Friday, January 31, 2025

'যার থাকার সে রয়ে যাবে’, বললেন ছোটপর্দার অনিকেত



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ৩১ জানুয়ারি : বাংলা সিরিয়ালের মধ্যে দর্শকের চাহিদার প্রথম পছন্দের তালিকায় রয়েছে শ্বেতা ভট্টাচার্য এবং রণজয় বিষ্ণু অভিনীত ধারাবাহিক ‘কোন গোপনে মন ভেসেছে’। জি-বাংলার এই মেগা এখন টিআরপি এবং পর্দা দুটোই কাঁপাচ্ছে। প্রতি সপ্তাহে নিত্য নতুন চমক দেখিয়ে এক থেকে চারের মধ্যে জায়গা দখল করে রাখে এই মেগা। 


টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে অত্যন্ত পরিচিত মুখ ছোটপর্দার অনিকেত ওরফে রণজয় বিষ্ণু। এই মুহূর্তে যাকে জি বাংলার ‘কোন গোপনে মন ভেসেছে’ধারাবাহিকে দেখছে দর্শক। ধারাবাহিক থেকে শুরু করে সিনেমা জগতেও নিজের পরিচিতি গড়েছেন রণজয়।


এই মুহূর্তে ধারাবাহিকের পাশাপাশি পর্দায় আসন্ন ‘রাশ’ ছবিতেও শুটিং চলছে অভিনেতার। এমনকি গতবছর শুট করা তার কিছু ছবিও আগামী দিনে মুক্তি পেতে চলেছে।


সম্প্রতি কোনও এক সাক্ষাৎকারে নিজের পেশাগত জীবন থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবন, সবকিছু নিয়েই অকপট রণজয় বিষ্ণু। কবে বিয়ের পিঁড়িতে বস্তে চলেছেন অভিনেতা?


প্রশ্নের উত্তরে রণজয় জানান, ‘যেদিন আমি জানতে পারব সেদিন সবাইকে জানিয়ে দেব।’ বলা বাহুল্য এর আগেও অভিনেত্রী সোহিনী সরকারের সাথে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন রণজয়। যদিও সেই প্রেমের সম্পর্ক টেকেনি। প্রেমের সম্পর্কের অভিজ্ঞতা থেকে রণজয় জানান, ‘প্রথম সম্পর্কে আমি যখন গিয়েছিলাম, তখনও আমি ভেবেছিলাম এরপরে বিয়েই হবে। তবে আমি বিয়েতে প্রচন্ডভাবে বিশ্বাসী, আমি চাই করতে বিয়ে।’ সবশেষে অভিনেতা জানান, ‘যার থাকার হবে সে থেকে যায়, আর যার থাকার হবে না সে থাকবে না।’

‘বিবাহ নিয়ে যে বেলেল্লাপনা’, বৈদিক মতে বিয়ে নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ অভিনেতা ভাস্করের

 


প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ৩১ জানুয়ারি: আজকাল বিয়ে রীতি নিয়ম নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিয়ের ভিডিও দেখলে বোঝা যায় বিয়ের কনে-পাত্রের নাচ থেকে নানা রকম ট্রেন্ড। আবার আজকাল নতুন ট্রেন্ড বৈদিক মত। অনেকেই এই মতে বিয়ে করে থাকেন বিশেষ করে তারকারা। তবে এই বৈদিক মতের বিয়ের একেবারেই মানতে নরাজ অভিনেতা ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়।


কিছুদিন আগেই বৈদিক মতে বিয়ে সেরেছেন শ্বেতা-রুবেল থেকে বেশ কিছু তারকারা। এবার সেই নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করলেন ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়।


অভিনেতা ফেসবুকে পোস্ট করে লেখেন, ‘আমরা খুব দ্রুত এ কোথায় নামছি ( নাকি উঠছি !! ) …!! বিবাহ আমাদের একটা সনাতন প্রথা..একটা সংস্কার….ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি…। সেটা এখন একটা প্রহসনে রূপান্তরিত হয়েছে…।এখন বিবাহ একটা মজা বা মসতি..( কি সব বৈদিক মত !!….তার থেকেও বড় হচ্ছে বিবাহ নিয়ে যে বেলেললাপনা হচ্ছে…)..বর নাচতে নাচতে বিয়ে করতে আসছে…কোনে বেহায়ার।’


মতো অংগোভোংগি করছে…I love u…I Love u বলে লাফালাফি করছে…..একে অপরকে বিদেশী কায়দায় প্রকাশ্যেই চুম্বন করছে…বাবা/মা ( উভয় পক্ষের )তাতে তাল দিচ্ছে ….(কিছু করার নেই)…!! মেহেনদি হচ্ছে…সংগীত হচ্ছে…( যেগুলো আমাদের রীতি নয়)…।মানছি যুগ পাল্টেছে….কিন্ত সেটা সুস্থ না হলে সেই পরিবর্তনের কোন সুফল আছে কি ?? এটাই প্রমান করার চেষ্টা চলছে যে নারী/ পুরুষ সমান….দুজনই সমান…কিন্ত পুরুষ কি মা হতে পারবে নাকি নারী বাবা হতে পারবে !!?? এইটা প্রমান করতে গিয়ে সংসারটা রষাতলে যবে ( যচছেও) খুব দ্রুত…. বিবাহ বিচ্ছেদ বেড়ে গেছে ….কারন বিবাহ একটা তাতখনিক মজা নয়( আতসবাজির মতো)….একটা নিবিড় বন্ধন..একটা সংগে থাকার অঙ্গীকার…..যা আনেক প্রতিকুলতার মধ্যেও নিজের অবস্থান বজায় রাখে …। আগামি প্রজন্ম একটু এগিয়ে ফুল শয্যার বিষয় টাও প্রকাশ্যেই আনবে….সেটা আশা করি মেনে নেবেন….!! আমি হয়তো আপনাদের চোখে সেকেলে…তাই কিছু ফালতু কথা বলে ফেললাম….। সবাই সুখে থাকুক…এটাই কাম্য।”

গুণধর প্রেমিকের কীর্তি! ধ-র্ষণের পর পৈশাচিক নির্যাতন, চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু তরুণীর


প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ৩১ জানুয়ারি: ধর্ষণের পর শারীরিক নির্যাতনের শিকার ২০ বছরের তরুণী। শুক্রবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনা কেরালার চোটানিক্কারার। ২০ বছর বয়সী ওই তরুণীর প্রেমিকের (২৪ বছর বয়সী) বিরুদ্ধেই ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। পুলিশ অভিযুক্তর বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা এবং পকসো আইনের প্রাসঙ্গিক ধারায় মামলা দায়ের করেছে। অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের একটি দল এই মামলার তদন্ত করছে। 


নির্যাতিতার মায়ের দায়ের করা অভিযোগ অনুযায়ী, তার মেয়েকে তার বাড়িতে বর্বরতার পর অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া যায়। তাঁর গোপনাঙ্গ থেকে অনবরত রক্ত বের হচ্ছিল। পঞ্চায়েত সদস্য প্রদীপ কুমার বলেন, "তাঁর অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। তিনি মাটি থেকে উঠতেও পারছিল না। আমরা সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাই, কিন্তু তাঁর অবস্থা দেখে চিকিৎসকরা তাকে মেডিক্যাল কলেজে রেফার করেন। সেখানে তাঁকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছিল।"


তথ্য অনুযায়ী, নির্যাতিতা তাঁর মায়ের সঙ্গেই থাকত। তার বাবা অনেক আগেই গত হয়েছেন। কয়েকদিন আগেই তাঁর প্রেমিক ও বন্ধুদের হুমকির পর তাঁর মা অন্যত্র চলে যান। নির্যাতিতা একটি বিশেষ স্কুলে পড়াশোনা করতেন। তার সঙ্গে খুব নিষ্ঠুর আচরণ করা হয়। তাঁর গলায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গভীর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত আগে থেকেই নির্যাতিতাকে চিনত। কিন্তু তিনি তাকে লাগাতার মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করতেন।


নির্যাতিতার মা জানান, সে প্রায়ই তাঁদের বাড়িতে আসত। প্রতিবেশীরা তার আসার বিরোধিতা করার পর সে ক্ষুব্ধ হয়। এর আগেও তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছে লোকজন। একজন পুলিশ কর্তা জানান, শুক্রবার দুপুরে নির্যাতিতার মৃত্যু হয়। তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসার পর এবং সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের বক্তব্য রেকর্ড করার পরই অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করা যাবে।


নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে, ভারতীয় ন্যায় সংহিতার প্রাসঙ্গিক বিধানের অধীনে অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতন এবং যৌন শোষণের মামলা দায়ের করা হয়। এর সাথে তার ওপর পকসো আইনের প্রাসঙ্গিক ধারাও আরোপ করা হয়েছে। অভিযুক্ত প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে যে, ২৬ জানুয়ারি রাতে সে নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়েছিল। এ সময় দুজনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। তবে তিনি শারীরিক নির্যাতন ও অন্যান্য অভিযোগ স্বীকার করেননি।

রুক্মিণীর পর এবার নটী বিনোদিনী শুভশ্রী! ভূমিকায় শুভশ্রী গাঙ্গুলি



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক,  ৩১ জানুয়ারি : টলি ইন্ডাস্ট্রিতে আচমকাই খবরের শিরোনামে রুক্মিণী বনাম শুভশ্রী। সম্প্রতি রাম কমল মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ছবি ‘বিনোদিনী…একট নটীর উপখ্যান’ মুক্তি পেয়েছে। আর এই ছবির সহ-প্রযোজক হিসাবে রুক্মিণীর ‘বিনোদিনী’ কে সমর্থনে কোনরকম লখামতি রাখেননি দেব।


বিনোদিনী’ রুক্মিণী মৈত্রর লুক নজর কেড়েছে নেটিজেনদের। প্রেক্ষাগৃহে ভালোই সাড়া ফেলেছে এই ছবি। আর তার মাঝে বড় চমক আনলেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। এবার তার বাংলার রঙ্গমঞ্চের সাম্রাজ্ঞী হয়ে উঠবেন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় শুভশ্রী গাঙ্গুলি।


সৃজিতের ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’ ছবিতে ‘নটী বিনোদিনী’র ভূমিকায় অভিনয় করবেন শুভশ্রী। শনিবার ‘বাবলি’র জন্য সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। আর এই মঞ্চেই বোমা ফাটালেন শুভশ্রী।

বিনোদিনীর লুকে তো চর্চায় রয়েছেন রুক্মিণী। এবার দেখার বিষয় সৃজিতের নতুন বিনোদিনীর লুকে শুভশ্রীকে কেমন মানায়? এই খবরে ইতিমধ্যে শোরগোল পড়ে গেছে।


রুক্মিণীর ‘বিনোদিনী’র পরই পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের বড় ঘোষণা। ‘নটী বিনোদিনী’ রুপে পর্দা কাঁপাতে আসছেন রাজ ঘরণী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। সৃজিতের লহ গৌরাঙ্গ নাম রে ছবিতে বিনোদিনী হিসাবে প্রথমে প্রিয়াঙ্কা সরকারের নাম সামনে আসলেও পরে শুভশ্রীকে বেছে নেওয়া হয় এই চরিত্রের জন্য।


একইরকম চরিত্রে রুক্মিণী-শুভশ্রী। এরপরেই টলিপাড়ায় কানাঘুষো, বিনোদিনী চরিত্রে একদিকে বর্তমান তো আরেকদিকে অতীত। কাকে বেশি পছন্দ করবেন দেব? তবে বরাবরই স্পষ্ট বক্তা দেব। এদিন ‘এই রাত তোমার আমার’ ছবির স্ক্রিনিংয়ে দেব বলেন, ‘আমার কাছে একটাই বিনোদিনী যেটা মুক্তি পেয়েছে। অন্যটা আমি জানি না।’ অভিনেতার চোখেমুখে বিরক্তির ছাপও মেলে। তবে মুখে শুভশ্রীর নাম উচ্চারণ করে কিছুই প্রকাশ করেননি দেব।

সুখবর! মা হলেন অভিনেত্রী রূপসা চট্টোপাধ্যায়, ছেলে নাকি মেয়ে কে এল ঘরে!



