নিজস্ব প্রতিবেদন, ২৯ নভেম্বর, কলকাতা : বৃহস্পতিবার কলকাতায় রাস্তা অবরুদ্ধ ছিল। হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন প্রতিবাদ করে। হিন্দু সংগঠনগুলো বাংলাদেশে চলমান সংকটের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে, অন্যদিকে মুসলিম সংগঠনগুলো কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাবিত ওয়াকফ সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে। রাজ্য জমিয়ত-উল-উলামা এর প্রতিবাদে একটি সভার আয়োজন করে। শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিক্ষোভে যোগ দেন মুসলিম সম্প্রদায়ের বিপুল সংখ্যক মানুষ। তারা ওয়াকফ সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিলেন এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবীও তুলেছিলেন।
সভায় বক্তব্য রাখেন জমিয়ত-উল-উলামা পশ্চিমবঙ্গের সভাপতি এবং রাজ্যের জনশিক্ষা সম্প্রসারণ ও গ্রন্থাগার পরিষেবা মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, "ভারতের সংবিধান প্রতিটি নাগরিককে স্বাধীনতা প্রদান করে। কেউ যদি সংবিধানের সঙ্গে ছেড়-ছাড় করার চেষ্টা করে, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা হবে। ওয়াকফ সংশোধনী বিলের মাধ্যমে সরকার সরাসরি সংবিধানকে আক্রমণ করেছে। এটা সরাসরি আক্রমণ। মুসলিম সম্প্রদায়ের অধিকার হরণ ও ওয়াকফ সম্পত্তি ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র চলছে।"
অন্যদিকে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত নৃশংসতার বিরুদ্ধে হিন্দু সংগঠনগুলো বিক্ষোভ করেছে। তিনি এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ এবং আন্তর্জাতিক স্তরে কঠোর অবস্থান নেওয়ার দাবী জানান।
এই দুটি বড় বিক্ষোভের জেরে কলকাতার ট্রাফিক ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়ে। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কে জ্যাম থাকায় জনসাধারণকে চরম সমস্যায় পড়তে হয়েছে।
মুসলিম সংগঠনগুলি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে ওয়াকফ সংশোধনী বিল প্রত্যাহার না হলে রাজ্য জুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ করা হবে। অন্যদিকে হিন্দু সংগঠনগুলোও বাংলাদেশ ইস্যুতে কঠোর পদক্ষেপের দাবী জানিয়েছে। এই বিক্ষোভ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোচনা চলছে। কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির বিরুদ্ধে বাংলায় প্রতিবাদের এই ঢেউ আরও তীব্র হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment