প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,১০ নভেম্বর: ডাক্তার বলেছেন- ঠাণ্ডা শুরু হওয়া খুবই বিপজ্জনক।এই সময়ে অবশ্যই রক্ত পাতলা করার ওষুধ খান।শীতের আগমনে স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নবান হতে হয়।আপনি যদি হার্টের রোগী হন তবে সতর্কতা আরও গুরুত্বপূর্ণ।পরবর্তী কয়েক মাস হার্টের ভাল্ব ট্রান্সপ্লান্ট রোগীদের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক।এই ধরনের রোগীদের রক্ত পাতলা করার ওষুধ সম্পর্কে অজ্ঞতা বা জ্ঞানের অভাব শ্বাসতন্ত্রকে দুর্বল করে দিচ্ছে।প্রতিদিন ১৫ থেকে ১৮ জন রোগী,যাদের ভাল্ব প্রতিস্থাপন করা হয়েছে তাদের কার্ডিওলজি ইনস্টিটিউটে আসছে,যাদের ঘন রক্ত মারাত্মক হয়ে উঠছে।এমনকি চিকিৎসকদেরও জীবন বাঁচাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
ভাল্ব লেগে থাকার কারণে হৃৎপিণ্ডে রক্ত জমে -
সিনিয়র চিকিৎসকদের মতে,যারা ভাল্ব ট্রান্সপ্লান্টেশন করেন তাদের জন্য শীতের শুরুতে রক্ত পাতলা করার ওষুধ খাওয়া খুবই জরুরি।অনেক রোগী এমনকি চিকিৎসকরাও বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেন না।এমন পরিস্থিতিতে ভাল্ব একসাথে লেগে থাকে।ফলে হৃৎপিণ্ডে অতিরিক্ত রক্ত জমে।কিছুক্ষণের মধ্যে অন্যান্য অঙ্গে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় এবং জীবন বিপন্ন হয়ে পড়ে।
PT-INR পরীক্ষার মাধ্যমে নির্ধারণ করার ক্ষমতা -
চিকিৎসকদের মতে,রক্ত পাতলা করার ক্ষমতা জানতে PT-INR পরীক্ষা করানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।প্রোথ্রোমবিন টাইম (PT) পরীক্ষা রক্তের নমুনায় জমাট বাঁধতে কত সময় নেয় তা নির্ধারণ করে।এই পরীক্ষার জন্য স্বাভাবিক পরিসীমা হল ১২-১৩ সেকেন্ড।রক্ত পাতলা হওয়া উচিত ২.৫ থেকে ৩.০-এর মধ্যে।
যারা ভাল্ব ট্রান্সপ্ল্যান্ট করছেন তাদের এই বিষয়গুলোতে মনোযোগ দেওয়া উচিৎ -
হঠাৎ শরীরে ফুলে যাওয়া।
তীব্র বুকে ব্যথা।
অনিয়ন্ত্রিত হৃদস্পন্দন।
দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস এবং ফুলে যাওয়ার অভিযোগ।
কার্ডিওলজির ডিরেক্টর ডাঃ আর কে ভার্মার মতে,শীতের শুরুটা হল যারা ভাল্ব প্রতিস্থাপনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন তাদের জন্য চরম সতর্কতার সময়।রক্ত পাতলা করার ওষুধ খেতে ভুলবেন না।অজ্ঞতা বা তথ্যের অভাব মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়। সময়মতো চিকিৎসা পাওয়াও খুব কমই জীবন বাঁচায়।প্রতিটি মুহূর্ত রোগীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।সরকার থেকে কার্ডিওলজিতে এই ধরনের রোগীদের জন্য বিনামূল্যে টেনেক্টপ্লেস ইনজেকশন পাওয়া যায়।এটি বাজারে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়।
বি.দ্র: এই বিষয়বস্তু,পরামর্শ সহ, শুধুমাত্র সাধারণ তথ্য প্রদান করে।এটা কোনওভাবেই যোগ্য চিকিৎসা মতামতের বিকল্প নয়। আরও তথ্যের জন্য সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞ বা আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। প্রেসকার্ড নিউজ এর দায় স্বীকার করে না।
No comments:
Post a Comment