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ৩১ জানুয়ারি : বিয়ের এক মাসের মাথায় মা হওয়ার সুখবর শেয়ার করেন ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রূপসা চট্টোপাধ্যায়। গত বছর অক্টোবর মাসে বিয়ে করে রুপসা আর সায়ন। হানিমুনে গিয়েই ছবি পোস্ট করে দুই থেকে তিন হওয়ার সুখবর দেন।


অনুরাগীদের যেন একটু ঘোল খাওয়াচ্ছেন অভিনেত্রী রূপসা চট্টোপাধ্যায়। গত বছর অক্টোবরে বিয়ে সারেন। এক মাসের মাথায় নভেম্বর মা হওয়ার সুখবর জানান। বরের হাত থেকে সাত মাসের সাধ খেয়েছেন অভিনেত্রী। সেই ভিডিও সামনে এসেছে। লাল পাঞ্জাবী পড়ে পঞ্চব্যঞ্জন সাজিয়ে স্ত্রী রুপসাকে নিজের হাতে সাধ খাইয়ে দিচ্ছেন সায়ন।


এবার আরও এক চমক দিলেন অভিনেত্রী স্বামী সায়নদ্বীপ। কিছুদিন আগেই সাত মাসের সাধ খাওয়ার ভিডিও সামনে এনেছিলেন। আর দিন ঘুরতে না ঘুরতেই সুখবর জানালেন অভিনেত্রীর স্বামী। রুপসা-সায়নের পোস্ট দেখে অবাক সকলে।



হ্যাঁ, এই খবর একেবারেই সত্যি মা হলেন অভিনেত্রী রূপসা চট্টোপাধ্যায়। ২৬ শে জানুয়ারি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন রূপসা। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে নিজেই সেই খবরে শিলমোহর দিয়েছেন অভিনেত্রী।


রুপসা-সায়ন একটি ছবি শেয়ার করেন। ছবিতে তাদের সন্তানের ছোট হাত দেখা যাচ্ছে। আর ক্যাপশনে লেখা, ‘বিলম্বিত প্রজাতন্ত্র দিবস সবাইকে এবং নিজেকে বিলম্বিত জন্মদিনের শুভেচ্ছা। জুনিয়র।’।


অর্থাৎ ২৬ জানুয়ারি বাবা-মা হয়েছেন সায়ন-রূপসা। পুত্র সন্তানের মা হয়েছেন অভিনেত্রী। সদ্য নিজে সেই ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘ছেলে’। ছবি পোস্ট করা মাত্রই ইন্ডাস্ট্রির বন্ধু-বান্ধবেরা সকলে রুপসাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

'রাজপরিবারের অহংকার--', রাষ্ট্রপতিকে কটাক্ষে তোপ মোদীর


প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ৩১ জানুয়ারি: রাষ্ট্রপতির ভাষণের প্রতিক্রিয়ায় সোনিয়া গান্ধীর মন্তব্য নিয়ে কংগ্রেসকে কড়া আক্রমণ প্রধানমন্ত্রী মোদীর। শুক্রবার দ্বারকায় ভারতীয় জনতা পার্টির একটি নির্বাচনী সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় কংগ্রেসকে তোপ দাগেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বলেন, 'আজ আবার দেশ কংগ্রেসের রাজপরিবারের অহংকার দেখল। আজ আমাদের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সংসদে ভাষণ দিয়েছেন। তিনি দেশবাসীর অর্জন সম্পর্কে বলেছেন। বিকশিত ভারতের দৃষ্টিকোণ সম্পর্কে বলেছেন।'


তিনি বলেন, হিন্দি তাঁর মাতৃভাষা নয়, তবুও তিনি খুব চমৎকার ভাষণ দিয়েছেন, কিন্তু কংগ্রেসের রাজপরিবার তাঁকে অপমান করতে নেমেছে।' মোদী বলেন, রাজপরিবারের একজন সদস্য বলেছেন, আদিবাসী কন্যা বোরিং ভাষণ দিয়েছেন এবং অন্য একজন সদস্য আরও একধাপ এগিয়ে রাষ্ট্রপতি মুর্মুকে বেচারি, দরিদ্র, বস্তু এবং ক্লান্ত বলেছেন।' তিনি বলেন, 'এটা দেশের আদিবাসী ভাই-বোনদের অপমান।'


প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টিকে অহংকারের উচ্চতার প্রতীক হিসাবে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন যে, 'আপ-দা লোকেরা নিজেদের দিল্লীর মালিক বলেন, অন্যদিকে কংগ্রেসের লোকেরা নিজেদের দেশের মালিক মনে করেন।'


দিল্লীর দ্বারকায় জনসভা করে প্রধানমন্ত্রী মোদী জানান, রাজধানীকে অত্যন্ত আধুনিক করতে চান। দ্বারকার জনসভায় প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, 'দিল্লীতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের ডাবল ইঞ্জিন সরকারের প্রয়োজন। আপনারা বহু বছর ধরে কংগ্রেসকে ক্ষমতায় দেখেছেন এবং তারপর আপ (এএপি) দিল্লী দখল করেছে। আপনারা আমাকে বারবার দেশ সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন। এখন ডবল ইঞ্জিন সরকার গঠন করে আমাকে দিল্লীর সেবা করার সুযোগ দিন।'


প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, 'কেন্দ্রীয় সরকার দিল্লীকে কতটা আধুনিক করতে চায় তার একটি আভাস এখানে দ্বারকায় দেখা যাবে। যশোভূমির কারণেই এখানে একটি বিশাল যশোভূমি নির্মিত হয়েছিল। দ্বারকা ও দিল্লীর হাজার হাজার যুবদের কর্মসংস্থান হয়েছে এবং এখানকার মানুষের ব্যবসা বেড়েছে। আগামী দিনে এই পুরো এলাকাটি হবে একটি স্মার্ট সিটি।'

'৭৮ বছরের বয়স্কা মহিলা--', বিতর্কে ঘেরা সোনিয়ার পাশে প্রিয়াঙ্কা


প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ৩১ জানুয়ারি: সংসদে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর ভাষণের প্রতিক্রিয়ায় 'বেচারি' মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ান কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী। বিজেপি এর জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাইবার দাবী করেছে। এই আবহে মায়ের‌ হয়ে ব্যাট ধরলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভাদ্রা। সোনিয়া গান্ধীর করা মন্তব্যের বিষয়ে স্পষ্টীকরণের দেওয়ার পাশাপাশি ভারতীয় জনতা পার্টিকেও তীব্র আক্রমণ করেন তিনি।  


প্রিয়াঙ্কা বলেন, তাঁর মা রাষ্ট্রপতিকে অনেক সম্মান করেন এবং তাঁর কথা বিকৃত করা হয়েছে।' কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা কেরালার ওয়ানাড আসনের সাংসদ, প্রিয়াঙ্কা আরও বলেন, 'বিজেপি, যারা সোনিয়া গান্ধীর মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাওয়ার দাবী করছে, তাদের প্রথমে দেশ ডুবানোর জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিৎ।'


প্রিয়াঙ্কা গান্ধী সাংবাদিকদের বলেন, "আমার মা ৭৮ বছর বয়সী বয়স্কা একজন মহিলা। তিনি শুধু বলেছেন এত লম্বা ভাষণ পড়ে রাষ্ট্রপতি নিশ্চয়ই ক্লান্ত। তিনি সম্পূর্ণ সম্মান করেন (রাষ্ট্রপতিকে)। এটা খুবই দুঃখজনক যে, মিডিয়া এটাকে বিকৃত করেছে। তাঁরা দুজনই সম্মানিত ব্যক্তি এবং আমাদের থেকে বড়।" সোনিয়ার মন্তব্যে বিজেপির ক্ষমা চাওয়ার দাবী সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক বলেন, "তাঁরা যেই খাদে দেশকে ডুবিয়েছেন, আগে তার জন্য ক্ষমা চান।"



লোকসভায় কংগ্রেসের উপনেতা গৌরব গগৈ এক্স পোস্টে বলেন, "মাননীয় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু জি'র স্বাস্থ্যের প্রতি সোনিয়া গান্ধী জি'র সহানুভূতি বিজেপির লোকেরা হজম হচ্ছে না। ভারতের প্রতিটি মানুষেরই রাষ্ট্রপতির প্রতি শ্রদ্ধা ও সহানুভূতি রয়েছে। রাষ্ট্রপতি মুর্মুকে সংসদ ভবনে বা অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধনে আমন্ত্রণ না করায় তাঁকে যে অসম্মান দেখানো হয়েছে তার জবাব কী বিজেপি দেবে? আমি তাঁদের এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য চ্যালেঞ্জ করছি।"


কংগ্রেস সংসদীয় দলের প্রধান সোনিয়া গান্ধী রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর ভাষণ শেষে বলেছিলেন যে, 'তিনি তাঁর ভাষণ শেষে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন এবং ভালো করে কথাও বলতে পারছিলেন না। বেচারি।' ভারতীয় জনতা পার্টির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, সোনিয়া গান্ধীর মন্তব্যের নিন্দা করেছেন এবং দাবী করেছেন যে, তিনি রাষ্ট্রপতি এবং আদিবাসী সম্প্রদায়ের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চান।

'বেচারি'! রাষ্ট্রপতিকে কটাক্ষ করে বিতর্কে সোনিয়া, নিঃশর্ত ক্ষমা চাইবার দাবী বিজেপির


প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, রাষ্ট্রপতির ভাষণের প্রতিক্রিয়ায় 'বেচারি' মন্তব্য করে বিতর্কে সোনিয়া গান্ধী। বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিনেই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর ভাষণ নিয়ে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর এই মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। সোনিয়া গান্ধীর কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবী জানিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। উল্লেখ্য, শুক্রবার সংসদ চত্বরে সংবাদমাধ্যমের উপস্থিতিতে রাষ্ট্রপতির ভাষণ নিয়ে মন্তব্য করেন সোনিয়া। তিনি বলেন যে, 'রাষ্ট্রপতি তাঁর ভাষণের শেষে ক্লান্ত লাগছিলেন, ভালো করে কথাও বলতে পারছিলেন না, বেচারি।' এই সময় সেখানে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী এবং সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও সেখানে ছিলেন। রাহুল গান্ধী বলেন যে, 'ভাষণটি অরুচিকর ছিল, তিনি বারবার একই কথা বলছেন।'


'বেচারি' মন্তব্যের জন্য বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা কংগ্রেসকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বলেছেন। নাড্ডা বলেন, 'আমি এবং প্রত্যেক বিজেপি কর্মী মাননীয় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু জির জন্য সোনিয়া গান্ধী যে 'বেচারি' শব্দটি ব্যবহার করেছেন তার নিন্দা জানাই। এই শব্দের ইচ্ছাকৃত ব্যবহার কংগ্রেস পার্টির আভিজাত্য, গরিব-বিরোধী এবং আদিবাসী-বিরোধী মানসিকতা দর্শায়। আমাদের দাবী, কংগ্রেস পার্টি দেশের আদিবাসী সম্প্রদায় এবং মাননীয় রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চান।



