প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ১৯ নভেম্বর : আজ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের এক হাজার দিন পেরিয়ে গেছে। ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে যে যুদ্ধ চলছে তার মধ্যে মঙ্গলবার এমন কিছু ঘটেছে যা এই যুদ্ধকে আরও ভয়ঙ্কর করে তুলতে পারে। সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউক্রেনের সেনাবাহিনী পুতিনের আঁকা লাল রেখা অতিক্রম করে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়।
আমেরিকার কাছ থেকে মুক্ত হ্যান্ড পাওয়ার পর, ইউক্রেন প্রথমবারের মতো রাশিয়ার ভূখণ্ডে আমেরিকার কাছ থেকে পাওয়া দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। আরবিসি ইউক্রেনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের সেনাবাহিনী রাশিয়ার ভূখণ্ডের অধীনস্থ সীমান্ত এলাকায় আমেরিকা থেকে পাওয়া ATACMS ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যা রাশিয়ার পক্ষ থেকেও নিশ্চিত করা হয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইউক্রেনের সেনারা রাতে ব্রায়ানস্ক অঞ্চলে একটি লক্ষ্যবস্তুতে ৬টি ATACMS ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। আরআইএ নভোস্তি মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে যে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলির মধ্যে ৫টি গুলি করে এবং অন্য একটি ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষতি করতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু মিসাইলের টুকরোগুলো সামরিক স্থাপনার প্রযুক্তিগত এলাকায় পড়ে আগুনের সৃষ্টি করে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় রাশিয়ায় কোনও হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
এই হামলা এমন এক সময়ে ঘটেছে যখন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দেশটির পারমাণবিক মতবাদে পরিবর্তনের অনুমোদন দিয়েছেন। রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার সংক্রান্ত এই নিয়ম অনুযায়ী, যদি কোনও দেশ পরমাণু শক্তিধর দেশের সহযোগিতায় রাশিয়ার ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, তাহলে এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে।
শুধু তাই নয়, রাশিয়ার পারমাণবিক নীতির পরিবর্তন অনুযায়ী, যদি কোনও জোটের সদস্য দেশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে হামলা চালায়, তাহলে মস্কো এই হামলাকে পুরো জোটের দ্বারা পরিচালিত হামলা হিসেবে বিবেচনা করবে। তার মানে, যদি আমেরিকান অস্ত্র রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়, তাহলে রাশিয়া তার জন্য পুরো ন্যাটো জোটকেই দায়ী করবে।
No comments:
Post a Comment