প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ৩০ নভেম্বর : বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করে চলেছেন। কোনও কোনও জায়গায় বিজ্ঞানীরা রোগের সঙ্গে লড়াই করার ওষুধ তৈরি করেন, আবার কোনও জায়গায় বিশেষজ্ঞরা মাটি খুঁড়ে প্রাচীনকালের জীবন সম্পর্কে জানতে চান। জমি খননের সময় হাজার হাজার বছর আগে এমন অনেক রহস্যময় জিনিসের তথ্য পাওয়া যায়। এই সময়কালে, গুপ্তধনও হাতে পড়ে। কিন্তু আজ জানুন একটি হ্রদ খননে পাওয়া গুপ্তধনের কথা। আসলে, বিজ্ঞানীরা যখন আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত সল্টন লেক খনন করছিলেন, তখন তাদের চোখ পড়ে ৫৪০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের গুপ্তধনের উপর। এই ধনটা 'সাদা সোনার' ভাণ্ডার ছাড়া আর কিছুই নয়, যা দেখে তার চোখ আনন্দে ঝলমল করে উঠল। লিথিয়ামকে 'সাদা সোনা' বলা হয় কারণ এটি দেখতে সাদা বালির মতো।
এই সংক্রান্ত অনেক পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সালটন সাগরকে ক্যালিফোর্নিয়ার বৃহত্তম হ্রদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিজ্ঞানীরা জ্বালানি বিভাগের অর্থায়নে গবেষণার অংশ হিসাবে এই হ্রদটি অধ্যয়ন করছিলেন। এই গবেষণার উদ্দেশ্য ছিল হ্রদের তলদেশে কতটা লিথিয়াম আছে তা খুঁজে বের করা। বিজ্ঞানীরা প্রাথমিকভাবে অনুমান করেছিলেন যে সম্ভবত ৪ মিলিয়ন টন লিথিয়াম হ্রদের ভিতরে থাকতে পারে। কিন্তু ড্রিলিং মেশিন দিয়ে খনন শুরু হতেই তার অনুমান ভুল প্রমাণিত হতে থাকে। এখন বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন যে হ্রদে ১৮ মিলিয়ন টন পর্যন্ত লিথিয়াম সংরক্ষণ করা যেতে পারে, যা আনুমানিক পরিমাণের চেয়ে অনেক বেশি। এই সাদা সোনা অর্থাৎ লিথিয়াম আবিষ্কারের ফলে আমেরিকা অনেক উপকৃত হতে চলেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সালটন লেকে এত বেশি লিথিয়াম পাওয়া গেছে যে ৩৮২ মিলিয়ন বৈদ্যুতিক গাড়ির জন্য ব্যাটারি তৈরি করা যেতে পারে এবং আমেরিকা রাসায়নিক ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানীয় দেশ হতে চীনকে ছাড়িয়ে যাবে। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক মাইকেল ম্যাককিবেন বলেন, 'এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় লিথিয়াম মজুদ, যা আমেরিকাকে লিথিয়ামে সম্পূর্ণ স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তুলতে পারে।' লিথিয়ামের দিক থেকে আমেরিকা। কিন্তু এখন এই নতুন আবিষ্কারের অর্থ হল এই হ্রদটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় লিথিয়ামের উৎস।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই স্টক এতটাই বড় যে আমেরিকায় বর্তমানে চলমান সব গাড়ির ব্যাটারি সহজেই তৈরি করা যায়। এছাড়া অন্যান্য দেশেও রপ্তানি করা যায়। তবে এর জন্য সব লিথিয়াম পেতে হবে। এই খবরটি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলেও, এই বিষয়টি প্রায় এক বছরের পুরোনো, যখন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে এই সম্পর্কিত খবর আসে।
No comments:
Post a Comment