ঠিক কী ঘটেছিল এদিন? আজ, শুক্রবার থেকে সংসদে শুরু হয়েছে বাজেট অধিবেশন। প্রথা মাফিক উভয় কক্ষে ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এরপর অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাষ্ট্রপতির ভাষণ নিয়ে সোনিয়া বলেন, 'ওঁনাকে খুব ক্লান্ত মনে হচ্ছিল। ভালো করে কথাও বলতে পারছিলেন না, বেচারি'! আর তাতেই শুরু হয় জোর বিতর্ক।


সোনিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতিকে অপমানের অভিযোগে ঝাঁপিয়ে পড়েছে পদ্ম শিবির। এক্স হ্যান্ডেলে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা লিখেছেন, 'রাষ্ট্রপতির ভাষণের প্রতিক্রিয়া যে বেচারি শব্দটি ব্যবহার করেছেন, তার তীব্র নিন্দা করি। রাষ্ট্রপতি ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমার দাবী জানাই'। রাষ্ট্রপতি দফতরের তরফেও সোনিয়ার মন্তব্য 'কুরুচিকর ও দুভার্গ্যজনক' বলে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। 

 

এদিন সংসদে যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে মোদী সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, "প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকারের এই তৃতীয় মেয়াদে তিনগুণ গতিতে কাজ হচ্ছে। ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ এবং ওয়াকফ (সংশোধনী) বিলের মতো আইনে দ্রুত গতিতে পদক্ষেপ করা হয়েছে।"

৩৩০ পেরোলো দিল্লীর স্কোর, রঞ্জিতেও হতাশ বিরাট-ফ্যানরা! ৬ রানেই ক্লিন বোল্ড


প্রেসকার্ড নিউজ স্পোর্টস ডেস্ক, ৩১ জানুয়ারি: অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে দিল্লী ও রেলওয়ের মধ্যে ২০২৪-২৫ রঞ্জি ট্রফির ৭তম রাউন্ডের ম্যাচ চলছে। এই ম্যাচে ১২ বছর পর ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে নেমেছেন বিরাট কোহলি। রেলওয়েকে ২৪১ রানে আউট করার পর, শুক্রবার রঞ্জি ট্রফি এলিট গ্রুপ ডি ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে স্টাম্পে সাত উইকেটে ৩৩৪ রানে রেলওয়ের বিরুদ্ধে ৯৩ রানের লিড নিয়েছিল দিল্লী। যশ ধুল ৩২ ব্যক্তিগত স্কোরে আউট হওয়ার পর বিরাট কোহলি ব্যাট করতে আসেন, কিন্তু ব্যক্তিগত ৬ রানে ক্লিন বোল্ড হন। এরপর হাফ সেঞ্চুরি করে দলের অধিনায়কত্ব নেন আয়ুশ বাদোনি।ব্যক্তিগত ৯৯ রানে আউট হন এবং মাত্র ১ রানের সেঞ্চুরি মিস করেন।


সনাত সাংওয়ানও ৩০ রান করে আউট হন। এরপর অধিনায়ক আয়ুশ বাদোনি ও সুমিত মাথুর ইনিংসের হাল ধরেন। সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাওয়া বাদোনিকে আউট করে দিল্লীকে বড় ধাক্কা দেন করণ শর্মা। বাদোনি ৭৭ বলে ১২টি চার ও তিনটি ছক্কায় ৯৯ রান করেন। প্রণব রাজবংশী ৩৯ ও শিবম শর্মা ১৪ রান করে আউট হন। দিনের খেলা শেষে দিল্লীর সংগ্রহ সাত উইকেটে ৩৩৪ রান। এর ফলে দিল্লী পেয়েছে ৯৩ রানের লিড। দ্বিতীয় দিনে স্টাম্পের সময়, ক্রিজে উপস্থিত ছিলেন সুমিত মাথুর (অপরাজিত ৭৮) ও সিদ্ধান্ত শর্মা (১৭ অপরাজিত)।


রেলওয়ের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন হিমাংশু সাংওয়ান ও কুনাল যাদব। রাহুল শর্মা, অয়ন চৌধুরী ও কর্ণ শর্মা একজন করে ব্যাটসম্যানকে আউট করেন। এর আগে দিল্লী টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং অতিথিদের ২৪১ রানে আউট করে। নভদীপ সাইনি ও সুমিত মাথুর ৩টি করে সাফল্য পেয়েছেন। যেখানে রেলওয়ের হয়ে ৯৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন উপেন্দ্র যাদব। তিনি ৫ রানের জন্য তাঁর অষ্টম ফার্স্ট ক্লাস সেঞ্চুরি মিস করেন।

কেজরিওয়ালের দলে ইস্তফার ঢেউ! নির্বাচনের পাঁচ দিন আগে পদত্যাগ ৭ বিধায়কের


প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ৩১ জানুয়ারি: দিল্লী বিধানসভা নির্বাচন প্রায় দোরগোড়ায়। আর এই আবহেই আম আদমি পার্টিতে পদত্যাগের ঢেউ উঠেছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) একদিনেই দলের সাতজন বিধায়ক পদত্যাগ করেছেন। বিধানসভা নির্বাচনে ভোট গ্ৰহণের পাঁচ দিন আগে, ত্রিলোকপুরীর বিধায়ক রোহিত কুমার, মেহরাউলির বিধায়ক নরেশ যাদব, কস্তুরবা নগরের বিধায়ক মদন লাল, পালামের বিধায়ক ভাবনা গৌর এবং জনকপুরীর বিধায়ক রাজেশ ঋষি আপ (AAP)-কে বিদায় জানিয়েছেন।


এরা সেই বিধায়ক যাঁদের দল এই বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট বাতিল করেছে। এর বাইরে বিজবাসন থেকে বিএস জুন এবং আদর্শ নগরের পবন শর্মাও পদত্যাগ করেছেন। দলটি তাঁদের সবার টিকিট বাতিল করায় ক্ষুব্ধ।


 ভাবনা গৌড়, পালাম 

 নরেশ যাদব, মেহরাউলি

 রাজেশ ঋষি, জনকপুরী

 মদন লাল, কস্তুরবা নগর 

 রোহিত মেহরাউলিয়া, ত্রিলোকপুরী

 বি এস জুন, বিজবাসন

 পবন শর্মা, আদর্শ নগর


পদত্যাগপত্রে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন রোহিত কুমার। তিনি বলেন, "আপনার কথা বিশ্বাস করে, আমার সম্প্রদায় আপনাকে একতরফাভাবে সমর্থন করেছিল, যার ভিত্তিতে তিনবার দিল্লীতে আম আদমি পার্টির সরকার গঠিত হয়েছিল। এর পরও চুক্তি প্রথা বন্ধ হয়নি, ২০-২০ বছর ধরে কাঁচা চাকরি করা লোকদের স্থায়ী চাকরি দেওয়া হয়নি। আমার সমাজকে রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য ভোটব্যাংক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।"



মদন লাল বিধানসভার স্পিকার রামনিবাস গয়ালকে দেওয়া চিঠিতে লিখেছেন, "আমি দিল্লী বিধানসভার সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার মেয়াদে প্রাপ্ত সমর্থনের জন্য আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।" ভাবনা গৌড় কেজরিওয়ালের চিঠিতে লিখেছেন, "আমি আম আদমি পার্টির প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছি। আমি আপনার এবং দলের ওপর থেকে বিশ্বাস শেষ হয়ে গিয়েছে।"



জনকপুরীর বিধায়ক রাজেশ ঋষিও আপ-এর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন এবং তাঁর পদত্যাগপত্রে লিখেছেন, "আন্না আন্দোলন থেকে জন্ম নেওয়া এবং দিল্লীকে দুর্নীতিমুক্ত করতে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দ্বারা গঠিত আম আদমি পার্টি এখন দুর্নীতিতে পরিপূর্ণ একটি দলে পরিণত হয়েছে, যার জন্য আমি গভীরভাবে শোকাহত। ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আমি দলের প্রাথমিক সদস্যপদ ও দলের সকল পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছি।"


নরেশ যাদব তাঁর পদত্যাগপত্রে লিখেছেন, "আমি শুধুমাত্র সততার রাজনীতির জন্য আম আদমি পার্টিতে যোগ দিয়েছিলাম কিন্তু আজ সততা কোথাও দেখা যাচ্ছে না।" আমি মেহরাউলিতে শতভাগ সততার সঙ্গে কাজ করেছি। দিল্লীর মানুষ জানেন যে, আপ দুর্নীতির পাঁকে আটকে গেছে।"

দুর্জয় অর্থাৎ অর্কপ্রভর সাথে কথা হয় রানীর? প্রথমবার মুখ খুললেন অনস্ক্রিন স্ত্রী রানী ওরফে অভিকা

 


প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ৩১ জানুয়ারি : তোমাদের রানী’ ধারাবাহিকের হাত ধরে প্রথমবার অভিনয় জগত অভিষেক হয় অভিনেত্রী অভিকা মালাকার। এই মেগার হাত ধরেই দর্শকমহলে জনপ্রিয়তা লাভ করেন অভিনেত্রী। বাংলা টেলিভিশন দর্শকের কাছে রানী হিসাবেই বেশি পরিচিত আভিকা। 


তবে এবার বাংলার গণ্ডি ছাড়িয়ে বলি পাড়ায় পা রাখতে চলেছেন তোমাদের রানীর নায়িকা। হ্যাঁ, হিন্দি সিরিয়ালে ডেবিউ করতে চলেছেন অভিকা। নিজেই সেই সুখবর শেয়ার করে নিয়েছেন সমাজ মাধ্যমের পাতা। স্টার প্লাস চ্যানেলের হাত ধরে হিন্দি টেলিভিশনে পরিচিতি পেতে চলেছে।


 

বর্তমানে ধারাবাহিক শেষ হয়ে গেলেও জনপ্রিয়তায় এতটুকু খামতি হয়নি এই জুটির। এই মুহূর্তে অর্কপ্রভ অভিনয় করছে স্টার জলসার দুই শালিক ধারাবাহিকে। অন্যদিকে হিন্দি টেলিভিশনের জগতে পা রেখেছেন অভিকা। স্টার প্লাসে ‘তোমাদের রানী’ ধারাবাহিকেরই হিন্দি ভার্শনে আবারও রানী চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিকা।


সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামের পাতায় ফ্যানদের সাথে গল্পে মেতেছিলেন অভিকা। সেখানে তার অনুরাগীর প্রশ্ন হিন্দি ধারাবাহিকে অভিনেত্রীর বিপরীতে থাকা নায়ককে সরিয়ে যদি অর্কপ্রভকে ফিরিয়ে আনা যায় না? জবাবে অভিকা বলেছেন কোনভাবেই তা সম্ভব নয়। অভিকার মুখে তার সহ অভিনেতা প্রসঙ্গে এমন কথা শুনে মনে মনে একটু দুঃখই পেয়েছে রানী-দুর্জয় জুটির ফ্যানেরা।


তবে অর্কপ্রভর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন অভিকা যা শুনে কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন তার অনুরাগীরা।

ছেলে না মেয়ে! জমিয়ে সাত মাসের সাধ খেলেন অভিনেত্রী রূপসা চট্টোপাধ্যায়

 


প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ৩১ জানুয়ারি : গত বছর অক্টোবরে সাতপাকে বাঁধা পড়েন রূপসা চট্টোপাধ্যায়। বিয়ের বছর ঘোরার আগেই জানান, মা হতে চলেছেন। আর এবার অবশেষে আসতে চলেছে রূপসার সন্তান।


বিয়ের এক মাসের মাথায় মা হওয়ার সুখবর শেয়ার করেন ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রূপসা চট্টোপাধ্যায়। গত বছর অক্টোবর মাসে বিয়ে করে রুপসা আর সায়ন। হানিমুনে গিয়েই ছবি পোস্ট করে দুই থেকে তিন হওয়ার সুখবর দেন।


