নিজস্ব প্রতিবেদন, ৩১ ডিসেম্বর, কলকাতা : দিল্লীর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ২০ হাজার টাকা ভাতা আম আদমি পার্টির সরকার আবার ক্ষমতায় এলে পুরোহিত এবং গুরুদ্বার পুরোহিতদের প্রতি মাসে ১৮,০০০ টাকা ভাতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কেজরিওয়ালের এই ঘোষণার পরই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলার রাজনীতি। বাংলার মসজিদের ইমামরা মমতা সরকারের কাছে প্রতি মাসে ২০,০০০ টাকা ভাতা দাবী করেছেন। এর জন্য তিনি দিল্লীতে কেজরিওয়ালের ঘোষণার উদাহরণ দিচ্ছেন। ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা ও নাখোদা মসজিদের ইমামও ভাতা বৃদ্ধির অন্তর্ভুক্ত।
টিভি৯ বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়, ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা ইব্রাহিম সিদ্দিকী বলেছেন, "কেজরিওয়াল ভালো কাজ করেছেন। বাংলায় কেন এমন হবে না? এখানে পুরোহিত, ইমাম ও মুয়াজ্জাম আছেন। এখানেও ভাতা বাড়াতে হবে। আমাদের দাবীর আগেই এই ভাতা বাড়ানো উচিত ছিল। তাই আমি আশা করি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরোহিত ভাতা, ইমাম ভাতা, মুয়াজ্জম ভাতা বাড়াবেন। আমাদের দাবী এই ভাতা বাড়ানো হোক।"
তিনি আরও বলেন, তিনি দেখছেন এখানে কেউ কথা বলছে না। আপনি যদি নীরব থাকেন এবং বিষয়টি অনুসরণ না করেন তবে আপনাকে আর অর্থ প্রদান করতে হবে না। আমরা বাংলার সকল মানুষকে তাদের আওয়াজ তুলতে বলব। একই সঙ্গে নাখোদা মসজিদের ইমাম মাওলানা শফিক কাজমি বলেন, আমি সরকারের কাছে আবেদন করছি, ইমামদের ২০ হাজার টাকা দিলে ভালো হয়। একটু সাহায্য করলে ভালো হয়।
তৃণমূল সরকার ইমামদের ৩০০০ টাকা, মোয়াজ্জামদের ১৫০০ টাকা এবং পুরোহিতদের ১৫০০ টাকা দেয়৷ ইব্রাহিম সিদ্দিকী এই ভাতা বাড়ানোর দাবী তুলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে বলেন।
পশ্চিম মেদিনীপুরের ইমাম-মোয়াজ্জামের ঠোঁটেও একই সুর। ইমাম শেখ সাজু বলেন, নেতাজিকে বাড়ির ভেতরে ডেকে আমরা হতাশ হয়েছি। তবে ভাতা মাত্র ৫০০ টাকা বাড়ানো হলেও ভাতার চেয়েও বেশি দাবী রয়েছে। ইমাম আব্দুল মুত্তালী (রহ.) বলেন, শুনেছি ইমাম-মোয়াযমের খরচের জন্য কিছু দেওয়া হবে, আমি তাও পাইনি। শুনেছি বাড়ি দিতে বলা হয়েছিল, কিন্তু তাও দেওয়া হয়নি।
পুরোহিত দেবাশীষ চক্রবর্তী বলেন, "দিল্লীর পুরোহিতরা আলাদা আর বাংলার পুরোহিতরা আলাদা। প্রত্যেকেরই কোনও না কোনওভাবে টাকা পাওয়া উচিত। এখন সবাই ভাতা পায় না। আমরা যা পাই তা পরিবারের ভরণপোষণের জন্য যথেষ্ট নয়।"
No comments:
Post a Comment