প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,১৬ নভেম্বর: জেলায় টিবির ব্যাকটেরিয়া ফুসফুসে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে।স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যান এটি নিশ্চিত করেছে।গত বছরের তুলনায় এই বছর মামলার সংখ্যা বেড়েছে ১১৬১টি।প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে গত বছর ৭০৯০ জন রোগী পাওয়া গেছে,যেখানে এবার ১১ মাসে ৮২৫১ জন টিবি রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এর মধ্যে নভেম্বর মাসে এই পর্যন্ত আবিষ্কৃত ২২৫ জন টিবি রোগীকে অনুদান হিসেবে ৫০০ টাকার পরিবর্তে ১০০০ টাকা দেওয়া হবে।কারণ রাজ্য সরকার রোগীদের জন্য খাদ্য ভর্তুকি দ্বিগুণ করেছে।২০২৫ সালের মধ্যে দেশকে টিবি মুক্ত করার লক্ষ্য কেন্দ্রীয় সরকারের।যক্ষ্মা বিভাগের পক্ষ থেকে স্ক্রিনিং ও সচেতনতামূলক প্রচারণা চলছে।
২০২৩ সালে জেলায় ৭০৬৭৩ জনকে স্ক্রিনিং করা হয়েছিল।এর মধ্যে ৩৫ হাজার ৯৯৪ জন পরীক্ষার জন্য এগিয়ে এসেছেন।এই বছর এই পর্যন্ত ৬৬২৪৭ জনের স্ক্রীনিং করা হয়েছে এবং ৬৬৩০৩ জনের পরীক্ষা করা হয়েছে।এতে ৮২৫১ জন যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয়েছে।
জেলার রোগীদের মধ্যে ৫৫ শতাংশ ফুসফুসের এবং ৪৫ শতাংশ এক্স্ট্রা পালমোনারি।বিশেষজ্ঞরা বলছেন টিবির ব্যাকটেরিয়া শুধু ফুসফুসই নয়,মেরুদণ্ড ও হাড়কেও ফাঁপা করছে।শুধু তাই নয়,নারীদের জরায়ুও এর দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে। স্ক্রিনিংয়ের পরিধি যেমন বাড়ছে,রোগীর সংখ্যাও ক্রমাগত বাড়ছে।শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত মানুষ টিবি সংক্রমণের শিকার হচ্ছে।
রোগীর কোর্স কী?
প্রথম পর্যায়ে ৬ থেকে ৮ মাস রোগীকে প্রতিদিন ওষুধ খেতে হয়।যদি একজন রোগী মাঝপথে ওষুধ ছেড়ে দেন,তবে তার আবার মাল্টি-ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট টিবি (এমডিআর) হবে।সেই রোগীকে ২৪ থেকে ২৭ মাস ধরে প্রতিদিন ওষুধ খেতে হবে।
এমডিআর-এ আক্রান্ত রোগী মাঝপথে ওষুধ ছেড়ে দিলে,তার রোগ মারাত্মক হয়ে ওঠে এবং ফিরে আসে,যাকে বলা হয় এক্স ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট (এক্সডিআর) টিবি।XDR রোগীকে ২৭ থেকে ৩০ মাস ওষুধ খেতে হবে।
রোগীদের বছরভিত্তিক সংখ্যা -
২০১৯ ৭১০৮,
২০২০ ৫৭৩৬,
২০২১ ৬২৯৪,
২০২২ ৬৮৫১,
২০২৩ ৭০৯০,
২০২৪ ৮২৫১ (এখন পর্যন্ত)।
ঘরে ঘরে অনুসন্ধান -
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ১ নভেম্বর থেকে যক্ষ্মা রোগীদের খোঁজে ডোর টু ডোর ক্যাম্পেইন চালানো হচ্ছে।এতে ১০৫০ জন আশাকর্মীর ডিউটি করা হয়েছে।যেটি সবচেয়ে স্পর্শকাতর এলাকায় গিয়ে স্ক্রিনিং করছে।
এক নজরে -
১৪ বছর বয়সী রোগীর সংখ্যা ৪৪১ জন।
৩৫৭২ জন টিবিতে আক্রান্ত মহিলা পাওয়া গেছে।
জেলায় যক্ষ্মায় আক্রান্ত পুরুষের সংখ্যা ৪৬৭৬ জন।
এই বছর প্রায় ৪০০০ রোগী দত্তক নেওয়া হয়েছে।
৬০৮৯ টিবি রোগীকে অনুদান দেওয়া হচ্ছে।
প্রতি বছর ০৩ শতাংশ টিবি রোগী মারা যায়।
০৬টি চিকিৎসা ইউনিট।
জেলায় ২২টি মাইক্রোস্কোপিক সেন্টার রয়েছে।
১৫টি কেন্দ্রে স্পুটাম পরীক্ষা করা হয়।
সচেতনতা ও স্ক্রিনিংয়ের ফলে যক্ষ্মা রোগীদের চিহ্নিত করে যথাসময়ে চিকিৎসা শুরু করা হচ্ছে।নভেম্বর থেকে যক্ষ্মা রোগীদের খাদ্য অনুদান হিসাবে ৫০০ টাকার পরিবর্তে ১০০০ টাকা করে দেওয়া হবে।
No comments:
Post a Comment