শীঘ্রই মা হতে চলেছেন, আর তাই সম্প্রতি অভিনেত্রী রূপসা চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে ছিল তাঁর সাধের অনুষ্ঠান। আর সেদিনই পরিবার আত্মীয়দের সঙ্গে একটা মজার খেলায় অংশ নেন রূপসা। খেলাটি ছিল ‘ছেলে হবে নাকি মেয়ে! আপনি কোন পক্ষে?’ আর এই খেলায় রূপসার স্বামী সায়নদীপ সরকার সহ পরিবারের বেশিরভাগ লোকজনই পুত্র সন্তানের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। আর তাতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র ট্রোলের মুখে পড়েন রূপসা।


এবার সামনে এলো অভিনেত্রীর সাধ খাওয়ার ভিডিও। কিছুদিন আগের শ্বশুরবাড়ির তরফ থেকে সাধ খেয়েছিলেন। এদিন ছেলে আর মেয়ে হওয়া নিয়ে একটি চ্যালেঞ্জ করেন। রুপসার শ্বশুরবাড়ির বেশিরভাগ লোকজনই পুত্র সন্তন বাছাই করায় অভিনেত্রীকে কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়।


তবে এবার বরের হাত থেকে সাত মাসের সাধ খেলেন অভিনেত্রী। সেই ভিডিও সামনে এলো। লাল পাঞ্জাবী পড়ে পঞ্চব্যঞ্জন সাজিয়ে স্ত্রী রুপসাকে নিজের হাতে সাধ খাইয়ে দিলেন সায়ন।

ডায়াবেটিসের রোগীরাও খেতে পারেন স্ট্রবেরি


প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,৩১ জানুয়ারি: আপনার কি মনে হয় ডায়াবেটিস রোগীদের মিষ্টি খাওয়া থেকে দূরে থাকা উচিৎ?আপনি কি বিশ্বাস করেন যে মিষ্টি ফল রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে?আপনার উত্তর যদি হ্যাঁ হয়,তাহলে আপনি জেনে খুশি হবেন যে স্ট্রবেরির মতো মিষ্টি ফলও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী হতে পারে।সাম্প্রতিক অনুসন্ধান এবং গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে স্ট্রবেরি কেবল সুস্বাদুই নয়,এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও খুবই উপকারী প্রমাণিত হতে পারে।আজ আমরা জানব কেন স্ট্রবেরি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী এবং কীভাবে এটি খাওয়া যেতে পারে।

স্ট্রবেরির গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) কম: 

গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) পরিমাপ করে যে কোনও খাবার শরীরে চিনির মাত্রা কত দ্রুত বৃদ্ধি করে।স্ট্রবেরির জিআই কম, যার অর্থ হল এগুলি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ করে বেড়ে যায় না।এই কারণে ডায়াবেটিস রোগীরা তাদের চিনির মাত্রা প্রভাবিত না করেই তাদের খাদ্যতালিকায় স্ট্রবেরি অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।

স্ট্রবেরিতে ক্যালরি কম এবং ফাইবার সমৃদ্ধ: 

স্ট্রবেরিতে ক্যালরি কম থাকে,যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।  উপরন্তু,এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে এবং চিনির শোষণকে ধীর করে দেয়।ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং রক্তপ্রবাহে চিনির স্থিতিশীলতা বজায় রাখে।

স্ট্রবেরি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ: 

স্ট্রবেরি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ,বিশেষ করে ভিটামিন সি। এই অ্যান্টি-অক্সিডেন্টগুলি শরীরকে ফ্রি র‍্যাডিকেল থেকে রক্ষা করে,যা টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।  উপরন্তু,এটি শরীরের প্রদাহ কমায় যা ডায়াবেটিসের জটিলতা বাড়াতে পারে।

স্ট্রবেরি এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা: 

সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে স্ট্রবেরি খাওয়া ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করতে পারে।এর অর্থ হল শরীরের ইনসুলিন কার্যকরভাবে কাজ করতে শুরু করে,যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী।কারণ এটি ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা কমাতে সাহায্য করতে পারে।

হৃদরোগের জন্য উপকারী: 

ডায়াবেটিস প্রায়শই হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।  স্ট্রবেরিতে প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে,যা হৃদরোগের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।তাছাড়া,এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে,যার ফলে হৃদরোগের সমস্যা প্রতিরোধ করে।

স্ট্রবেরি কীভাবে খাবেন -

তাজা স্ট্রবেরি: 

ডায়াবেটিস রোগীরা তাজা স্ট্রবেরি খেতে পারেন।এটি যেকোনও খাবারের সাথে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।

স্মুদি: 

স্ট্রবেরি অন্যান্য ফলের সাথে স্মুদিতে মিশিয়েও খাওয়া যেতে পারে।যেমন- ব্ল্যাকবেরি,আমলকি ইত্যাদি।

স্যালাড: 

স্ট্রবেরি স্যালাডেও যোগ করা যেতে পারে,যা একে সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর করে তোলে।

স্ট্রবেরি চা: 

আপনি স্ট্রবেরি সেদ্ধ করেও চা তৈরি করতে পারেন,যা একটি স্বাস্থ্যকর পানীয়।

মনে রাখার বিষয় -

স্ট্রবেরি যদিও ডায়াবেটিক্স রোগীদের জন্য উপকারী,তবুও এটি সুষম পরিমাণে খাওয়া উচিৎ।অতিরিক্ত খেলে চিনির মাত্রা বাড়তে পারে,তাই অল্প এবং আপনার শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী এটি খান।যদি আপনি কোনও ধরণের ওষুধ খাচ্ছেন, তাহলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে স্ট্রবেরি খান।

বি.দ্র: এই বিষয়বস্তু,পরামর্শ সহ, শুধুমাত্র সাধারণ তথ্য প্রদান করে।এটা কোনওভাবেই যোগ্য চিকিৎসা মতামতের বিকল্প নয়। আরও তথ্যের জন্য সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞ বা আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।  প্রেসকার্ড নিউজ এর দায় স্বীকার করে না।

শরীরে আয়োডিনের ঘাটতি হয়ে উঠতে পারে নীরব ঘাতক


প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,৩১ জানুয়ারি: পরিবর্তিত জীবনধারা এবং খারাপ খাদ্যাভ্যাসের কারণে,আয়োডিনের ঘাটতি একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে উঠেছে।চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞদের মতে, আয়োডিনের ঘাটতিকে নীরব ঘাতক (Silent Killer) বলা হয়।কারণ এর লক্ষণগুলি দ্রুত দেখা যায় না বরং ধীরে ধীরে দেখা দেয়।অনেক সময় এর লক্ষণ ধরাও পড়ে না।আয়োডিনের ঘাটতি সরাসরি থাইরয়েড গ্রন্থির উপর প্রভাব ফেলে,যা শরীরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজকে প্রভাবিত করে।

আয়োডিন কী?

আয়োডিন এমন একটি উপাদান যা স্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য অপরিহার্য।থাইরয়েড গ্রন্থিতে থাইরয়েড হরমোন তৈরির জন্য শরীরের আয়োডিনের প্রয়োজন।থাইরয়েড হরমোন বিপাককে প্রভাবিত করে।  মস্তিষ্ক,স্নায়ু ও হাড়ের বৃদ্ধি এবং কার্যকারিতার জন্য এগুলি অপরিহার্য।শরীরে এর ঘাটতি থাকলে থাইরয়েড ডিসঅর্ডার,হাইপোথাইরয়েডিজম,ওজন বৃদ্ধি,ক্লান্তি এবং মানসিক সমস্যার মতো গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আয়োডিনের অভাবজনিত সমস্যা -

থাইরয়েড গ্রন্থির বৃদ্ধি,অর্থাৎ গলগন্ড।

থাইরয়েড হরমোনের কম উৎপাদন,অর্থাৎ হাইপোথাইরয়েডিজম।

গর্ভাবস্থায় গর্ভপাত এবং জন্মগত অস্বাভাবিকতা।

শারীরিক বিকাশে ধীর অগ্রগতি।

কেন আয়োডিনের ঘাটতি বৃদ্ধি পাচ্ছে?

আয়োডিনের ঘাটতি বৃদ্ধির প্রধান কারণ হল খারাপ খাদ্যাভ্যাস এবং আয়োডিনযুক্ত লবণের কম ব্যবহার।একসময় আয়োডিনের ঘাটতি রোধে আয়োডিনযুক্ত লবণ অপরিহার্য ছিল।কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলিতে মানুষ সাধারণ লবণ বা হিমালয় লবণ (Rock Salt) বেশি ব্যবহার করছে,যার ফলে শরীর প্রয়োজনীয় আয়োডিন পাচ্ছে না এবং আয়োডিনের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে।

আয়োডিনের অভাবের লক্ষণ -

আয়োডিনের অভাবের প্রাথমিক লক্ষণগুলি হল ক্লান্তি,শুষ্ক ত্বক,চুল পড়া,বেশি ঠাণ্ডা লাগা এবং অলসতা ইত্যাদি।এমন পরিস্থিতিতে সময়মতো চিকিৎসা নেওয়া জরুরি।কারণ যদি এই সমস্যাটি সময়মতো চিকিৎসা না করা হয়,তাহলে এটি আরও গুরুতর হয়ে উঠবে।

আয়োডিনের ঘাটতি এড়াতে কী করবেন?

আয়োডিনের ঘাটতি এড়াতে সুষম খাদ্য খাওয়া উচিৎ।

আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহার করা উচিৎ।

বি.দ্র: এই বিষয়বস্তু,পরামর্শ সহ, শুধুমাত্র সাধারণ তথ্য প্রদান করে।এটা কোনওভাবেই যোগ্য চিকিৎসা মতামতের বিকল্প নয়। আরও তথ্যের জন্য সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞ বা আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।  প্রেসকার্ড নিউজ এর দায় স্বীকার করে না।

ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য আশীর্বাদ গুড়মার


প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,৩১ জানুয়ারি: এই ঔষধটি 'গুড়মার' নামে পরিচিত।বিএইচইউ-এর স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ বলেছেন যে এই ওষুধটি খেলে শরীর থেকে চিনি সম্পূর্ণরূপে অদৃশ্য হয়ে যায়।এজন্যই এর নাম গুড়মার।ডঃ অমরেশ কুমার মিশ্র জানান যে তিনি বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএমএস এবং এমডি করেছেন।তিনি বিএমএসে স্বর্ণপদক জিতেছেন এবং ৯ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে।তিনি বলেন যে আয়ুর্বেদ দুই ধরণের ডায়াবেটিসের বর্ণনা দেয় - গনোরিয়া এবং ডায়াবেটিস।ডায়াবেটিস রোগীরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গনোরিয়ার জন্য ডাক্তারের কাছে যান।এই ধরনের রোগীদের সহজেই আরোগ্য করা সম্ভব।

অনেক রোগী কেবল সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং ব্যায়াম অনুসরণ করেই আরোগ্য লাভ করেন।যদি এতেও সাহায্য না হয়,তাহলে ওষুধের প্রয়োজন।লিভার,স্থূলতা, কোলেস্টেরল এবং ইনসুলিন - এই সমস্ত প্রক্রিয়া একে অপরের সাথে সংযুক্ত।টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের ইনসুলিন বেশি থাকে,কম নয়।মজার ব্যাপার হলো,এই পরিস্থিতিতে মানুষ চিনির ওষুধ খাওয়া শুরু করে,যা ইনসুলিনের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয়।

নিশা,আমলা,গুরমার এবং বানাবা - এই চারটি ওষুধ ডায়াবেটিসের জন্য জীবন রক্ষাকারী হিসেবে কাজ করে।এর সাথে ব্যায়াম করলে আরও ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।  ডায়াবেটিস রোগীদের ঘন ঘন খাওয়ার অভ্যাস গড়ে ওঠে।  গুড়মারের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এটি ধীরে ধীরে এই অভ্যাসটি দূর করে।

