প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,২৩ নভেম্বর: আপনি অবশ্যই হাঁটছেন,কিন্তু আপনি কি সঠিক ভাবে হাঁটছেন?হাঁটার সেরা উপায় ৬-৬-৬ বলে মনে করা হয়।এর নিয়ম কী?এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিন।
হাঁটা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য একটি আশীর্বাদ।কিন্তু হাঁটার সঠিক উপায় জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।এটি অনেক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে,হাঁটা হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে এবং চাপ কমায়।হাঁটলে মুডও ভালো থাকে।হাঁটা শরীরের পুরো সিস্টেমকে ফিট ও সুস্থ রাখে।আজকাল ৬-৬-৬ নিয়মটি হাঁটার জন্য সেরা হিসাবে বিবেচিত হয়।বিশেষজ্ঞদের দাবি ৬-৬-৬ নিয়ম অনুযায়ী হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে বেশি উপকারী। আসুন জেনে নেই ৬-৬-৬ এর নিয়ম কী।
৬-৬-৬ এর নিয়মটি খুবই সহজ।এর মানে হল যে আপনি প্রথমে সকাল ৬ টায় বা সন্ধ্যায় ৬ মিনিটের জন্য ওয়ার্ম আপ করুন এবং তারপর হাঁটুন এবং অবশেষে ৬ মিনিট স্ট্রেচিং করুন যাতে আপনার শরীর স্বাভাবিক হয়ে যায় এবং আগের অবস্থায় ফিরে আসে।গবেষণায় বলা হয়েছে,সকাল ৬টায় হাঁটলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়।উচ্চ দূষণ বা প্রচন্ড ঠাণ্ডার সময় সকাল ৬ টায় হাঁটা উচিৎ নয়।গবেষণায় দেখা গেছে সকাল ৬টায় হাঁটলে হৃদরোগের ঝুঁকি ৩৫ শতাংশ কমে যায়।এই সময় বাতাস পরিষ্কার থাকে।এই সময় মেটাবলিজমও দ্রুত থাকে।তাই শরীরে শক্তির মাত্রাও ঠিক থাকে।সবচেয়ে বড় কথা সকাল ৬টা থেকে কোনও কাজ থাকে না।আপনি যদি সহজেই সকাল ৬ টায় ঘুম থেকে ওঠেন তবে আপনি এক ঘন্টা বাদে ৭টার পরে সবকিছু করতে পারবেন।সকাল ৬টায় সময় না থাকলে সন্ধ্যা ৬টায়ও হাঁটতে পারেন।আপনি যদি কাজ শেষে সন্ধ্যা ৬ টায় হাঁটাহাঁটি করেন তবে এটি আপনার মুড উন্নত করবে এবং শরীরের জন্য প্রচুর উপকার হবে।
হাঁটার সঠিক পদ্ধতি এবং সময় -
গবেষণা বলছে অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা উচিৎ।আপনি যদি আরও ভালো ফলাফল চান তবে এক ঘন্টা হাঁটা উপকারী হবে। এক ঘণ্টা হাঁটলে কয়েক মাসের মধ্যে শরীর থেকে বাড়তি মেদ ঝরবে।মেটাবলিজম বৃদ্ধি পাবে যার ফলে ওজন বাড়বে না এবং শরীরে শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি পাবে।এটি আপনাকে হৃদরোগের ঝুঁকি থেকেও রক্ষা করবে।ব্রিটিশ জার্নাল অফ স্পোর্টস মেডিসিন অনুসারে,৩০ থেকে ৬০ মিনিট হাঁটা ফুসফুসের কার্যকারিতা এবং স্ট্যামিনাকে বাড়িয়ে তুলবে এবং অনেক রোগের ঝুঁকি হ্রাস করবে।এতে শারীরিক সুস্থতা বাড়বে।মনে রাখবেন আপনি যখন হাঁটবেন তার গতি যেন ঘন্টায় ৬ কিলোমিটারের কম না হয়,কম গতিতে হাঁটলে কোনও লাভ নেই।হাঁটার সময় ঘামতে হবে।একই সময়ে,শুরুতে ৬ মিনিটের ওয়ার্ম আপ এবং শেষের দিকে মোট ৬ মিনিট ডাউন স্ট্রেচিংও খুব গুরুত্বপূর্ণ।এছাড়াও মনে রাখবেন যে এই নিয়মটি দুই-চার দিন মেনে চললে কিছুই হবে না।এটি ধারাবাহিকভাবে মেনে চলতে হবে।
বি.দ্র: এই বিষয়বস্তু,পরামর্শ সহ, শুধুমাত্র সাধারণ তথ্য প্রদান করে।এটা কোনওভাবেই যোগ্য চিকিৎসা মতামতের বিকল্প নয়। আরও তথ্যের জন্য সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞ বা আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। প্রেসকার্ড নিউজ এর দায় স্বীকার করে না।
No comments:
Post a Comment