প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৯ অক্টোবর: সাত বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ। ঘটনা ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা। উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁতে এই পৈশাচিক ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাতে একটি ভগ্নপ্রায় ঘর থেকে চাদরে মোড়ানো অবস্থায় শিশুটির রক্তমাখা দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় অভিযুক্তকে শনিবার ভোর ৪টায় বিনপুর রোডে গ্রেফতার করে পুলিশ। এনকাউন্টারে ধৃতের ডান পায়ে গুলি লাগে। অপরদিকে, শিশুর সাথে হওয়া পৈশাচিক এই ঘটনায় ক্ষোভে পড়েন পরিবারের সদস্যরা, গোটা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিচারের দাবীতে বিক্ষোভও করেন লোকজন।
শিশুকে ধর্ষণের পর নৃশংস খুনের প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ জনতা দুই ঘন্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। বিচারের দাবীতে মহাসড়ক অবরোধে সামিল হন শিশুর পরিবারের সদস্যরাও। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ মানুষ পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। বিলসিতে, বিজনর-বদায়ুঁ হাইওয়েতে দুই ঘন্টা ধরে যানজট ছিল। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লোকজনকে বুঝিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। গ্ৰেফতার হওয়া অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে পুলিশের তরফে।
শিশুটি তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল। পরিবারের সদস্যরা জানান, বিকেলে সবজি কিনতে বাড়ি থেকে বের হলেও পরে আর ফেরেননি। পরিবারের লোকজন গভীর রাত পর্যন্ত খোঁজাখুঁজি করেও কোথাও তার সন্ধান পায়নি। এরপর রাত ১০ টা নাগাদ ভগ্নপ্রায় ঘরে তাঁর রক্তাক্ত অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার হয়। শরীরে আঘাতের চিহ্নও ছিল। ধর্ষণের পর খুনের আশঙ্কা প্রকাশ করেছে নির্যাতিতার পরিবার। খবর পেয়ে এসএসপি ব্রিজেশ কুমার সিং ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দেন।
এসওজি টিম ছাড়াও অভিযুক্তকে ধরতে পুলিশের বেশ কয়েকটি টিম মোতায়েন করা হয়েছিল। শনিবার ভোর ৪টার দিকে বিনপুর সড়কে এনকাউন্টার এবং অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার ডান পায়ে গুলি লাগে। এই সম কনস্টেবল মনোজও গুলিবিদ্ধ হন।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে অভিযুক্ত জানে আলম (২২)-কে শনাক্ত করা হয়। এরপর তার খোঁজ শুরু হয়। ভোর ৪টায় বিনপুর রোডে পুলিশের সঙ্গে অভিযুক্তর এনকাউন্টার হয়। পুলিশের দাবী, অভিযুক্তর ছোঁড়া গুলিতে আহত হন কনস্টেবল মনোজ। অভিযুক্তর পায়েও গুলি লাগে। আহত দুজনকেই চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত জানায়, সে মেয়েটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল, সেই সময় মেয়েটি চিৎকার শুরু করে। এই কারণে তাকে মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে খুন করে।
No comments:
Post a Comment