এটি ইনসুলিনের নিঃসরণ বৃদ্ধি করে।যদি সঠিক জীবনধারা এবং খাদ্যাভ্যাসের সাথে গুড়,হলুদ এবং আমলকি খাওয়া হয় এবং একজন যোগ্য আয়ুর্বেদিক ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়া হয়,তাহলে চিনি অবশেষে চলে যাবে।ডাক্তারের দাবি, এই পদ্ধতিতে অনেক রোগী সুস্থ হয়েছেন।

বি.দ্র: এই বিষয়বস্তু,পরামর্শ সহ, শুধুমাত্র সাধারণ তথ্য প্রদান করে।এটা কোনওভাবেই যোগ্য চিকিৎসা মতামতের বিকল্প নয়। আরও তথ্যের জন্য সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞ বা আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।  প্রেসকার্ড নিউজ এর দায় স্বীকার করে না।

অবৈধ অনুপ্রবেশ! গ্ৰেফতার ২৭ বাংলাদেশি


প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ৩১ জানুয়ারি: কেরালার কোচিতে অবৈধভাবে বসবাসকারী ২৭ বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার এক পুলিশ আধিকারিক এ তথ্য জানান। এর্নাকুলাম গ্রামীণ পুলিশ এবং অ্যান্টি-টেররিস্ট স্কোয়াড যৌথভাবে পরিচালিত অভিযানে এর্নাকুলাম জেলার উত্তর পারভুর এলাকা থেকে অবৈধ ভাবে প্রবেশকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের গ্রেফতার করা হয়েছে।


বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে-

পুলিশ জানিয়েছে, এর্নাকুলাম জেলার উত্তর পারাভুর এলাকায় এর্নাকুলাম গ্রামীণ পুলিশ এবং সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াডের যৌথ অভিযানে বাংলাদেশি নাগরিকদের গ্রেফতার করা হয়েছে। একজন শীর্ষ পুলিশ কর্তা বলেছেন যে, বাংলাদেশি নাগরিকরা পশ্চিমবঙ্গের অভিবাসী শ্রমিক হিসাবে বিভিন্ন জায়গায় কাজ করছেন। গ্রেফতার হওয়াদের বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।


দুই সপ্তাহ আগে ২৮ বছর বয়সী তসলিমা বেগমকে গ্রেফতারের পর এর্নাকুলাম গ্রামীণ জেলা পুলিশ প্রধান বৈভব সাক্সেনার শুরু করা 'অপারেশন ক্লিন' নামে একটি বিশেষ অভিযানের অধীনে গ্রেফতার করা হয়েছে।


এর আগে মহারাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশি মহিলাদের গ্রেফতারের খবর সামনে আসে। মহারাষ্ট্রের থানে শহরে অবৈধভাবে বসবাসকারী চার বাংলাদেশি মহিলাকৈ গ্রেফতার করে পুলিশ। একজন পুলিশ অফিসার বলেছিলেন যে, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে কাজ করে, মানব পাচার বিরোধী সেলের আধিকারিকরা মনোরপাড়ে অবস্থিত পৌরসভার পুনর্বাসন 'চালে' অভিযান চালায়। সেখানে একটি কক্ষে ৩৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী চার বাংলাদেশি মহিলা বসবাস করছিলেন। তদন্তকালে তাঁরা ভারতে থাকার কোনও বৈধ নথি উপস্থাপন করতে পারেননি।


গত বছর থেকে অশান্ত বাংলাদেশ। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে সেখানকার সংখ্যালঘু ওপর, বিশেষ করে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের ভুড়ি ভুড়ি অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। এই আবহে অবৈধ ভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগেও কখনও বিএসএফ বা পুলিশের হাতে ধরা পড়ছে বাংলাদেশি নাগরিকরা।

বাংলা ছেড়ে এবার হিন্দি সিরিয়ালে পা! মুম্বাই- এ পাড়ি দিলেন স্টার জলসার এই জনপ্রিয় নায়িকা



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ৩০ জানুয়ারি : এবার ফের বাংলা সিরিয়ালের জনপ্রিয় এক অভিনেত্রী পেলেন হিন্দি সিরিয়ালের ডাক। মানসী সেনগুপ্ত, সুদীপ্তা ব্যানার্জি, অদ্রিজা রায়, দেবচন্দ্রিমা সিংহ রায়ের পর এবার পালা অভিকা মালাকারের। স্টার জলসার তোমাদের রানী সিরিয়ালের এই নায়িকা এবার সরাসরি মুম্বাই থেকে ডাক পেলেন। কবে কোন চ্যানেলে দেখা যাবে তাকে? জেনে নিন।



স্টার জলসার তোমাদের রানী সিরিয়াল দিয়েই অভিনয় জীবন শুরু করেছিলেন অভিকা মালাকার। এই সিরিয়ালটি বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। সেই রানী ওরফে অভিকা মালাকারকে নতুন সিরিয়ালে দেখার জন্য অপেক্ষা করছিলেন দর্শকরা। শোনা যাচ্ছিল স্টার জলসাতেই নাকি নতুন সিরিয়ালের নায়িকা হবেন তিনি। তোমাদের রানী সিরিয়ালে তার নায়ক অর্কপ্রভ দত্তকে ইতিমধ্যেই স্টার জলসার দুই শালিক সিরিয়ালে দেখা যাচ্ছে। তবে অভিকা এবার কলকাতা ছেড়ে সরাসরি মুম্বাই যাচ্ছেন ‘পকেট মে আসমান’ সিরিয়ালের জন্য।


অভিকার এই নতুন সিরিয়ালটিও আসলে তোমাদের রানীর রিমেক। এই সিরিয়ালেও রানীর ভূমিকাতে অভিনয় করবেন তিনি। তবে তার বিপরীতে নায়ক হিসেবে কে থাকবেন তা জানা যায়নি। অন্যদিকে এই সিরিয়ালের যিনি খলনায়িকা হবেন তিনিও কিন্তু বাংলারই একজন অভিনেত্রী। কুয়াশা বিশ্বাসকে এই হিন্দি সিরিয়ালের খলনায়িকার ভূমিকায় পাওয়া যাবে। যাকে এর আগে আয় তবে সহচরির দেবীনা কিংবা কার কাছে কই মনের কথা সিরিয়ালের প্রতীক্ষার ভূমিকাতে দেখা গিয়েছিল।


একই সঙ্গে এবার বাংলার দু-দুজন অভিনেত্রী হিন্দি সিরিয়ালে প্রবেশ করবেন। বাংলাতে তোমাদের রানী তো বেশ হিট হয়েছিল। হিন্দি দর্শকদের মন কতটা টানতে পারেন অভিকা ও কুয়াশা সেটাই এখন দেখার। যদিও এই খবরে দারুণ খুশি এই দুই অভিনেত্রীর ভক্তরা। এর মধ্যেই এই দুই অভিনেত্রী তাদের অভিনয় দিয়ে বাংলার দর্শকদের মন জয় করেছেন। তারা যে খুব তাড়াতাড়ি হিন্দি বেল্টেও ভালো সাড়া পাবেন এমনটাই মনে করছেন নেট নাগরিকরা।

মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক কেজরিওয়াল


প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ৩১ জানুয়ারি: যমুনায় বিষ মেশানোর অভিযোগ করে ঘেরাও দিল্লীর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল নির্বাচন কমিশনের ওপরেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি পক্ষপাতিত্বের দাবী করে অভিযোগ করেছেন যে, নির্বাচন কমিশন বিজেপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না এবং কেবল তাদের নোটিশ জারি করছে। আম আদমি পার্টি প্রধান সরাসরি মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারকে নিশানা করেন এবং বলেন, তিনি অবসর নেওয়ার পরে চাকরির জন্য মোদীর আশেপাশে ঘোরাফেরা করছেন।


ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, 'আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের কাছে একটা কথা জানতে চাই যে, দিল্লীতে প্রকাশ্যে টাকা বিতরণ করা হচ্ছে। সাংবাদিকরা বলেন, টাকা বিতরণ করা হচ্ছে, জুতা বিতরণ করা হচ্ছে। রাজীব কুমার জি কোথায়? তিনি দেখতে পাচ্ছেন না। আমরা চিঠি লিখি তো জবাব আসে, এর কোনও প্রমাণ নেই।'


কেজরিওয়াল বলেন, "সারা দিল্লীতে গুণ্ডামি চলছে। জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। কোথায় রাজীব কুমার জি? অতীশী এবং ভগবন্ত মেনে নেন, তাঁরা বলেন, জল সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে, দিল্লীর ৩০ শতাংশ জল পাচ্ছে না কারণ অ্যামোনিয়া আসছে। দিল্লীতে মানুষ জল পাচ্ছেন না, সে বিষয়ে কোনও আদেশ নেই। কেজরিওয়ালকে নোটিশ পাঠিয়ে দিয়েছেন, যাতে অবসরের পরে, রাজীব কুমার জি মোদীর আশেপাশে ঘোরাফেরা করছেন অবসরের পরে আমাকে কিছু দিয়ে দেবেন।"


আপ (এএপি) প্রধান, বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে রাজীব কুমার সম্পর্কে একই রকম তীক্ষ্ণ মন্তব্য করেন। এমনকি তিনি এও বলেন, রাজীব কুমার চাইলে দিল্লীর যেকোনও আসন থেকে নির্বাচনে লড়তে পারেন। কেজরিওয়াল এমন সময়ে এই বিবৃতি দিয়েছেন যখন তিনি যমুনায় বিষ প্রয়োগের দাবী নিয়ে নির্বাচন কমিশনের প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছেন। নির্বাচন কমিশন তাঁকে তাঁর বক্তব্য প্রমাণ করতে বলেছে।

এনার্জিতে ভরপুর কলার স্মুদি পুষ্টিগুণেও সমৃদ্ধ


প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,৩১ জানুয়ারি: কলার স্মুদি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।কলার স্মুদি দিনের একটি স্বাস্থ্যকর শুরু হতে পারে।শক্তির ভাণ্ডার হওয়ায় স্মুদি কেবল সুস্বাদুই নয়,পুষ্টিগুণেও সমৃদ্ধ।যদি আপনি স্বাস্থ্যকর খাবার দিয়ে আপনার দিন শুরু করতে চান,তাহলে কলার স্মুদি একটি দুর্দান্ত বিকল্প হতে পারে।কলার স্মুদি তৈরি করা সহজ এবং এর জন্য আপনি পাকা কলার সাথে দুধ,মধু ব্যবহার করতে পারেন।আসুন জেনে নেই স্বাস্থ্যকর পানীয় বা স্মুদি তৈরির পদ্ধতি।

উপকরণ -

১ টি পাকা কলা (হিমায়িত এবং টুকরো করে কাটা),

১ কাপ দুধ (আপনি আপনার পছন্দের যেকোনও দুধ ব্যবহার করতে পারেন।যেমন- বাদাম দুধ,সয়া দুধ ইত্যাদি),

১ চা চামচ মধু (স্বাদ অনুযায়ী),

কয়েক টুকরো বরফ,

আপনি আপনার পছন্দ অনুসারে অন্যান্য ফল,দই,বীজ বা বাদামও যোগ করতে পারেন।

কীভাবে তৈরি করবেন -

সমস্ত উপকরণ একত্রিত করে ব্লেন্ডারের কাছে রাখুন।কাটা কলা,দুধ,মধু এবং বরফের টুকরো ব্লেন্ডারে যোগ করুন।যদি আপনি স্মুদিতে অন্যান্য ফল,দই,বীজ বা বাদাম যোগ করতে চান তাহলে এখনই যোগ করুন।যতক্ষণ না সমস্ত উপাদান ভালোভাবে মিশে যায় এবং স্মুদি ঘন ও মসৃণ হয়,ততক্ষণ ব্লেন্ডারটি চালান।আপনি চাইলে মিশ্রণটি একটু ঘন বা পাতলা করতে পারেন।একটি গ্লাসে স্থানান্তর করুন এবং সাথে সাথে পরিবেশন করুন।

