নিজস্ব প্রতিবেদন, ২৫ নভেম্বর, কলকাতা : মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের বিরুদ্ধে কড়া নাড়তে শুরু করেছেন। সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে দলের জাতীয় কার্যনির্বাহী সভায় তিনটি শৃঙ্খলা কমিটি গঠন করা হয়েছে, যেখানে দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জাতীয় মুখপাত্র করা হয়েছে। তাকে জাতীয় পর্যায়ে দলের নীতি নির্ধারণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জাতীয় পর্যায়ের ইস্যুতে দলের মতামত তুলে ধরবেন তিনি। অন্যদিকে সাংসদ সৌগত রায় ও সুখেন্দু শেখর রায়কে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের কোনও কমিটির সদস্য করা হয়নি।
বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রতিমন্ত্রী মানস ভূঁইয়া, দলীয় সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ মালা রায় এবং জাভেদ খান জাতীয় কার্যনির্বাহী সংসদে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। এটি দলের সর্বশক্তিমান ওয়ার্কিং কমিটি।
দলের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মর্যাদা আরও বেড়েছে দলে। তিনি জাতীয় বিষয়ক সরকারি মুখপাত্র হিসেবেও দায়িত্ব পালন করবেন। তার নিয়োগ তার জাতীয় উপস্থিতি বাড়ানো এবং জাতীয় পর্যায়ে তাকে দলের মুখ করে তোলার দিকে দলের ফোকাস তুলে ধরে।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি ডেরেক ও'ব্রায়েন, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, কীর্তি আজাদ, সুস্মিতা দেব এবং সাগরিকা ঘোষকে জাতীয় মুখপাত্র করা হয়েছে।
জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সিনিয়র তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্য মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেছেন যে আরও ভাল শৃঙ্খলা এবং কার্যকর নেতৃত্ব নিশ্চিত করার জন্য তিনটি শৃঙ্খলা কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, ডেরেক ও'ব্রায়েন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নাদিমুল হককে সংসদীয় শৃঙ্খলা কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাস, দেবাশীষ কুমার, নির্মল ঘোষ এবং ফিরহাদ হাকিমকে রাজ্য বিধানসভার শৃঙ্খলা কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সুব্রত বক্সী, সুজিত বোস, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে রাজ্য স্তরের শৃঙ্খলা কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গেও দলের মুখপাত্র নিয়োগ করা হয়েছে। অর্থ ইস্যুতে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। শিল্প ইস্যুতে শশী পাঞ্জা এবং পার্থ ভৌমিক। উত্তরবঙ্গের ইস্যুতে গৌতম দেব, উদয়ন গুহ, প্রকাশচিক বারিক, ঝাড়গ্রামের ক্ষেত্রে বীরবাহা হাঁসদা, চা বাগানের ক্ষেত্রে বলবেন মলয় ঘটক।
একইভাবে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, কুণাল ঘোষ, শশী পাঁজা, মলয় ঘটক, মানস ভূঁইয়া এবং সুমন কাঞ্জিলালকে বিধানসভায় মুখপাত্র করা হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এই কৌশলগত রদবদলকে অভিজ্ঞ নেতাদের এগিয়ে আনার পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা বছরের পর বছর তাদের অবদানের জন্য দলের স্বীকৃতি প্রতিফলিত করে।
No comments:
Post a Comment