প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ১৬ নভেম্বর : হিমাচল প্রদেশকে দেবভূমি বলা হয়। এখানে পাহাড়, বন আর সবুজের অভাব নেই। কিন্তু এখন হিমাচল থেকেও চড়ুইরা হারিয়ে যাচ্ছে। চড়ুই খুব কমই দেখা যাচ্ছে বিশেষ করে মান্ডি শহরে বহু বছর ধরে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন এর পেছনের কারণগুলো হচ্ছে মোবাইল নেটওয়ার্কের নির্বিচার উন্নয়ন এবং ক্রমবর্ধমান রেডিয়েশন। বাজারে ক্রমবর্ধমান বিকিরণের কারণে চড়ুইরা এখন গ্রামের দিকে পাড়ি জমাচ্ছে। 5G নেটওয়ার্ক আসার আগে এই পাখিটি মান্ডি শহরে দেখা গেলেও এখন মান্ডি শহরে তাদের দেখা খুব কঠিন হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে মান্ডির পরিবেশ প্রেমী নরেন্দ্র সাইনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, তিনি ছোট থেকেই মান্ডি শহরে চড়ুই দেখে আসছেন। আগে ঘরে ঘরে এসব পাখির বাসা থাকতো, কিন্তু বর্তমান যুগে প্রযুক্তি ও নেটওয়ার্ক এতটাই শক্তিশালী হয়ে উঠেছে যে এর তেজস্ক্রিয়তায় এসব ছোট পাখি মারা যেতে শুরু করেছে। তারা তাদের বাসার ঠিকানা ভুলে যায়। পথভ্রষ্ট হন। এ কারণে মান্ডি শহর থেকে এসব পাখি পাড়ি জমাচ্ছে। পরিবেশগত দিক থেকে এসব পাখির দেশান্তর দুঃখজনক।
নরেন্দ্র সাইনি জানিয়েছেন, প্রাচীনকালে লোকেরা চড়ুই পাখির বিশেষ যত্ন নিত। প্রতিটি বাড়িতে তাদের বাসা পাওয়া গেছে। এর পেছনের কারণ হলো এই পাখিটির একটি আশ্চর্য বুদ্ধি আছে। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার আগেই সে জোরে চিৎকার শুরু করে। যেমন, ভূমিকম্প হলে, ঘরে সাপ ঢুকলে বা কোনও বন্য প্রাণী দেখা গেলে চড়ুই চিৎকার শুরু করত। এ কারণে মানুষ বিপদ সম্পর্কে সচেতন হয়ে সতর্ক হয়ে ওঠে। অনেক সময় মানুষ অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সফল হয়েছে।
এই পাখিটি মান্ডি শহর থেকে স্থানান্তরিত হয়েছে, তবে মান্ডি শহর থেকে দূরে অবস্থিত অনেক গ্রামে এখনও চড়ুই রয়েছে। কিন্তু, মান্ডি শহরের পরবর্তী প্রজন্ম তাদের বাড়িতে এটি দেখতে পাবে না। হয়তো কথাটি এখানে সত্য বলে মনে হয় যে কিছু পেতে হলে কিছু হারাতে হয়।
No comments:
Post a Comment