কিছু অতিরিক্ত টিপস -

স্বাদ: 

স্মুদির স্বাদ বাড়াতে আপনি দারুচিনি,জায়ফল,ভ্যানিলা নির্যাস অথবা অন্য কোনও মশলা যোগ করতে পারেন।

মিষ্টি: 

যদি আপনি মধুর পরিবর্তে অন্য কোনও মিষ্টি ব্যবহার করতে চান,তাহলে আপনি ম্যাপেল সিরাপ বা খেজুরের গুড়ও ব্যবহার করতে পারেন।

প্রোটিন: 

প্রোটিন পাউডার যোগ করে আপনি স্মুদিকে আরও পুষ্টিকর খাবারে পরিণত করতে পারেন।

ফাইবার: 

আপনি স্মুদিতে ওটস,চিয়া বীজ অথবা তিসির বীজ যোগ করে ফাইবারের পরিমাণ বাড়াতে পারেন।

উপকারিতা -

শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি করে: 

কলায় পটাশিয়াম থাকে যা পেশী সংকোচন এবং স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতার জন্য অপরিহার্য।এটি আপনাকে তাৎক্ষণিক শক্তি দেবে।

হজমশক্তি উন্নত করে: 

কলায় ফাইবার থাকে যা হজমশক্তি উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

হৃদরোগের জন্য ভালো: 

কলায় থাকা পটাশিয়াম হৃদরোগের জন্য ভালো এবং উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।

ওজন কমাতে সাহায্য করে: 

কলার স্মুদিতে ফাইবার থাকে যা দীর্ঘ সময় ধরে পেট ভরা অনুভব করায় এবং অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত রাখে।

ত্বকের জন্য ভালো: 

কলায় ভিটামিন সি থাকে যা ত্বককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

মুড উন্নত করে: 

কলায় ট্রিপটোফ্যান থাকে।এটি সেরোটোনিনের উৎপাদন বাড়ায়,যা মেজাজ উন্নত করে।

বি.দ্র: এই বিষয়বস্তু,পরামর্শ সহ, শুধুমাত্র সাধারণ তথ্য প্রদান করে।এটা কোনওভাবেই যোগ্য চিকিৎসা মতামতের বিকল্প নয়। আরও তথ্যের জন্য সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞ বা আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।  প্রেসকার্ড নিউজ এর দায় স্বীকার করে না।

আমাদের পেটের খাবার কী হজম হচ্ছে?নাকি পচে যাচ্ছে?


প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,৩১ জানুয়ারি: সুস্থ শরীর পেতে হলে সঠিক হজমশক্তি প্রয়োজন।আমরা যা খাই তা পাচনতন্ত্রের মাধ্যমে শরীরে পৌঁছে যায়।পরিপাকতন্ত্র খাদ্যকে শক্তিতে রূপান্তরিত করে এবং শরীরকে পুষ্টি ও শক্তি প্রদান করে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।যখন পরিপাকতন্ত্র দুর্বল হয়ে যায়,তখন খাবার ঠিকমতো হজম হয় না এবং শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায় না।হজমশক্তি দুর্বল হওয়ার কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়, যা রোগের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে।

অস্বাস্থ্যকর জীবনধারা এবং খারাপ খাদ্যাভ্যাস আমাদের হজমের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে।হজম শক্তি শক্তিশালী না হলে পেটের গ্যাস,কোষ্ঠকাঠিন্য,আলসার, স্থূলতা, চর্বিহীনতা, বদহজম,পেট এবং লিভারের রোগ হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।তাই হজম ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য পদ্ধতি অবলম্বন করা গুরুত্বপূর্ণ।আজ আমরা হজম শক্তি বৃদ্ধির উপায় এবং ঘরোয়া প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নেব।

দুর্বল হজমের কারণ:

নির্দিষ্ট সময়ে না খাওয়া,পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া।

অতিরিক্ত চাপ নেওয়া,অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড খাওয়া।

খুব তাড়াতাড়ি খাবার খাওয়া,শারীরিক পরিশ্রম কম হওয়া।

এক জায়গায় অনেক ঘন্টা বসে একটানা কাজ করা।

ঘরোয়া প্রতিকারের জন্য কী কী করা উচিৎ:

একটি ছোট আদার টুকরো নিন।তাতে লেবুর রস যোগ করুন এবং চুষে নিন।এই ঘরোয়া প্রতিকারটি হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে।

কালো লবণ,জিরা এবং জোয়ান সমান পরিমাণে মিশিয়ে নিন এবং এই মিশ্রণের এক চামচ জলের সাথে খান।

জোয়ানের জল হজমশক্তিও শক্তিশালী করে।

এলাচের বীজ পিষে গুঁড়ো করে নিন এবং সমপরিমাণ চিনির মিছরির সাথে মিশিয়ে নিন।এই দেশীয় ঔষধটি তিন গ্রাম পরিমাণে দিনে দুই থেকে তিনবার খান।

আমলকির গুঁড়ো,ভাজা জিরা,শুকনো আদা,শিলা লবণ,হিং এবং গোলমরিচ মিশিয়ে ছোট ছোট বড়ি তৈরি করে খান।এই প্রতিকারের ফলে হজমশক্তি শক্তিশালী হয় এবং ক্ষুধাও বৃদ্ধি পায়।এটি শরীরে চর্বি জমা হতে দেয় না এবং এর ফলে আমরা স্থূলতা থেকে মুক্তি পাই।

হজমশক্তি কীভাবে কার্যকর করবেন:

এক জায়গায় কয়েক ঘণ্টা একটানা বসে থাকবেন না এবং যদি কাজের কারণে এক জায়গায় বসে থাকতে হয়,তাহলে প্রতি এক বা দুই ঘণ্টা অন্তর পাঁচ থেকে দশ মিনিট বিরতি নিন এবং কয়েক কদম হাঁটুন।

আপনার খাবার ধীরে ধীরে খান এবং ভালো করে চিবিয়ে খান।ধূমপান,তামাক এবং অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকুন।ভাজা এবং মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন।

রাতে দেরি করে ঘুমাবেন না।ছয় থেকে আট ঘন্টা ঘুমান।  সঠিক সময়ে সকালের খাবার,দুপুরের খাবার এবং রাতের খাবার খান।

আমাদের পেটের খাবার কি হজম হচ্ছে নাকি পচে যাচ্ছে?

একটি কথা আছে- 'প্রথম সুখ হলো সুস্থ শরীর'।একটি সুস্থ শরীর একটি সুস্থ মন গঠনে সাহায্য করে।সুস্থ থাকার প্রথম শর্ত হলো হজম শক্তি শক্তিশালী হওয়া।খাবারের সঠিক হজমের অভাব শরীরকে অস্বাস্থ্যকর করে তোলে,মস্তিষ্ক অলস হয়ে পড়ে এবং কর্মক্ষমতাকে প্রভাবিত করে।যেমন ব্যায়ামে শৃঙ্খলা প্রয়োজন,ঠিক তেমনি খাবারেও শৃঙ্খলা প্রয়োজন।অতিরিক্ত খাওয়া,অনিয়মিত খাওয়া,রাত জেগে থাকা - এই সমস্ত অবস্থা আমাদের পাচনতন্ত্রকে প্রভাবিত করে।তাই হজমশক্তিকে দুর্বল হওয়া থেকে রক্ষা করা জরুরি হয়ে পড়ে।পাচনতন্ত্রের দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার জন্য খাবার খাওয়ার পর তা হজম হবে নাকি নষ্ট হয়ে যাবে,তা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আমরা রুটি,ডাল,শাকসবজি,দই,লস্যি,দুধ,বাটারমিল্ক,ফল ইত্যাদি খাবারের আকারে গ্রহণ করি।এই সব খাবার আমাদের শক্তি এবং পেট সেই শক্তি আরও স্থানান্তর করে।পেটে একটি ছোট জায়গা আছে যাকে আমরা হিন্দিতে "আমাশায়" বলি, একই জায়গার সংস্কৃত নাম "জঠর"।এই জায়গাটিকে ইংরেজিতে বলা হয় "epigastrium"।

এটি একটি থলির মতো এবং এই পেটটি আমাদের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।কারণ সমস্ত খাবার প্রথমে এতে আসে।  এটি খুবই ছোট জায়গা এবং এতে সর্বোচ্চ ৩৫০ গ্রাম খাবার রাখা যায়।আমরা যা-ই খাই না কেন,সবই পেটে যায়।পেটে যে আগুন জ্বলে তাকে "জঠরাগ্নি" বলা হয়।এটা গ্যাস্ট্রিকের আগুন,পেটে জ্বলন্ত আগুন।পেটেও একই ঘটনা ঘটে,খাবার খাওয়ার সাথে সাথেই পেটের আগুন জ্বলে ওঠে।এটা স্বয়ংক্রিয়।প্রথম রুটির টুকরো মুখে দেওয়ার সাথে সাথেই পেটের আগুন জ্বলে ওঠে।যতক্ষণ না খাবার হজম হয় ততক্ষণ এই আগুন জ্বলে।আমরা খাওয়ার সময় ঢক ঢক করে জল পান করি এবং প্রচুর ঠাণ্ডা জল পান করি।অনেকেই বোতলের পর বোতল জলও পান করে।

এতে যে আগুন (গ্যাস্ট্রিক ফায়ার) জ্বলছিল তা নিভে যায়।  আগুন নিভে গেলে খাবার হজমের প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়।  সবসময় মনে রাখবেন যে যখন খাবার আমাদের পাকস্থলীতে যায় তখন কেবল দুটি প্রক্রিয়া ঘটে,একটি প্রক্রিয়া যাকে আমরা "পাচন" বলি এবং অন্যটি হল "ফার্মেন্টেশন"। ফার্মেন্টেশন মানে পচন এবং পাচন মানে হজম।

আয়ুর্বেদের মতে,আগুন জ্বললে খাদ্য হজম হবে।খাদ্য হজম হয়ে গেলে তা থেকে রস তৈরি হবে।যে রস তৈরি হবে তা মাংস, মজ্জা,রক্ত,হাড়,মল,প্রস্রাব,হাড় এবং অবশেষে চর্বি তৈরি হবে।  এটি তখনই ঘটবে যখন খাবার হজম হবে।যখন খাবার হজম হয় না তখন ইউরিক অ্যাসিড, কোলেস্টেরল,LDL-VLDL তৈরি হয় এবং এগুলো আমাদের শরীরকে রোগের আবাসস্থল করে তোলে।

পেটে তৈরি এই বিষ বেড়ে রক্তে প্রবেশ করে,তাই হৃদপিণ্ডের ধমনী থেকে রক্ত ​​বের হতে পারে না এবং প্রতিদিন রক্তে আসা সামান্য কিছু বর্জ্য পদার্থ জমা হতে থাকে এবং একদিন এটি ধমনীকে ব্লক করে দেয়,যাকে হার্ট অ্যাটাক বলা হয়।তাই জীবনে আমাদের এই বিষয়টির দিকে মনোযোগ দিতে হবে যে আমরা যা খাচ্ছি তা যেন শরীরে সঠিকভাবে হজম হয় এবং খাবার সঠিকভাবে হজম হওয়ার জন্য পেটের আগুন (জঠরাগ্নি) সঠিকভাবে প্রজ্জ্বলিত থাকতে হবে।কারণ আগুন ছাড়া খাবার হজম হয় না এবং রান্না করা যায় না।

ভারত-চীনকে সরাসরি হুমকি ট্রাম্পের! কী বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট?


