প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,৫ অক্টোবর: নবরাত্রি শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ৩রা অক্টোবর থেকে।এই সময়ে কেউ কেউ দেবী মাকে খুশি করার জন্য পুরো নয় দিন উপবাস করেন,আবার কেউ কেউ নবরাত্রির প্রথম ও শেষ দিনে উপবাস করেন।তবে উপবাসের সময় ফল ও খাবারের ক্ষেত্রে অনেক বৈচিত্র্য রয়েছে।কেউ কেউ ক্ষুধার্ত বা তৃষ্ণার্ত না হয়ে পুরো নয় দিন উপবাস করেন।আবার কেউ কেউ দিনে মাত্র একবার ফল বা ফাস্টফুড খান এবং কেউ দিনে দু-তিনবার খাবার খান।যদিও কিছু লোক মনে করে যে উপবাস তাদের ওজন কমিয়ে দেবে।তাই তারা খাবার এবং পানীয় সম্পূর্ণভাবে কমিয়ে দেয়।
তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে,শুধুমাত্র ধর্মীয় কারণেই উপবাস রাখা হয় না,স্বাস্থ্যের ওপরেওএর গভীর প্রভাব পড়ে।এমন পরিস্থিতিতে উপবাস রাখার সময় খাদ্যাভ্যাসের ব্যাপারে সঠিক পন্থা অবলম্বন করা খুবই জরুরি।যাতে মন ও শরীর উভয়ই উপবাসের পর্যাপ্ত ফল পেতে পারে।
এই নবরাত্রিতে উপবাস করার আগে ডায়েটিশিয়ানের কাছ থেকে জেনে নেওয়া যাক উপবাসের সময় খাওয়ার সঠিক উপায় কী?উপবাস রাখলে কি সত্যিই ওজন কমে?উপবাস করা মানে কী ক্ষুধার্ত থাকা?
দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালের ডায়েটিশিয়ান মনীষা ভার্মা বলেছেন যে,উপবাস শরীরকে পরিশুদ্ধ করে এবং শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে যায়।মনও শান্ত হয় এবং শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও স্বস্তি পায়।তবে এটা বোঝা খুবই জরুরী যে,সারাদিন বা পুরো নয় দিন উপবাস না করে কিছু খেয়ে বা ফলমূল খেয়ে উপবাস পালন করতে হবে।
মনীষা ব্যাখ্যা করেন যে,শরীরের প্রতিদিন পুষ্টির প্রয়োজন। আপনি যদি দীর্ঘ সময় ধরে কিছু না খান তবে শরীরে ইতিমধ্যে উপস্থিত শক্তি বা পুষ্টি তা পূরণ করে।যদিও এটি খুব অল্প সময়ের জন্য হতে পারে।এমন অবস্থায় উপবাসের দিনে হাইড্রেটেড থাকার জন্য ফল,শুকনো ফল এবং পানীয় গ্রহণ করতে হবে।
স্বাস্থ্যের দৃষ্টিকোণ থেকে এটা ভালো যে আপনি অল্প পরিমাণে কিছু খান কয়েকবার।এটি অন্তত তিনবার হতে পারে।আপনি যদি মাত্র দুবার ফল খান,তবে মনে রাখবেন যে আপনাকে এর মধ্যে জুস,বাটারমিল্ক বা অন্য কোনও পানীয় গ্রহণ করতে হবে।প্রচুর জল পান করুন।এর মাঝে কিছু শুকনো ফল,যেমন- কাজু,বাদাম,চিনাবাদাম বা আখরোট খেতে পারেন।
শুধুমাত্র সন্ধ্যায় ভরপেট খাওয়া -
মনীষা বলেন,সারাদিন উপবাস করে সন্ধ্যায় প্রচুর পরিমাণে খাবার খাওয়া সবচেয়ে খারাপ।আপনারও যদি এমন রেজোলিউশন থাকে,তবে মনে রাখবেন যে সকাল থেকে ক্ষুধার্ত থাকলেও,উপবাস শেষ করার পরে অল্প পরিমাণে খাবার বা ফল খান।বেশি পরিমাণে আলু,ভাজা খাবার বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে সমস্যা হতে পারে।
উপবাস শেষ করে খুব সাধারণ ডায়েট করার চেষ্টা করুন।এর মধ্যে রয়েছে দই,শসা,আপেল,কম ঘি দিয়ে রান্না করা আলু, সাবুর খিচুড়ি বা পায়েস,সামা চালের খিচুড়ি বা পায়েস,কুট্টুর আটার রুটি,লাউ দিয়ে তৈরি যেকোনও সাধারণ মিষ্টি বা গোলমরিচ ও শিলা লবণে সেদ্ধ করার পর হালকা ফ্রাই করা লাউ ইত্যাদি খেতে পারেন।উপবাসের সময় সর্বদা তরল এবং কঠিনের ৫০-৫০ অনুপাত বজায় রাখুন।চেষ্টা করুন আপনি যদি একটি জিনিস ভাজা খাচ্ছেন তবে অন্য সব জিনিস যেন সাধারণ হয়।
সারাদিন ক্ষুধার্ত থাকলে কী ওজন কমে?
ডায়েটিশিয়ান বলেন,যারা সারাদিন ক্ষুধার্ত থাকেন এবং সন্ধ্যায় বেশি পরিমাণে ভাজা খাবার খান,তাদের ওজন কমার পরিবর্তে বেড়ে যায়।দিনে কয়েকবার অল্প পরিমাণে খেলে হজমে শক্তি লাগে এবং চর্বি বাড়ে না।যেখানে রাতে বেশি খাওয়ার পর ঘুমালে লিভারে হজমে অসুবিধা হয় এবং চর্বি জমতে শুরু করে।
No comments:
Post a Comment