প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১২ নভেম্বর: চাণক্য নীতিতে, আচার্য চাণক্য জীবনে সাফল্য, সম্পর্ক এবং আচরণের সাথে সম্পর্কিত অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলেছেন। তাঁর মতে, কিছু কিছু মানুষ আছেন, যাদের যতই উপদেশ দেওয়া হোক না কেন, তারা তা না মেনে নিজের পথেই চলে। এই ধরনের লোকদের সঠিক নির্দেশনা দেওয়া 'সাপের কানে বিন বাজানোর' মতো, অর্থাৎ এর কোনও প্রভাবই পড়ে না তাঁদের ওপর। আসুন জেনে নেওয়া যাক চাণক্য নীতি অনুসারে কোন ব্যক্তিরা এই বিভাগে পড়েন এবং কেন তাদের বোঝানো ব্যর্থ বলে বিবেচিত হয়-
চাণক্যের মতে, যারা জ্ঞান অর্জনের চেষ্টা করেন না তাঁদের কোনও উপদেশ দেওয়া বেকার। তারা তাদের অজ্ঞতায় সুখী থাকেন এবং জ্ঞানের গুরুত্ব বোঝেন না। তাঁদের বোঝানোর যতই চেষ্টা করা হোক না কেন, তারা তাদের মত পরিবর্তন করতে প্রস্তুত নয়। এই ধরণের ব্যক্তিরা উপদেশ উপেক্ষা করেন এবং তাদের নিজস্ব বোঝা-কেই সর্বোপরি বিবেচনা করেন।
অহংকার একজন ব্যক্তির চিন্তা করার ক্ষমতা সীমিত করে। চাণক্য বলেন, যে ব্যক্তি নিজেকে সর্বোত্তম এবং অন্যের কথাকে তুচ্ছ মনে করেন, তাঁকে কোনও ধরনেরই উপদেশ দেওয়া বৃথা। অহংকারী লোকেরা কারও পরামর্শকে তাদের সম্মানের বিরোধী মনে করে এবং মনে করে যে তাদের শেখানোর মত কেউ নেই। এই ধরণের লোকেরা প্রায়শই তাদের নিজের পথে বাধা সৃষ্টি করে।
চাণক্য দুষ্ট প্রকৃতির লোকদেরও উপদেশ দিতে নিষেধ করেছেন। মন্দ লোকেরা তাদের নেতিবাচক চিন্তাভাবনা এবং কর্ম দ্বারা অন্যদের ক্ষতি করে। এ ধরণের মানুষ কোনও ইতিবাচক পরামর্শ বা সঠিক নির্দেশনা গ্রহণে বিশ্বাসী নয়। তাদের অভ্যাস পরিবর্তন করতে অনুপ্রাণিত করা খুব কঠিন, তাই তাদের বোঝানো অর্থহীন।
চাণক্য নীতিতে, মূর্খ এবং অলস লোকদের উপদেশ দেওয়া নিরর্থক বলা হয়েছে। একজন মূর্খ ব্যক্তি কোনও জিনিস বোঝার চেষ্টা করে না এবং একজন অলস ব্যক্তি কঠোর পরিশ্রম এড়িয়ে যায়। এই দুজনের জন্য উপদেশের কোনও গুরুত্ব নেই। কারণ তারা তাদের স্বভাব নিয়ে সন্তুষ্ট থাকেন এবং পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত নয়।
চাণক্য নীতি অনুসারে, এই ব্যক্তিদের সঠিক পথে আনার চেষ্টা করা সময় এবং শক্তির অপচয়। তাদের বোঝানোর যতই চেষ্টা করা হোক না কেন, তারা তাদের স্বভাব ও অভ্যাস ত্যাগ করেন না। অতএব, জীবনে সফল হতে হলে আমাদের এই ধরণের লোকদের থেকে সঠিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং যারা শিখতে ও উন্নতি করতে চায় তাঁদের প্রতি আমাদের শক্তি ব্যবহার করা প্রয়োজন।
No comments:
Post a Comment