প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ৩১ জানুয়ারি: ভারত, চীন-সহ ব্রিকস দেশগুলোকে হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প হুমকির সুরে বলেন, ব্রিকস দেশগুলোর এটা নিট যে, তারা মার্কিন ডলার প্রতিস্থাপন করতে পারবে না। এমনটা করার যদি চেষ্টা হয়, আমেরিকা এই দেশগুলির ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে।


ট্রাম্প বলেন, মার্কিন ডলারকে চ্যালেঞ্জ জানাতে ব্রিকস যদি তাদের নিজস্ব নতুন মুদ্রা চালু করে তাহলে তাদের চড়া মূল্য দিতে হবে। আমেরিকার বাজার থেকে তাদের ছুঁড়ে ফেলা হবে। ট্রাম্প বলেছেন, আমেরিকা দর্শক হয়ে থাকবে না এবং এই হুমকির জবাব দেবে।


সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ট্রাম্প লিখেছেন যে, 'ব্রিকস দেশগুলি মার্কিন ডলারের আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টা করছে। এটা আমরা চুপচাপ দেখব না। যদি ব্রিকস নতুন মুদ্রা তৈরি করে বা অন্য কোনও মুদ্রা সমর্থন করে, তাহলে তাদের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। এমনটা হলে ব্রিকস দেশগুলোর জন্য আমেরিকার বাজারের দরজা বন্ধ হয়ে যাবে।'



ব্রিকস (BRICS)-এর মধ্যে রয়েছে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশ। এই গ্রুপটি মার্কিন ডলারের ওপর বিশ্বব্যাপী নির্ভরতা কমাতে চায়। ব্রিকস দেশগুলো ব্রিকস মুদ্রার সাহায্যে তাদের ব্যবসা শুরু করার পরিকল্পনা করছে। রাশিয়া এবং চীন ইতিমধ্যেই ডলারের পরিবর্তে ইউয়ান এবং অন্যান্য মুদ্রায় ব্যবসা করছে। এখন ব্রিকসের এই নতুন মুদ্রা থেকে আমেরিকার অর্থনৈতিক অবস্থাকে দুর্বল হতে পারে।


 ব্রিকস মুদ্রা থেকে আমেরিকার জন্য কী হুমকি?

 ব্রিকস যদি তার নিজস্ব মুদ্রা চালু করে, তাহলে এটি মার্কিন ডলারের আধিপত্যকে দুর্বল করতে পারে। আমেরিকার বৈশ্বিক শক্তির একটি বড় কারণ ডলারের আধিপত্য। ডলারের পরিবর্তে বিশ্ব যদি ব্রিকস মুদ্রা গ্রহণ করা শুরু করে, তাহলে আমেরিকান অর্থনীতিতে ধাক্কা লেগে যেতে পারে।


চীন ও রাশিয়া ইতিমধ্যেই ডলার থেকে দূরে সরে যাওয়ার কৌশল নিয়ে কাজ করছে। ভারত ও ব্রাজিল তাদের বাণিজ্যে ডলারের পরিবর্তে স্থানীয় মুদ্রার প্রচারের কথা ভাবছে। তবে, আমেরিকার শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত ব্রিকস দেশগুলিকে তাদের মুদ্রা আরও জোরালোভাবে গ্রহণ করতে অনুপ্রাণিত করতে পারে।

উপভোগ করুন মুচমুচে শসার পকোড়া


সুমিতা সান্যাল,৩১ জানুয়ারি: শসা বেশিরভাগ মানুষই স্যালাড হিসেবে খেয়ে থাকেন।এটি ফাইবার সমৃদ্ধ।শসা আমাদের শরীরে জলের অভাব পূরণ করতে সাহায্য করে।অনেকে রায়তা বানিয়েও শসা খেয়ে থাকেন।আজ আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি শসার পকোড়া তৈরির একটি দুর্দান্ত রেসিপি,যেটি সুস্বাদু হওয়ার পাশাপাশি মুচমুচেও।চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে তৈরি করবেন এই পকোড়া।

উপকরণ -

বেসন ১ কাপ,

চালের গুঁড়ো ১ টেবিল চামচ,

২ টি শসা,কুচি করে কাটা,

১ টি পেঁয়াজ,কুচি করে কাটা,  

২ চা চামচ ধনেপাতা কুচি,

৩ টি কাঁচা লংকা,কুচি করে কাটা,

১\৪ চা চামচ জোয়ান, 

১\২ চা চামচ জিরা,

১ চা চামচ তিল,

২ চিমটি হিং, 

১\৪ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো, 

২ টুকরো পাঁউরুটি,

প্রয়োজন মতো তেল,ভাজার জন্য,

স্বাদ অনুযায়ী লবণ। 

প্রস্তুত প্রণালী -

একটি পাত্রে শসা ও পেঁয়াজ কুচি নিন এবং তার উপর কিছু লবণ ছড়িয়ে দিন।তারপর এটি মেখে ১০ মিনিট ম্যারিনেট করার জন্য একপাশে রেখে দিন।

একটি বড় পাত্র নিন এবং এতে পাঁউরুটি এবং তেল ছাড়া বাকি সমস্ত উপকরণ মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন।

এবার একটি প্যান নিন এবং তাতে তেল দিয়ে গরম করে পাঁউরুটির টুকরোগুলো একটু ভেজে নিন এবং এটি তৈরি করা পেস্টে ভালো করে মেখে পকোড়ার আকার দিন।

প্যানে আবার তেল দিয়ে গরম করে তাতে এই পকোড়াগুলো অল্প অল্প করে দিয়ে মাঝারি আঁচে ভাজুন যতক্ষণ না সেগুলি সোনালি ও মুচমুচে হয়।ভাজা হয়ে গেলে গরম-গরম পকোড়া কেচাপ বা পছন্দমতো চাটনির সাথে উপভোগ করুন।

খেয়ে দেখুন সুস্বাদু ভেজ মোগলাই পরোটা


সুমিতা সান্যাল,৩১ জানুয়ারি: বিখ্যাত স্ট্রিট ফুডগুলোর মধ্যে অন্যতম হল ভেজ মোগলাই পরোটা।আজ আমরা বলতে চলেছি এটি তৈরির প্রক্রিয়া,যা দেখে আপনি নিজেই তৈরি করে চেখে দেখতে পারবেন এর স্বাদ।

উপকরণ -

ময়দা ২ কাপ,

লবণ ১\২ চা চামচ, 

বেকিং পাউডার ১\২ চা চামচ,

তেল ২ চা চামচ।

স্টাফিংয়ের জন্য -

তেল ১ চা চামচ,

আদা ১ চা চামচ,গ্রেট করা,

কাঁচা লংকা ২ টি,কুচি করে কাটা,

গাজর ১\২ কাপ,গ্রেট করা,

ক্যাপসিকাম ১\২ কাপ,কুচি করে কাটা,

ফুলকপি ১\২ কাপ,গ্রেট করা,

হলুদ গুঁড়ো ১\৪ চা চামচ,

লাল লংকার গুঁড়ো ১\৪ চা চামচ,

ধনে গুঁড়ো ১ চা চামচ,

জিরা গুঁড়ো ১\২ চা চামচ,

গরম মশলা গুঁড়ো ১\৪ চা চামচ,

আমচুর গুঁড়ো ১\৪ চা চামচ,

ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, 

পনির ১\২ কাপ,গ্রেট  করা,

লবণ স্বাদ অনুযায়ী,

তেল,ভাজার জন্য প্রয়োজন মতো।

ময়দা তৈরির প্রণালী -

একটি পাত্রে ময়দা,লবণ,বেকিং পাউডার এবং তেল দিয়ে ভালো করে মেশান।এবার অল্প অল্প করে জল যোগ করুন এবং পরোটার ময়দার মতো করে ডো বানিয়ে নিন।মাখার পর ঢেকে ১৫-২০ মিনিট রাখুন।

স্টাফিং তৈরির প্রণালী -

একটি প্যানে ১ টেবিল চামচ তেল দিয়ে গরম করার পর আঁচ কমিয়ে দিন এবং এতে আদা,কাঁচা লংকা,গাজর, ক্যাপসিকাম ও ফুলকপি দিয়ে হালকা নাড়তে নাড়তে হলুদ গুঁড়ো,লাল লংকার গুঁড়ো,ধনে গুঁড়ো,জিরা গুঁড়ো,গরম মশলা গুঁড়ো, আমচুর গুঁড়ো,লবণ এবং কিছু ধনেপাতা দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে ২ মিনিট ভাজুন।মনে রাখবেন স্টাফিং বেশি ভাজা উচিৎ নয়,তাহলে এটি শুকিয়ে যাবে এবং পরোটা খেতে ততটা সুস্বাদু হবে না।২ মিনিট ভাজার পর পনির যোগ করে ভালোভাবে মেশান এবং আঁচ বন্ধ করুন।স্টাফিং তৈরি।প্লেটে বের করে ঠাণ্ডা করে নিন।

পরোটা তৈরির প্রণালী -

হাতে কিছুটা তেল নিয়ে ময়দা ভালো করে মেখে নরম করে নিন।তারপর ময়দার গোলা বানিয়ে তাতে কিছু শুকনো ময়দা লাগিয়ে রুটির মতো পাতলা করে বেলতে হবে এবং বেলার  সময় যদি লেগে যেতে থাকে,তাহলে তার ওপর কিছু ময়দা লাগিয়ে আবার বেলতে হবে।

বেলে নেওয়ার পর তাতে ৪-৫ চামচ স্টাফিং রেখে মাঝখানে  ছড়িয়ে দিন।এটিকে চারটি কোণ থেকে ঢেকে দিয়ে বন্ধ করুন এবং একটি বেলনা দিয়ে হালকা করে বেলুন যাতে এটি ভালোভাবে আটকে যায়। 

এবার একটি প্যানে ৩ টেবিল চামচ তেল দিয়ে কম-মাঝারি আঁচে গরম করে এতে পরোটা দিন এবং এটি উভয় দিক থেকে সোনালি-বাদামী হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।সবগুলো পরোটা একইভাবে ভেজে নিন।ভেজ মোগলাই পরোটা তৈরি।গরমাগরম খেয়ে নিন পছন্দের সস বা চাটনি দিয়ে।

খেয়ে দেখুন গরমাগরম কাঁচা কলার কচুরি


সুমিতা সান্যাল,৩১ জানুয়ারি: কচুরি খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার।এটি আমরা সাধারণত সন্ধ্যার টিফিনে খেয়ে থাকি। আপনি কি কখনও কলার কচুরি খেয়েছেন?আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি কলার কচুরি তৈরির পদ্ধতি।এর স্বাদ আপনাদের খুবই ভালো লাগবে।

উপকরণ -

৩ টি কাঁচা কলা,

২ টেবিল চামচ চালের গুঁড়ো, 

১ চা চামচ কাঁচা লংকার পেস্ট,

২ চা চামচ ভাজা চিনাবাদাম,

১\২ কাপ নারকেল কোরা, 

২ চা চামচ কিশমিশ, 

১ টেবিল চামচ ভাজা সাদা তিল, 

১ চা চামচ চিনি, 

১\২ চা চামচ জিরা, 

১\২ চা চামচ লেবুর রস, 

২ চা চামচ ধনেপাতা কুচি, 

স্বাদ অনুযায়ী লবণ,

প্রয়োজন মতো তেল।

প্রস্তুতি পদ্ধতি -

কাঁচা কলা সেদ্ধ করে ঠাণ্ডা হলে ম্যাশ করে নিন।একটি বাটিতে এটি রেখে এতে চালের গুঁড়ো,কাঁচা লংকার পেস্ট,লবণ এবং সামান্য তেল দিয়ে মেশান।এবার এই মিশ্রণটি ভালোভাবে ম্যাশ করে ময়দার মতো মেখে ১ ঘন্টার জন্য রেখে দিন।

