লবণের অভাবের লক্ষণ ও স্বাস্থ্যের উপর এর প্রভাব জেনে নিন - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Wednesday, 13 November 2024

লবণের অভাবের লক্ষণ ও স্বাস্থ্যের উপর এর প্রভাব জেনে নিন


প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,১৩ নভেম্বর: অতিরিক্ত লবণ খাওয়া উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগের কারণ হতে পারে - এটা আমরা সবাই শুনেছি।কিন্তু অতিরিক্ত লবণ শরীরে যতটা ক্ষতিকর,এর অতিরিক্ত ঘাটতিও ততটাই বিপজ্জনক।লবণের প্রধান উপাদান সোডিয়ামের ঘাটতি শরীরে অনেক নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।সোডিয়াম আমাদের শরীরের অনেক প্রয়োজনীয় কাজকে নিয়ন্ত্রণ করে।যেমন- রক্তচাপ বজায় রাখা,পেশী এবং স্নায়ুর স্বাভাবিক কার্যকারিতা এবং শরীরের জলের ভারসাম্য বজায় রাখা।আসুন জেনে নেই লবণের অভাবের লক্ষণগুলি কী কী, স্বাস্থ্যের উপর এর প্রভাব কী এবং প্রতিদিন কতটা লবণ খাওয়া উচিৎ।

মাথাব্যথা -

শরীরে লবণের ঘাটতির একটি সাধারণ লক্ষণ হল মাথাব্যথা।  লবণে পাওয়া সোডিয়াম শরীরে জলের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।শরীরে সোডিয়ামের পরিমাণ কমে গেলে তা ভারসাম্যহীনতা তৈরি করে,যা শরীরে জলশূন্যতার ঝুঁকি বাড়ায়।ডিহাইড্রেশনের কারণে মাথাব্যথা একটি স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া।দীর্ঘ সময় ধরে পর্যাপ্ত লবণ না পেলে এই সমস্যা বাড়ে।

ক্লান্তি এবং পেশীর দুর্বলতা -

সোডিয়ামের ঘাটতি পেশী এবং স্নায়ুর স্বাভাবিক কার্যকারিতা ব্যাহত করতে পারে।সোডিয়াম স্নায়ুর মসৃণ সঞ্চালন বজায় রাখতে সহায়ক।শরীরে সোডিয়ামের পরিমাণ কমে গেলে স্নায়ু ও পেশীতে অস্বাভাবিক ক্রিয়া শুরু হয়,যার ফলে শরীর দুর্বল ও ক্লান্ত বোধ করে।সোডিয়ামের অভাব এছাড়াও পেশী ক্র্যাম্প হতে পারে,যা অস্বস্তিকর এবং ভীতিকর হতে পারে।

ক্ষুধা হ্রাস -

খুব কম লোকই জানেন যে লবণের অভাবে ক্ষুধা কমে যায়।  বিশেষজ্ঞরা বলছেন,শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা কমে গেলে তা স্নায়ুতন্ত্র এবং মস্তিষ্কের যে অংশ ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে তার ওপর প্রভাব ফেলে।ফলস্বরূপ,ক্ষুধা হ্রাস অনুভূত হয়।ক্ষুধার অভাব পুষ্টির ঘাটতি এবং দুর্বল প্রতিরোধ ক্ষমতার দিকে পরিচালিত করতে পারে,যা শরীরকে সংক্রামক রোগের জন্য আরও সংবেদনশীল করে তোলে।

মাথা ঘোরা -

শরীরে সোডিয়ামের ভারসাম্য রক্তচাপকেও প্রভাবিত করে। সোডিয়ামের অভাব রক্তচাপের মাত্রা হ্রাস করে,যা সাধারণ স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হতে পারে।সোডিয়ামের অভাবের কারণে রক্তচাপ কমে গেলে একজন ব্যক্তি মাথা ঘোরা বোধ করতে শুরু করেন।এই অবস্থা গুরুতর হতে পারে,বিশেষ করে যারা ইতিমধ্যেই নিম্ন রক্তচাপে ভুগছেন তাদের জন্য।

সঠিক লবণ গ্রহণ: কতটা প্রয়োজন?

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে,একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৫ গ্রাম লবণ খাওয়া উচিৎ।এই পরিমাণ প্রায় ১ চা চামচের সমান।৫ গ্রামের বেশি লবণ খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে এবং রক্তচাপ, হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

স্বাস্থ্যকর লবণ গ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য,মনে রাখবেন যে অনেক প্রক্রিয়াজাত এবং প্যাকেটজাত খাবারে ইতিমধ্যেই উচ্চ পরিমাণে সোডিয়াম রয়েছে,তাই সেগুলি পরিমিতভাবে খান।  কিছু সোডিয়াম প্রাকৃতিক উৎস,যেমন- শাক-সবজি এবং শস্য থেকে পাওয়া যায়।অতএব,আপনার খাদ্যে সোডিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখুন এবং উপযুক্ত পরিমাণে লবণ খান।

লবণের ঘাটতি দূর করার উপায় -

খাবারে লবণের ভারসাম্য বজায় রাখুন: 

রান্না ও খাওয়ার সময় অতিরিক্ত লবণ যোগ করা থেকে বিরত থাকুন।সুষম পরিমাণে লবণ ব্যবহার করুন এবং খাবারে লবণের অতিরিক্ত প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রাখুন।

প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন: 

প্রক্রিয়াজাত খাবার,যেমন- চিপস,ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এবং প্যাকেজড স্যুপে সোডিয়াম বেশি থাকে,যা সোডিয়ামের ভারসাম্যহীনতার কারণ হতে পারে।এগুলি কেবল অল্প পরিমাণে খান।

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান: 

শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা স্বাভাবিক আছে কি না তাও পরীক্ষা করা জরুরি।সময়ে সময়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুসরণ করুন।

বি.দ্র: এই বিষয়বস্তু,পরামর্শ সহ, শুধুমাত্র সাধারণ তথ্য প্রদান করে।এটা কোনওভাবেই যোগ্য চিকিৎসা মতামতের বিকল্প নয়। আরও তথ্যের জন্য সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞ বা আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।  প্রেসকার্ড নিউজ এর দায় স্বীকার করে না।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad