"কেন্দ্র যে পদক্ষেপই করুক না কেন আমরা পাশে আছি", বাংলাদেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী মমতার - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Thursday, 28 November 2024

"কেন্দ্র যে পদক্ষেপই করুক না কেন আমরা পাশে আছি", বাংলাদেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী মমতার



নিজস্ব প্রতিবেদন, ২৮ নভেম্বর, কলকাতা : বাংলাদেশে হিন্দুদের বিরুদ্ধে সহিংস ঘটনা এবং ইসকন মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে কারাগারে পাঠানোর বিষয়েও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  তিনি বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, "কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া।"  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন যে, "কেন্দ্রীয় সরকার যে পদক্ষেপই করুক না কেন আমরা পাশে আছি।" বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "এটা অন্য দেশের ব্যাপার।  অতএব, আমি এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাই না কারণ এটি আমাদের এখতিয়ারের বাইরের বিষয়।" 



 তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আলাদা দেশ।  ভারত সরকার বিষয়টি দেখবে।  এটা আমাদের এখতিয়ারের মধ্যে আসে না।  আমাদের এই বিষয়ে কথা বলা বা হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়।  যদিও আমরা গভীরভাবে দুঃখিত (বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে), আমরা কেন্দ্রের দ্বারা নির্ধারিত নীতি অনুসরণ করি।'  তবে ইসকনের আধিকারিকদের সঙ্গে কথোপকথনের বিষয়ে তিনি আর কোনও তথ্য দেননি।  তিনি বলেন, "বাংলাদেশে হিন্দুদের বিরুদ্ধে যে ঘটনা ঘটছে তাতে আমি হতাশ।"



 বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমরা চাই না কোনও ধর্মের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হোক।  আমি এখানে ইসকনের প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলেছি।  এই ঘটনা অন্য দেশে ঘটেছে, তাই আমরা কিছু করতে পারি না।  কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া।  এ বিষয়ে আমরা তার সঙ্গে আছি।' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগে অভিষেকও বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।  তিনি বলেন, "বাংলাদেশে যা হচ্ছে তা খুবই দুঃখজনক।  কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত এই বিষয়ে সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নেওয়া।"  তিনি ছাড়াও দলটির সিনিয়র নেতা সৌগত রায়ও বাংলাদেশ নিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন।



কংগ্রেসও বাংলাদেশ সম্পর্কে বিবৃতি জারি করেছে এবং বলেছে যে সেখানে যা ঘটছে তা দুর্ভাগ্যজনক এবং উদ্বেগজনক।  কংগ্রেসের সংবাদ মাধ্যম বিভাগের প্রধান পবন খেদা এক বিবৃতিতে বলেছেন, 'ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তাহীনতার পরিবেশে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে।  ইসকন সাধুকে গ্রেফতার করা তার সর্বশেষ উদাহরণ হিসেবে ভারত সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ এবং সংখ্যালঘুদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য চাপ সৃষ্টি করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।'


No comments:

Post a Comment

Post Top Ad