নিজস্ব প্রতিবেদন, ১১ নভেম্বর, কলকাতা : কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের তিন মাস পেরিয়ে গেছে। এবার এই মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন এক নার্সিং ছাত্রী। তার হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে এখনও স্পষ্ট নয় কীভাবে চোট লেগেছে? সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আরজি করে তার চিকিৎসা চলছে। বলা হচ্ছে, হোস্টেলে রুমমেটের সঙ্গে বিবাদের জেরে ওই ছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
ঘটনার খবর দেওয়া হয়েছে টালা থানায়। সূত্রের খবর, ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ছাত্রীটি বর্তমানে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ভর্তি রয়েছে। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে।
ঘটনার বিষয়ে আরজি কর-এর নার্সেস ইউনিটের তরফে ভাস্বতী মুখোপাধ্যায় বলেন, "হোস্টেল হোক বা হাসপাতাল, ছাত্রী নার্সদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করতে হবে। আমি আশা করি যারা দায়িত্বে আছেন তারা বিষয়টি আরও সহানুভূতির সাথে বিবেচনা করবেন।"
গত ৯ আগস্ট আরজি করের সেমিনার হল থেকে ছাত্রী ডাক্তারের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পাঁচ দিন পরে, ১৪ আগস্ট, আরজি কর বহিরাগতদের দ্বারা আক্রমণের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়। এই মামলায় অভিযুক্ত করা হয় হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। এই মামলায় প্রধান অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় সহ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। বর্তমানে বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে।
গত ৩ মাসে আরজি কর নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। থ্রেট কালচারের অভিযোগ উঠেছে। সব জুনিয়র চিকিৎসকরা গত ৩ মাস ধরে ওই ছাত্রী ডাক্তারের বিচার দাবী করে আসছেন। এমতাবস্থায় মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেলে নার্সিং ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় নতুন করে প্রশ্ন উঠছে।
শনিবার রাতে ওই নার্সিং ছাত্রী নিজ কক্ষে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে জানা গেছে। নার্সেস ইউনিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শনিবার ওই নার্সিং ছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তিনি বলেন যে, "তিনি জানতে পেরেছিলেন যে হোস্টেলে রুমমেট বা অন্য কারও সাথে কিছু সমস্যা ছিল। মেয়েটি বিষয়টি ওয়ার্ডেনকে জানায়। তারা কি জানে না? ওয়ার্ডেন কি করেছে? তবে ৯ আগস্টের পর অবশ্যই শিক্ষার্থীদের মনে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যার কাছে তিনি অভিযোগ করেছেন তাকে আরও দায়িত্ব নিতে হবে। মেয়ে শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে সুস্থ রাখতে হবে। শিক্ষার্থীরা সুস্থ পরিবেশে প্রশিক্ষণ নিতে পারে। এটা সবারই দেখা উচিত।"
No comments:
Post a Comment