প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০১ নভেম্বর: জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ৫০ বছর বয়সী মহিলাকে ধর্ষণ, এরপর পাথর দিয়ে থেঁতলে নৃশংস খুন। পুলিশি তদন্তে উঠে এল এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। হাড়হিম এই ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের। অক্টোবর মাসে হওয়া এক মহিলার হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শেষ করেছে জেলার উমরি থানা পুলিশ। পুলিশ একজন অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করেছে। অভিযুক্ত ওই মহিলাকে ধর্ষণের পর খুন করার কথাও স্বীকার করেছে। অভিযুক্তের কথানুযায়ী পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মৃতার কঙ্কালের অবশিষ্টাংশ ও তাঁর কাপড়-চোপড়ও বাজেয়াপ্ত করেছে।
তথ্য অনুসারে, উমরি থানা এলাকায় বসবাসকারী ৫০ বছর বয়সী এক মহিলা চলতি বছরের ৫ অক্টোবর বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। মহিলা অনেক বেশি পুজো-পাঠ করতেন। মহিলা সেদিন পুজো দিতে শনিচড়া মন্দিরে যেতেন। এ সময় অভিযুক্ত ওই মহিলাকে বিভ্রান্ত করে উমরি থেকে মালনপুরে নিয়ে যায়।
পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত ওই মহিলাকে শনিচড়া জঙ্গলে নিয়ে যায়। জঙ্গলে ভয় দেখিয়ে, ধমক দিয়ে ধর্ষণ করা হয় ওই মহিলাকে। এরপর তাকে পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করে এবং এরপর গ্রামে ফিরে আসে। পরদিন ওই মহিলা বাড়িতে না এলে ৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় উমরি থানায় তাঁর আত্মীয়রা নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন।
স্বজনরা জানান, ওই মহিলার স্বামী ও ছেলে আহমেদাবাদে থাকেন। গ্রামে একাই থাকতেন তিনি। মহিলা অনেক বেশি পুজো-পাঠ করতেন। অপরদিকে অভিযুক্ত মুন্না জোশী আম্বা জেলার মোরেনার বাসিন্দা। অভিযুক্তরা চক্র গ্রামের নরেন্দ্র সিং রাজাওয়াতের কুয়ো পাহারা দিতেন।
পুলিশের কথানুযায়ী, মৃতদেহটির প্রায় অনেকটাই বন্য পশুরা খেয়ে ফেলে। ঘটনাস্থল থেকে ওই মহিলার পোশাক ও পূজার উপকরণ পাওয়া গেছে। ওই মহিলা তাঁর গোপাল ভগবানকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন। ঘটনাস্থলে ঈশ্বরের মূর্তিও পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থল থেকে নরকঙ্কালের অবশিষ্টাংশও উদ্ধার করা হয়েছে।
ছত্রপাল সিং তোমর, টিআই থানার উমরি জানান, নিখোঁজ মহিলাকে খুন করা হয়। মোবাইল ডিটেইলস ব্যবহার করে সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে ধরা হয়। অভিযুক্ত ঘটনার কথা স্বীকার করেছে। ঘটনাস্থল থেকে প্রমাণ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ কঙ্কালের অবশিষ্টাংশ উদ্ধার করে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে।
No comments:
Post a Comment