প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ২৭ অক্টোবর: স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের ক্ষেত্রে হাসি-ঠাট্টা গুরুত্বপূর্ণ। এটি সম্পর্ককে শক্তিশালী করে, কিন্তু এই রসিকতা কি ব্যঙ্গের রূপ নিচ্ছে? এর উত্তর কিন্তু আপনাকেই খুঁজতে হবে। আর উত্তর যদি হ্যাঁ হয়, তবে সেই রসিকতায় লাগাম পরাতে হবে, নাহলে সুমিষ্ট সম্পর্কও হয়ে উঠবে বিষাক্ত।
সম্পর্কের ক্ষেত্রে হাসি-ঠাট্টার গুরুত্ব অনেক, কারণ এটি সম্পর্কের দূরত্ব কমায়। কিন্তু কখনও কখনও এই রসিকতা বা হাসাহাসির ফলে ভুল বোঝাবুঝিও হতে পারে, বিশেষ করে যখন একজন সঙ্গী মানসিকভাবে দুর্বল বোধ করেন। রসিকতা একটি অনুভূতি, যার অনেক অর্থ রয়েছে। তাই কাউকে অপমান করা, কারও অসহায়ত্ব নিয়ে ঠাট্টা করা বা নিজের ইচ্ছানুযায়ী কাউকে ঠাট্টা করা কখনই হাসির কারণ হতে পারে না।
বিবাদ নয়
প্রায়শই আমরা আমাদের আশেপাশে এমন লোকদের দেখি, যারা যে কোনও উপায়ে তাদের মতামত প্রকাশ করে এবং যখন অন্য ব্যক্তির খারাপ লাগে তখন তারা এটিকে রসিকতা বলে। সর্বদা মনে রাখবেন কৌতুক যেন এমন হয় যাতে বক্তা ও শ্রোতা উভয়েই হাসেন। এটা যেন না হয় যে, অন্য ব্যক্তি কষ্ট পাচ্ছে। এমনটা হলে সম্পর্কের মধ্যে ফাটল সৃষ্টি হয় এবং রসিকতা বিবাদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
ব্যক্তিগত আক্রমণ নয়
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক শুধুমাত্র হাস্যরসের ওপর ভিত্তি করে নয়, একে অপরকে বোঝার ওপরেও নির্ভরশীল। এমন পরিস্থিতিতে অনেক কিছুই ব্যক্তিগত আক্রমণ বলে মনে হয়, তাই সময় ও স্থানের প্রতি খেয়াল রাখা উচিৎ।
সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে মজা নয়
কখনও কখনও কৌতুক এমন জিনিসগুলির ওপর হয় যা ব্যক্তির কাছে সংবেদনশীল বা ব্যক্তিগত, যেমন বাবা-মা, ভাইবোন বা কাছের কেউ। একবার দু'বার ঠিক আছে কিন্তু এসব নিয়ে বারবার বললে বচসা তৈরি হয়, যা সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এছাড়া এতে সঙ্গী আহত হয় এবং এই বচসা ঝগড়ার রূপ নিতে পারে। তাই এটা মাথায় রাখুন।
পরিষ্কার এবং সৎ যোগাযোগ
যে কোনও সম্পর্কের মধ্যে যোগাযোগ যত স্পষ্ট এবং সৎ হবে, সেই সম্পর্ক তত ভালো হবে। অতএব, যে বিষয়গুলি আপনাকে বিরক্ত করে সেগুলি সম্পর্কে খোলাখুলিভাবে কথা বলুন, তবে সেগুলি নিয়ে বৃত্তাকারে বা কৌতুকের আড়ালে কথা বলবেন না। আপনার দুজনের মধ্যে এই প্রেমময় বন্ধনে, হাসি এবং কৌতুক সম্পর্ককে শক্তিশালী করার জন্য থাকা উচিঊ, জিনিস বা অনুভূতি ঢাকতে নয়।
No comments:
Post a Comment