সুমিতা সান্যাল,২৯ নভেম্বর: শীত শুরু হলে রোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।এমতাবস্থায় বাড়িতেই এমন কিছু প্রতিকার করে দেখুন,যা শরীরে উষ্ণতা যোগায়।তার মধ্যে একটি হল চ্যবনপ্রাশ,যা খেলে শরীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা পায় এবং বারবার অসুস্থ হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।কিন্তু বাজারের অস্বাস্থ্যকর চ্যবনপ্রাশ কেন প্রিজারভেটিভ মিশ্রিত করে খাবেন?আপনি ঘরে বসেই স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু চ্যবনপ্রাশ তৈরি করতে পারবেন এবং শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক সবাই এটি খেতে পারবেন।তাহলে চলুন জেনে নেই স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু চ্যবনপ্রাশ তৈরির রেসিপি।
উপকরণ -
আমলকি ৫০০ গ্রাম,
গুড় বা চিনি ৫০০ গ্রাম,
দেশি ঘি ১০০ গ্রাম,
মধু ১০০ গ্রাম,
বাদাম গুঁড়ো ২ টেবিল চামচ,
জাফরান ১২ টি স্ট্র্যান্ড,
দারুচিনি গুঁড়ো ১ চা চামচ,
এলাচ গুঁড়ো ১ চা চামচ,
জায়ফল গুঁড়ো ১\২ চা চামচ,
পিপলি গুঁড়ো ১\২ চা চামচ,
শুকনো আদা গুঁড়ো ১ চা চামচ,
কালো তিল ১ টেবিল চামচ,
গিলয় পাউডার ১ চা চামচ।
তৈরির প্রণালী -
আমলকি ধুয়ে সেদ্ধ করে নিন।ঠাণ্ডা হয়ে গেলে বীজ বের করে ভালো করে পেস্ট তৈরি করুন।
একটি প্যানে সামান্য জল দিয়ে গুড় বা চিনির সিরাপ তৈরি করুন।সিরাপটি ঘন হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন।তৈরি সিরাপটিতে আমলকি পেস্ট যোগ করুন এবং একটানা নাড়তে নাড়তে কম আঁচে রান্না করুন।মিশ্রণটি ঘন না হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন।
এবার চ্যবনপ্রাশের মিশ্রণে দেশি ঘি দিয়ে ভালো করে মেশান। সব মশলা (দারুচিনি,এলাচ,জায়ফল,শুকনো আদা,পিপলি, গিলয় গুঁড়ো) যোগ করুন এবং মেশান।সবশেষে কালো তিল ও বাদাম গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে মেশান।উপরে জাফরান যোগ করুন।মিশ্রণটি ঠাণ্ডা হওয়ার পর এতে মধু দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন।প্রস্তুত চ্যবনপ্রাশ একটি বায়ুরোধী পাত্রে ভরে ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন।
চ্যবনপ্রাশ কিভাবে খাবেন এবং এর উপকারিতা -
চ্যবনপ্রাশ ১ থেকে ২ চা চামচ দুধের সাথে সকালে খালি পেটে খান।শিশুদের ১\২ চা চামচ চ্যবনপ্রাশ দুধের সাথে খাওয়ানো উচিৎ।চ্যবনপ্রাশ প্রতিদিন খালি পেটে খেলে তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়,পরিপাকতন্ত্রকে শক্তিশালী করে,ত্বকের উন্নতি ঘটায়,সর্দি-কাশি প্রতিরোধ করে এবং শরীরে এনার্জি জোগায়।
No comments:
Post a Comment