প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ২৭ অক্টোবর: আজকাল বাজারে তাজা ফুলকপি আসতে শুরু করেছে। ফুলকপি অনেক ভিটামিন সমৃদ্ধ এবং স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। ফুলকপিতে এমন পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ফুলকপিতে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন বি- এর মতো পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। তবে প্রতিদিন ফুলকপি খেলে কিছু মানুষের সমস্যা হতে পারে। এ কারণে ফুলকপি খেতে নিষেধ করা হয়। ফুলকপি খেলে পেট ফাঁপা, গ্যাস এবং অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা হতে পারে। জেনে নেওয়া যাক কোন কোন মানুষের ফুলকপি খাওয়া উচিৎ নয়?
গ্যাস এবং ফোলার সমস্যা - যাদের খাদ্যাভ্যাসের কারণে প্রায়ই গ্যাস এবং অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকে, তাদের উচিৎ ফুলকপি কম খাওয়া। ফুলকপিতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, যা হজমের সমস্যা বাড়াতে পারে। ফুলকপির সবজি বা পরোঠা খাওয়ার পর গ্যাস ও ফোলার সমস্যায় পড়তে পারেন। তাই ফুলকপি না খাওয়াই ভালো।
থাইরয়েড খাবেন না ফুলকপি- থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে ফুলকপি খাবেন না। এতে আপনার সমস্যা বাড়তে পারে। ফুলকপি খাওয়ার ফলে থাইরয়েড গ্রন্থির আয়োডিন ব্যবহারের ক্ষমতা কমে যায়। এতে সমস্যা হতে পারে। ফুলকপি বিশেষ করে টি-থ্রি এবং টি-ফোর হরমোনের মাত্রাকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই থাইরয়েড রোগীদের ফুলকপি খাওয়া কমিয়ে দেওয়া উচিৎ।
পাথর হলে ফুলকপি খাবেন না- পাথর হলেও ফুলকপি খাওয়া উচিৎ নয়। এটি ক্ষতিকারক হতে পারে। বিশেষ করে যদি আপনার গল ব্লাডার এবং কিডনিতে পাথর থাকে তাহলে ফুলকপি খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিৎ। ফুলকপিতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, যা পাথরের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।
রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা হলে- কারও যদি রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা থাকে তবে ফুলকপি একেবারেই খাবেন না। ফুলকপিতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে, যা শরীরে রক্ত ঘন করতে পারে। তাই ফুলকপি খাওয়া সীমিত করুন বা একেবারেই খাবেন না।
গর্ভাবস্থায় ফুলকপি খাবেন না- গর্ভাবস্থায়ও ফুলকপি খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিৎ। এতে অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় এটি গ্যাস, অ্যাসিডিটি এবং বদহজমের মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই ফুলকপি এড়িয়ে চলা জরুরি।
No comments:
Post a Comment