অবতরণে বিপত্তি, দেওয়ালে সজোরে ধাক্কা! ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা দক্ষিণ কোরিয়ায়, বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Sunday, 29 December 2024

অবতরণে বিপত্তি, দেওয়ালে সজোরে ধাক্কা! ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা দক্ষিণ কোরিয়ায়, বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা


প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ২৯ ডিসেম্বর: রানওয়ে থেকে পিছলে গেল বিমান। ভয়াবহ দুর্ঘটনা দক্ষিণ কোরিয়ায়। রবিবার বিমানবন্দরে একটি বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ারে ত্রুটি দেখা দেয়। এর ফলে উড়োজাহাজটি রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে দেওয়ালের সাথে ধাক্কা খায়। এর পর বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সির মতে, আগুনে ঝলসে ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগুনের খবর পেয়ে বিমানবন্দরে নিয়োজিত ফায়ার ব্রিগেডের দল তৎক্ষণাৎ তৎপর হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বিমানটিতে প্রায় ১৮০ জন লোক ছিলেন। 


সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, রবিবার দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান বিমানবন্দরে দুর্ঘটনাটি ঘটে। জেজু এয়ারের একটি বিমানে আগুন লেগেছে। এই ফ্লাইটটি থাইল্যান্ড থেকে ফিরছিল। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে শেয়ার করা ছবিতে বিমানটিকে জ্বলতে দেখা যায়। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান চলছে।



ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেজু এয়ারের এই বিমানটি থাইল্যান্ড থেকে ফিরছিল। অবতরণের সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। মুয়ান বিমানবন্দরের এক আধিকারিক জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। একই সময়ে দমকল কর্তারা জানিয়েছেন যে, তাঁরা দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগুন নিভিয়ে ফেলেছেন। রয়টার্স জানায়, মুয়ান বিমানবন্দরে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকায় দুজনকে জীবিত পাওয়া গেছে।


ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাখিটির সাথে সম্পর্কে আসার কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যার করে ল্যান্ডিং গিয়ারে ত্রুটি দেখা দিয়েছে। এই বিমানটি মুয়ান বিমানবন্দরে অবতরণের চেষ্টা করছিল।


ব্যাংকক থেকে আসা ফ্লাইটে ১৭৫ জন যাত্রীর মধ্যে ১৭৩ জন কোরিয়ান এবং দুজন থাই নাগরিক বলে জানিয়েছেন। ছয়জন ক্রু সদস্য ছিলেন। ন্যাশনাল ফায়ার এজেন্সি জানিয়েছে যে সকাল ৯.৪৬ মিনিটে প্রাথমিক আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছিল, ৯.০৩ টায় প্রথম জরুরি কল পাওয়ার ৪৩ মিনিট পরে। স্থানীয় দমকল বিভাগ সিএনএনকে জানিয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম দক্ষিণ কোরিয়ার একটি বিমানবন্দরে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয় এবং কমপক্ষে ৪৭ জন নিহত হয়েছেন।


এদিকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সুং-মোক সব ধরনের উদ্ধার তৎপরতার নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর কার্যালয় এ তথ্য জানিয়েছে। চলমান রাজনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে পূর্ববর্তী ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতিকে অভিশংসন করায় শুক্রবার তাঁকে দেশের অন্তর্বর্তীকালীন নেতা করা হয়েছে।


উল্লেখ্য, গত বুধবার আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান কাজাখস্তানের আকতাউ শহরের কাছে বিধ্বস্ত হয়, এতে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়। আজারবাইজান এয়ারলাইন্স এর আগে বলেছিল যে তাদের এমব্রেয়ার ১৯০ বিমানটিকে শহর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে জরুরি অবতরণ করতে হয়েছিল। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বিমানটি আজারবাইজানের রাজধানী বাকু থেকে রাশিয়ার গ্রোনজি শহরের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল।


আজারবাইজান এয়ারলাইন্স জানায়, বিমানটিতে থাকা ৪২ জন যাত্রী আজারবাইজানের নাগরিক। এছাড়া ১৬ জন রাশিয়ান, কাজাখস্তানের ৬ জন এবং কিরগিজস্তানের ৩ জন নাগরিক ছিলেন।


অনলাইনে প্রকাশিত একটি মোবাইল ফোন থেকে নেওয়া ভিডিওতে, বিমানটিকে দ্রুত মাটিতে পড়ে এবং আগুন জ্বলে উঠতে দেখা যায়। আরেকটি ফুটেজে দেখা গেছে, প্লেনের লেজের অংশটি ডানা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এবং বাকি অংশটি ঘাসে উল্টো হয়ে পড়ে আছে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad