প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,৩১ অক্টোবর: আজকাল সবাই শুষ্ক কাশিতে ভুগছে।একটানা কাশির কারণে শুধু গলায় আঁচড় পড়ে না,মাঝে মাঝে বুকে ব্যথার সমস্যায়ও পড়তে হয়।আপনিও যদি আজকাল একইরকম পরিস্থিতিতে থাকেন তবে চিন্তা করবেন না।আজ এখানে আমরা কিছু সহজ এবং কার্যকর ঘরোয়া প্রতিকার নিয়ে এসেছি যা আপনাকে এই সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি দিতে পারে।
শীতের মরসুমের আগমনের সাথে সাথে কাশি একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।হালকা ঠাণ্ডা লাগার পরও অনেকে কাশি ও সর্দিতে সমস্যায় পড়েন।শুকনো কাশির কারণে গলা ব্যথা হয় এবং খাওয়া-দাওয়া করতে অসুবিধা হয়।শুধু তাই নয়,ঘন ঘন কাশি ঘুমও নষ্ট করে।কাশির সিরাপগুলিও সবসময় কার্যকর হয় না এবং এগুলো অতিরিক্ত খাওয়া স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।এমন পরিস্থিতিতে,আজ আমরা এমনই ৫টি কার্যকর ঘরোয়া প্রতিকারের কথা বলব,যেগুলো অবলম্বন করে কাশি এবং সর্দি থেকে তাৎক্ষণিক মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।চলুন জেনে নেওয়া যাক।
গোলমরিচ এবং মধু -
১ চামচ মধুর সঙ্গে ১-২টি গোলমরিচ মিশিয়ে দিনে দুবার চিবিয়ে খেলে গলার ব্যাকটেরিয়া মারা যায় এবং বুকের শ্লেষ্মাও পরিষ্কার হয়।এই সহজ প্রতিকারের সাহায্যে আপনি গলা ব্যথা এবং শুকনো কাশির সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে পারেন।
গরম জলে গার্গল -
গরম জলে লবণ মিশিয়ে দিনে ৪-৫ বার গার্গল করলে গলার জ্বালা কমে যায় এবং কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।গলায় জমে থাকা শ্লেষ্মা দূর করতে এই ঘরোয়া প্রতিকার গ্রহণের পরামর্শ দিয়ে আসছেন প্রবীণরা।
আদা -
আদার মধ্যে রয়েছে প্রদাহ বিরোধী গুণ,যা গলার ফোলাভাব কমায়।ক্রমাগত শুষ্ক কাশি থেকে মুক্তি পেতে আপনি আদা চা পান করতে পারেন বা কাঁচা আদা চিবিয়েও খেতে পারেন।
মধু এবং লেবু -
মধু এবং লেবু উভয়ই শুকনো কাশি থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে।এর জন্য লেবুর রসের সঙ্গে ১ চামচ মধু মিশিয়ে দিনে ৪-৫ বার খেতে পারেন।এতে কোনও ক্ষতি নেই,শুধু উপকারিতা আছে।
হলুদ-দুধ -
হলুদে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য,যা শুষ্ক কাশি এবং সর্দিতে খুবই উপকারী।রাতে ঘুমানোর আগে হালকা গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে পান করলে গলা ব্যথা ও কাশির সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
বি.দ্র: এই বিষয়বস্তু,পরামর্শ সহ, শুধুমাত্র সাধারণ তথ্য প্রদান করে।এটা কোনওভাবেই যোগ্য চিকিৎসা মতামতের বিকল্প নয়। আরও তথ্যের জন্য সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞ বা আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। প্রেসকার্ড নিউজ এর দায় স্বীকার করে না।
No comments:
Post a Comment