প্রদূষণ হয়ে উঠেছে মৃত্যুর কারণ - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Sunday, 6 October 2024

প্রদূষণ হয়ে উঠেছে মৃত্যুর কারণ


প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,৬ অক্টোবর: বর্তমানে ক্যানসার,হার্ট অ্যাটাকের মতো রোগ খুবই সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।কিন্তু এই সবের মধ্যে এমন একটি রোগ রয়েছে,যা ধীরে ধীরে আপনাকে আক্রমণ করে আপনার মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।এই রোগের ক্রমবর্ধমান পরিধির মধ্যে বায়ু দূষণও মানুষকে প্রভাবিত করছে যা মৃত্যু ঘটাচ্ছে।এটি ধীরে ধীরে শরীরের ক্ষতি করে।বায়ু দূষণ সিওপিডির মতো রোগের কারণ হয়।এই রোগটি ফুসফুসের ক্ষতি করে এবং ধীরে ধীরে শরীরের অবনতি ঘটায়।এজন্য একে নীরব ঘাতকও বলা হয়।বায়ু দূষণে প্রতিবছর মানুষ মারা যাচ্ছে।বেঙ্গালুরু থেকে একটি চমকপ্রদ পরিসংখ্যান উঠে এসেছে।বলা হয়েছে যে বেঙ্গালুরুতে মৃত্যুর এক তৃতীয়াংশ ঘটছে বায়ু দূষণের কারণে।সেখানে করা এক গবেষণায় জানা গেছে বায়ু দূষণের কারণে শহরে বসবাসকারী মানুষের আয়ু কমছে এবং এই বিষাক্ত বাতাসের কারণে মানুষ অকালে মারা যাচ্ছে।

বায়ু দূষণের কারণে মানুষের ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে - এখানকার বেশির ভাগ শহুরে মানুষ সকালের হাঁটা বা জিম দিয়ে দিন শুরু করে এবং ডায়েট ফুড দিয়েই দিন শেষ করে। কিন্তু এত কিছুর পরেও তারা এই বিষাক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে বাধ্য হয় যা তাদের ফুসফুসকে নষ্ট করে দিচ্ছে।এই কারণেই বায়ু দূষণের কারণে সেখানকার ৩৫ শতাংশেরও বেশি মানুষ ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজে আক্রান্ত হচ্ছে, এটি ফুসফুস সংক্রান্ত একটি গুরুতর সমস্যা।

কীভাবে দূষণ মৃত্যু ঘটায় -

হার্ট অ্যাটাক ও ক্যান্সারের পর ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ অর্থাৎ সিওপিডি দেশের মানুষের জীবন কেড়ে নিচ্ছে।গত কয়েক বছরে দূষণের কারণে ৩৫ শতাংশ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে এবং মৃত্যুও এক-তৃতীয়াংশ বেড়েছে।বেঙ্গালুরুতে বসবাসকারী প্রতি শতাধিক মানুষের মধ্যে ৩০ জন এই রোগের শিকার হচ্ছেন।দূষণের কারণে সিপিওডি রোগ হচ্ছে এবং এই রোগ মানুষের মৃত্যু ঘটাচ্ছে।

দিল্লির মুলচাঁদ হাসপাতালের পালমোনারি বিভাগে ডাঃ ভগওয়ানা মন্ত্রী ব্যাখ্যা করেন যে COPD হল ফুসফুসের সাথে সম্পর্কিত একটি রোগ,যেখানে দূষণ বা অন্যান্য কারণে শ্বাসনালী বা ফুসফুসের অনেক অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।যার কারণে শ্বাসনালী বন্ধ হয়ে যায় এবং ব্যক্তির পক্ষে শ্বাস নিতেও অসুবিধা হয়।দীর্ঘদিন দূষণের কারণে এই রোগ হয়।এই রোগের কারণে রোগীর ক্রমাগত কাশি হতে থাকে এবং শ্বাসনালীতে শ্লেষ্মা জমে থাকে।এই কারণে শ্বাস নিতে কষ্ট হয় এবং বুক ধড়ফড় শুরু হয়।দীর্ঘ সময় ধরে শ্বাস নিতে অসুবিধা হলে তা ফুসফুস ও হৃদপিণ্ড উভয়কেই প্রভাবিত করে এবং মারাত্মক ফুসফুস ও হার্ট ফেইলিউরের ঝুঁকি থাকে,যা মৃত্যু ঘটায়।

সিওপিডির লক্ষণ -

অবিরাম কাশি।

কাশি সহ কফ।

বুকে ভারি অনুভূতি।

শ্বাস নিতে সমস্যা।

বুকে শ্বাসকষ্টের অনুভূতি।

ত্বকে নীলচে বিবর্ণতা।

অত্যন্ত ক্লান্ত বোধ করা।

ঘন ঘন ফুসফুসে সংক্রমণ।

দ্রুত ওজন হ্রাস।

COPD এর কারণ -

বায়ু দূষণ।

ধূমপান।

তামাক খাওয়া।

ধোঁয়াযুক্ত বা রাসায়নিক কারখানায় কাজ করা।

COPD এর চিকিৎসা কী?

সিওপিডি সম্পূর্ণরূপে চিকিৎসা করা যায় না,তবে এটি নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।আপনার যদি ক্রমাগত কাশি এবং COPD- এর অন্যান্য উপসর্গ থাকে তবে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।ডাক্তার বুকের এক্স-রে সহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা করতে পারেন এবং এর চিকিৎসায় একটু বেশি সময় লাগতে পারে।এই উপসর্গগুলি উপেক্ষা করলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।এমনকি আপনার জীবনও নষ্ট হতে পারে।তাই দেরি না করে একজন ফুসফুসের ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।নিজে থেকে কাশি ও শ্লেষ্মার জন্য ওষুধ খাবেন না।নিজে থেকে ওষুধ খেলে শ্লেষ্মা বের হওয়ার পরিবর্তে বুকে জমে যাবে,যা ভবিষ্যতে আরও সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।তাই দেরি না করে বুকের এক্স-রে করিয়ে নিন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad