নিজস্ব প্রতিবেদন, ১৯ নভেম্বর, কলকাতা : মন্দারমণিতে হোটেল ভাঙার নির্দেশ জেলা প্রশাসনের। ২০ নভেম্বরের মধ্যে মন্দারমণিতে ১৪০টি হোটেল ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল জেলা প্রশাসন। তারা এখন পর্যন্ত ৩০টি হোটেল চিহ্নিত করেছে। বিষয়টি জানতে পেরে স্তম্ভিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নবান্ন সূত্রে খবর, জেলা প্রশাসনের এমন নির্দেশ শুনে হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মুখ্যসচিবের সঙ্গে পরামর্শ না করেই কীভাবে জেলা প্রশাসন একতরফাভাবে এত বড় সিদ্ধান্ত নিল তা নিয়ে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন তিনি।
দীঘার চেয়ে মন্দারমণি অনেক শান্ত। ফলে ছুটিতে গেলে অনেকেরই গন্তব্য হয়ে ওঠে মন্দারমণি। সারা বছরই এখানে পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে। সেই সূত্রে মন্দারমণিতে হোটেলের সংখ্যাও কম নয়। সম্প্রতি ১৪০টি অবৈধ হোটেল ভাঙার নোটিশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। তারা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।
হোটেল ব্যবসায়ীরা জানান, হোটেল ব্যবসার সঙ্গে লাখ লাখ মানুষের জীবিকা জড়িত। এখনই ভাঙলে তাদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাবে।
সূত্রের খবর, বিষয়টি জানার পর রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। যদি প্রতিটি হোটেলে গড়ে ১০ জন কাজ করে, তাহলে ১৪০টি হোটেলের সাথে ১৪০০ পরিবার যুক্ত হয়। তিনি বলেন, "রাতারাতি সবাইকে পথে আনার সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।"
No comments:
Post a Comment