প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২০ নভেম্বর: মহারাষ্ট্রের ২৮৮টি বিধানসভা আসনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে বুধবার (২০ নভেম্বর)। ২৩ নভেম্বর চূড়ান্ত ফলাফল আসবে। এরই মাঝে, ম্যাট্রিজ (MATRIZE)-এর এক্সিট পোলের তথ্য অনুযায়ী, মহাযুতি সরকার গঠন হতে পারে। মহাযুতি ১৫০ থেকে ১৭০ আসন পেতে পারে। মহাবিকাশ আঘাদি ১১০ থেকে ১৩০ আসন পেতে পারে। অন্যরা আট থেকে দশটি আসন পেতে পারে।
ম্যাট্রিজ এক্সিট পোল অনুসারে, বিজেপি ৮৯ থেকে ১০১ আসন পেতে পারে। শিন্ডে গোষ্ঠী ৩৭ থেকে ৪৫ আসন পেতে পারে। অজিত পাওয়ারের খাতায় ১৭ থেকে ২৬ আসন যেতে পারে। মহাবিকাশ আঘাদির পরিসংখ্যান দেখলে, কংগ্রেস ৩৯ থেকে ৪৭ আসন পেতে পারে, শিবসেনা (ইউবিটি) ২১ থেকে ২৯ আসন পেতে পারে এবং শরদ পাওয়ারের দল ৩৫ থেকে ৪৩ আসন পেতে পারে।
ভোট ভাগের নিরিখে, মহারাষ্ট্রে মহাযুতি ৪৮ শতাংশ ভোট পেতে পারে এবং মহাবিকাশ আঘাদি ৪২ শতাংশ ভোট পেতে পারে। দশ শতাংশ ভোট অন্যের খাতায় যেতে পারে।
এক্সিট পোলের ফলাফলে স্পষ্ট হয়ে গেছে রাজ্যে কে সরকার গঠন করতে পারে। এবার মহারাষ্ট্রে মহাযুতি ও মহাবিকাশ আঘাড়ির মধ্যে লড়াই। এই প্রথম মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচনে শিবসেনা ও এনসিপি দুই দলে বিভক্ত।
এনসিপি-তে বিভক্তির পরে, একটি দল অজিত পাওয়ারের নেতৃত্বে রয়েছে এবং অন্য দল এনসিপি (এসপি) শরদ পাওয়ারের নেতৃত্বে রয়েছে। শরদ পাওয়ারের দল কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন বিরোধী মহা বিকাশ আঘাদি (এমভিএ) জোটের সাথে রয়েছে। অপরদিকে তাঁর ভাইপো অজিত পাওয়ারের নেতৃত্বাধীন এনসিপি রাজ্যের ক্ষমতাসীন মহাযুতি জোটের সাথে রয়েছে।
একইভাবে শিবসেনাও দুই দলে বিভক্ত। এতে একনাথ শিন্ডে এক গোষ্ঠীর নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং উদ্ধব ঠাকরে অন্য দল শিবসেনার (ইউবিটি) নেতৃত্ব দিচ্ছেন। শিন্ডে গোষ্ঠীর শিবসেনা রাজ্যের ক্ষমতাসীন মহাযুতির সাথে রয়েছে এবং উদ্ধব ঠাকরের দল মহাবিকাশ আঘাদি জোটের সাথে রয়েছে। বিজেপি এবং কংগ্রেস ছাড়াও মূল লড়াই শরদ পাওয়ারের এনসিপি (এসপি), অজিত পাওয়ারের নেতৃত্বাধীন এনসিপি, উদ্ধব গোষ্ঠী এবং শিন্ডে গোষ্ঠীর শিবসেনার মধ্যে।
মহারাষ্ট্রে ১৪৯টি আসনে বিজেপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। শিন্ডে গোষ্ঠীর শিবসেনা ৮১টি আসনে এবং অজিত পাওয়ারের নেতৃত্বাধীন এনসিপি ৫৯টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। এর পাশাপাশি, কংগ্রেস ১০১টি আসনে, উদ্ধব গোষ্ঠীর শিবসেনা (ইউবিটি) ৯৫টি আসনে এবং শরদ পাওয়ারের এনসিপি (এসপি) ৮৬টি আসনে প্রার্থী দিয়ে তাদের ভাগ্য পরীক্ষা করেছে। শিবসেনার দুই দলই ৫০টি আসনে মুখোমুখি। অন্যদিকে, এনসিপির প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলি ৩৭টি আসনে একে অপরের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিয়েছে।
No comments:
Post a Comment