ব্রঙ্কাইটিসের সহজ ঘরোয়া প্রতিকার - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday, 16 November 2024

ব্রঙ্কাইটিসের সহজ ঘরোয়া প্রতিকার


প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,১৬ নভেম্বর: ব্রঙ্কাইটিস হল একটি শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা যাতে ব্রঙ্কিয়াল টিউবগুলি ফুলে যায়।এই টিউবগুলি ফুসফুসে বাতাস সরবরাহের কাজ করে।যখন এই টিউবগুলি ফুলে যায় তখন শ্বাস নিতে অসুবিধা, শুকনো কাশি,কফ সহ কাশি এবং বুকে ব্যথা হতে পারে।ব্রঙ্কাইটিস প্রধানত দুই প্রকার-

তীব্র ব্রঙ্কাইটিস: 

এটি হঠাৎ অস্থায়ীভাবে ঘটে এবং সাধারণত এক বা দুই সপ্তাহ স্থায়ী হয়।প্রায়শই এটি ঠাণ্ডা বা ফ্লু সংক্রমণের কারণে ঘটে।

ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস: 

এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী রোগ এবং এর প্রধান কারণ হল ধূমপান বা দূষিত বাতাসের সংস্পর্শে আসা।এটি এক ধরনের ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি)-এর অংশ।

ব্রঙ্কাইটিসের লক্ষণ -

ক্রমাগত কাশি এবং কফ।

শ্বাস নিতে অসুবিধা।

বুকে শক্ত হওয়া বা ব্যথা।

জ্বর এবং সর্দি।

ক্লান্তি এবং দুর্বলতা।

গলা ব্যথা।

ব্রঙ্কাইটিসের জন্য ঘরোয়া প্রতিকার -

কিছু ঘরোয়া প্রতিকার ব্রঙ্কাইটিসের উপসর্গ থেকে মুক্তি দিতে পারে।মনে রাখবেন যে এই চিকিৎসাগুলি তীব্র ব্রঙ্কাইটিসে সহায়ক,তবে দীর্ঘস্থায়ী ব্রঙ্কাইটিসে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

আদা এবং মধু খাওয়া:

আদার প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে,যা শ্বাসযন্ত্রের টিউবের প্রদাহ কমাতে পারে।আদার রসে ১ চামচ মধু মিশিয়ে দিনে ২-৩ বার খান।এটি গলা ব্যথা থেকেও মুক্তি দেয়।

হলুদ-দুধ -

হলুদ একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টি-বায়োটিক।রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস উষ্ণ দুধে ১\২ চা চামচ হলুদ মিশিয়ে পান করুন।  এটি ফোলাভাব এবং সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে।

স্টীমিং -

স্টীম গ্রহণ কফ আলগা করতে সাহায্য করে।গরম জলে কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল মিশিয়ে ভাপ নিন।এটি দিনে ১-২ বার করুন।

পেঁয়াজের রস -

পেঁয়াজের কফ কমানোর ক্ষমতা রয়েছে।পেঁয়াজের রসে মধু মিশিয়ে সকাল-সন্ধ্যা পান করলে কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

তুলসী ও মধুর ক্বাথ -

তুলসীতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ রয়েছে।কিছু তুলসী পাতা নিয়ে জলে সেদ্ধ করে ছেঁকে তাতে মধু মেশান।এই ক্বাথ দিনে একবার পান করুন।

লবণ জল দিয়ে গার্গল -

গলা ফোলা কমাতে হালকা গরম জলে লবণ মিশিয়ে গার্গল করুন।এই প্রক্রিয়াটি দিনে ২-৩ বার করুন,এটি গলায় আরাম দেবে।

বেশি করে জল পান করুন -

শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা খুবই জরুরি।বেশি জল পান করলে শ্লেষ্মা পাতলা হয়ে যায়,যা সহজে বের করে দেয়।

কখন একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিৎ?

কাশি তিন সপ্তাহের বেশি থাকলে।

কফের সাথে কাশিতে রক্ত ​​থাকলে।

বেশি জ্বর হলে বা শ্বাস নিতে কষ্ট হলে।

বুকে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব করলে।

বি.দ্র: এই বিষয়বস্তু,পরামর্শ সহ, শুধুমাত্র সাধারণ তথ্য প্রদান করে।এটা কোনওভাবেই যোগ্য চিকিৎসা মতামতের বিকল্প নয়। আরও তথ্যের জন্য সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞ বা আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।  প্রেসকার্ড নিউজ এর দায় স্বীকার করে না।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad