না করে সাপ খোঁজে ব্যস্ত।
প্রসঙ্গত, হাপুড় সদরপুর গ্রামে গত কয়েকদিন ধরে সাপের আতঙ্কে আতঙ্ক বিরাজ করছে। কারণ এখানে সাপের কামড়ে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এর পাশাপাশি আরও দুইজনকে সাপে কামড়েছে। তাৎক্ষণিক চিকিৎসায় তার জীবন রক্ষা পেলেও এরপর থেকে সাপের ভয়ে মানুষ আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে যেতে শুরু করে।
সদরপুরের বাসিন্দা মনোজ জানান, ২০শে অক্টোবর প্রথম সাপ ধরার ঘটনা ঘটে। যেখানে একটি গ্রামের পরিবারের এক মহিলা তার দুই সন্তানকে নিয়ে ঘুমাচ্ছিলেন। এরপর হঠাৎ সাপটি তিনজনকেই কামড় দেয়। সাপে কামড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে শিশুরা চিৎকার করে ওঠে। এতে তার মাও জেগে উঠলে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এরপর তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও দেরি হওয়ায় তার জীবন বাঁচানো যায়নি। এরপর ২১ অক্টোবর একই গ্রামের এক পুরুষ ও ২২ অক্টোবর এক নারীকেও সাপে কামড়েছে। তবে সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যেখানে তার জীবন রক্ষা পায়।
ঘটনার পর থেকে বন বিভাগের টিম ক্রমাগত চিরুনি অভিযান চালালেও এখনও সফল হয়নি। একইভাবে, এখন মীরাট থেকেও ডাকা হয়েছে সর্পপ্রেমীদের একটি দল। কে যেন বাঁশি বাজিয়ে সেই সাপকে খুঁজছে অবিরাম। গ্রামবাসীর অভিযোগ, বিনের সুরে নাচতে নাচতে অন্য সাপ বেরিয়ে আসছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত সেই সাপটির দেখা মেলেনি। যার কারণে এ গ্রামের কোথাও কোথাও এখন নানা ধরনের আলোচনা চলছে। যা চলচ্চিত্র ভিত্তিক নাগিনের প্রতিশোধের সাথে সম্পর্কিত বলে মনে করা হচ্ছে।
হাপুড়ের ডিএফও প্রমোদ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, বন দফতরের দল সাপটিকে উদ্ধার করে ক্রমাগত তল্লাশি চালাচ্ছে। এর জন্য মীরাট থেকেও ডাকা হয়েছে সর্পপ্রেমীদের একটি দল, যারা নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। জানিয়ে রাখি, বর্তমানে সাপে কাটার অনেক ঘটনাই ঘটছে। একই সঙ্গে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাপের কামড় সংক্রান্ত কোনও ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জেলা হাসপাতাল বা সিএইচসি পিএইচসিতে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হবে। কারণ সময়মতো চিকিৎসা একজন মানুষের জীবন বাঁচাতে পারে।
No comments:
Post a Comment