একটি পাত্রে নারকেল কোরা,ভাজা জিরা,কাঁচা লংকার পেস্ট, ভাজা চিনাবাদাম,ভাজা সাদা তিল,কিশমিশ,চিনি, লেবুর রস, লবণ এবং ধনেপাতা দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন।স্টাফিং তৈরি।

এরপর কাঁচা কলার ময়দা নিন এবং তা থেকে গোল বল তৈরি করুন।হাতে সামান্য তেল মাখিয়ে নিন এবং হাতের সাহায্যে চেপে চেপে বলগুলো রুটির মতো পাতলা করুন।এর মাঝখানে তৈরি স্টাফিংটি দিয়ে হাতের সাহায্যে চারদিক থেকে বন্ধ করে কচুরির আকারে গড়ে নিন।একইভাবে সব কচুরি প্রস্তুত করুন।

একটি প্যানে তেল দিয়ে গরম করুন।তারপর মাঝারি আঁচে কচুরিগুলি সোনালি-বাদামী হওয়া পর্যন্ত ভেজে এগুলিকে তুলে টিস্যু পেপারে রাখুন যাতে অতিরিক্ত তেল চলে যায়।গরমাগরম  কাঁচা কলার কচুরি প্রস্তুত।সস বা চাটনি দিয়ে খেয়ে নিন।

Thursday, January 30, 2025

নবনীতা এখন অতীত! আবারও নতুন প্রেমে পড়েছেন জিতু কমল, প্রেমিকার সঙ্গে দিলেন ছবি



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ৩০ জানুয়ারি : জিতু কমল এবং নবনীতা দাস, একসময় টলিউডের পাওয়ার কাপল ছিলেন এই জুটি। কিন্তু কয়েক বছর আগেই ভেঙেছে তাদের বিয়ে। জিতুকে ঠকিয়ে নাকি অন্য পুরুষের প্রেমে পড়েছিলেন নবনীতা। সেই কারণেই ভেঙেছিল তাদের বিয়ে। যদিও নবনীতার দাবি ছিল অন্য। তবে সে যাই হোক, জিতু এবং নবনীতার জুটি এখন অতীত। নতুন করে আবারও প্রেমে পড়লেন জিতু কমল। প্রেমিকার সঙ্গে ছবিও দিলেন তিনি। কার সঙ্গে প্রেম করছেন জিতু?



নবনীতার সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙার পর কেটেছে বেশ কয়েকটা বছর। ২০২৩ সালে পাকাপাকি ভাবে নবনীতা এবং জিতুর ডিভোর্স হয়। ওই সময়টাতে খুবই ভেঙে পড়েছিলেন অভিনেতা। তবে নিজেকে সামলে আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। এবার জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করলেন জিতু। আগের সম্পর্ক থেকে আঘাত পেলেও আবার নতুন সম্পর্কে আস্থা রাখলেন জিতু। ফেসবুকে ঘোষণা করলেন তার জীবনের নতুন অধ্যায়ের কথা।


সম্প্রতি ফেসবুকে প্রেমিকার সঙ্গে হাত ধরাধরি করে একটি ছবি দিয়ে জিতু লিখেছেন, “হ্যাঁ ৬ বছর পর আবার প্রেমে পড়লাম।” এই ছবি দেখে বোঝাই যাচ্ছে প্রেমিকার সঙ্গে বরফে ঢাকা পাহাড়ে ঘুরতে গিয়েছেন জিতু। সেই জায়গাটা কাশ্মীর বলেই মনে করছেন নেট নাগরিকরা। কারণ সম্প্রতি জিতু জি বাংলার আসন্ন তোমাকে ভালোবেসে সিরিয়ালের নায়ক হিসেবে আবার টিভি পর্দার কাজ শুরু করেছেন। আর সেই সিরিয়ালের শুটিংয়ের জন্য বর্তমানে গোটা টিম রয়েছে কাশ্মীরে।


কিছুদিন আগে জিতু কমল এবং এই সিরিয়ালের নায়িকা দিতিপ্রিয়া রায় তাদের সোশ্যাল মিডিয়াতে কাশ্মীরের পাহাড়ের দৃশ্য শেয়ার করে নতুন কিছু শুরু করার আভাস দিয়েছিলেন। প্রেমিকাকেও কাশ্মীরে নিয়ে গিয়েছেন জিতু। কে তার নতুন প্রেমিকা? প্রেমিকার সঙ্গে পাহাড়ে ঘোরার ভিডিও শেয়ার করলেও এখনই তার মুখ প্রকাশ্যে আনেননি অভিনেতা। তবুও জিতুর জীবনে যে নতুন করে আবার বসন্তের আগমন হয়েছে এই সুখবর পেয়ে খুশি তার ভক্তরা। তারাও চান অভিনেতা তার জীবনে প্রকৃত ভালবাসার সন্ধান পান।

শীঘ্রই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন এই অভিনেত্রী



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ৩০ জানুয়ারি : শ্বেতা ভট্টাচার্যের পর এবার আয়েন্দ্রী রায়, বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন বাংলা সিরিয়ালের জনপ্রিয় এই খল নায়িকা। পাত্রও কিন্তু বাংলা সিরিয়ালেরই জনপ্রিয় একজন নায়ক। কিছুদিন আগেই তারা প্রেমের খবরে সীলমোহর দিয়েছিলেন। ‌কাকে বিয়ে করছেন আয়েন্দ্রী? তাদের বিয়েই বা কবে? জানাবো আজকের এই প্রতিবেদনে।


আয়েন্দ্রী রায়ের মনের মানুষের নাম নীলাঙ্কুর মুখার্জি। বর্তমানে তিনি স্টার জলসাতে রাঙ্গামতি তীরন্দাজ সিরিয়ালের নায়ক হিসেবে অভিনয় করছেন। বিগতে বেশ কিছুদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়াতে যাদের বিভিন্ন পোস্ট দেখে নেট নাগরিকরা অনুমান করছিলেন যে কিছু একটা চলছে এই দুই অভিনেতার মধ্যে। সম্পর্কের কথা স্বীকার করে নিতেও খুব বেশি দেরি করলেন না আয়েন্দ্রী ও নীলাঙ্কুর। এই বছরই এনগেজমেন্ট সেরে নেওয়ার কথা ভেবেছেন তারা।


আয়েন্দ্রী জানিয়েছেন, “দুই পরিবারই আমাদের সম্পর্ক মেনে নিয়েছে সম্মতি আছে তাদের। ভালো কাজের সুযোগ পেয়েছি কয়েকটা। তারপরই বাগদান সেরে ফেলবো।” অন্যদিকে নীলাঙ্কুর আয়েন্দ্রীর প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বলেছেন, “আয়েন্দ্রী খুবই সংবেদনশীল মেয়ে। ও খুব মেপে এগোচ্ছে। আমাদের সম্পর্কে রসায়ন বিয়ের পরেও একই থাকবে।”


আয়েন্দ্রী ও নীলাঙ্কুরের প্রথম আলাপ হয় যখন আয়েন্দ্রী আলতাফড়িং সিরিয়ালে কাজ করছিলেন। ওই সময় নীলাঙ্কুর ছিলেন কন্যাদান সিরিয়ালে। আসলে তার মায়ের কারণেই এতদিন সম্পর্কের কথা গোপন রেখেছিলেন। কারণ অভিনেত্রীর মা নাকি প্রাচীনপন্থী। কিন্তু এখন তিনি মেয়ের প্রেমের বিষয়টা ভালোভাবেই মেনে নিয়েছেন। এই বছর এনগেজমেন্টটা করে নিয়ে আগামী বছরেই বিয়ের পিঁড়িতে বসার পরিকল্পনা করেছেন আয়েন্দ্রী ও নীলাঙ্কুর। সুখবর পেয়ে তাদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন নেট নাগরিকরা।

বহুদিন পর আবারও ছোটপর্দায় মিঠাই খ্যাত তোর্সা ওরফে অভিনেত্রী তন্বী লাহা রায়



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ৩০ জানুয়ারি : দু’বার বড়পর্দায় তন্বী লাহা রায়। এর আগে রাজা চন্দের ‘আজব প্রেমের গল্প’-তে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, বনি সেনগুপ্তর সঙ্গে তিনি। তন্বীর কপাল মন্দ। অতিমারির কারণে ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়নি। প্রথম সারির ওয়েব প্ল্যাটফর্মে দেখানো হয়েছিল। মঙ্গলবারের টাটকা খবর, ধারাবাহিক ‘মিঠাই’-এর জনপ্রিয়তা ফের ‘তোর্সা’কে পৌঁছে দিতে চলেছে বড়পর্দায়। সৌমজিৎ আদকের নতুন ছবি ‘হৃদয়পুর’-এ সৌরভ দাস, দর্শনা বণিকের সঙ্গে থাকছেন তিনিও। ‘তন্বী’র নতুন রূপ ‘মধুমিতা’, সংক্ষেপে ‘মধু’! ত্রিকোণ প্রেম থেকে ধূসর স্তর— চরিত্রে সব উপাদান রয়েছে। আর রয়েছেন বন্ধু, সহ-অভিনেতা সৌরভ, বন্ধু-পরিচালক সৌমজিৎ। এ সবের আকর্ষণেই অভিনেত্রী রাজি।


বাংলা টেলিভিশনের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী তন্বী লাহা রায়। একাধিক ধারাবাহিকে অভিনয় করলেও মিঠাই ধারাবাহিকের হাত ধরেই খ্যাতি পেয়েছেন তন্বী। সিদ্ধার্থ মোদকের বিশেষ বান্ধবীর চরিত্রে অভিনয় করে খ্যাতি অভিনেত্রী।


প্রথমদিকে ভিলেন হয়ে মিঠাইয়ের বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র বুনেছিল তোর্সা। যদিও পরবর্তীকালে সোমকে বিয়ে করে পজেটিভ চরিত্রে পরিণত হয়। এরপর আর কোনও সিরিয়ালে তাকে দেখা যায়নি। যদিও সিনেমা-ওয়েব সিরিজে কাজ করছেন তন্বী।


  মিঠাই ধারাবাহিকের তোর্সা ওরফে অভিনেত্রী তন্বী লাহা রায় টেলিভিশন জগতের সুপরিচিত মুখ। ‘তুমি রবে নীরবে’, ‘বেনে বউ’, ‘টেক্কা রাজা বাদশা’র মতো একাধিক ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন। তবে ‘মিঠাই’ এনে দিয়েছে তুমুল জনপ্রিয়তা। এই ধারাবাহিকের হাত ধরেই রাতারাতি তার ক্যারিয়ার গ্রাফ পাল্টে যায়।


মিঠাই ধারাবাহিকের পর ছোটপর্দায় দেখা মেলেনি অভিনেত্রী। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভীষণ একটিভ তন্বী। তাকে সকলেই পর্দায় ভীষণ মিস করছেন।


ছোটপর্দার তোর্সাকে আবার কবে সিরিয়ালে দেখা যাবে তা জানা নেই। তবে বহুদিন বাদে আবার ছোটপর্দায় পা রাখলেন তন্বী। সান বাংলায় ‘লাখ টাকার লক্ষ্মী লাভ’-এ খেলতে আসছেন অভিনেত্রী। তার সাথে থাকবেন ছোটপর্দায় কয়েকজন অভিনেত্রী। আজ সন্ধ্যা ৬ টায় সান বাংলার পর্দায় সম্প্রচার হবে সেই এপিসোড।

‘এক সময় বাড়ি ফিরে কাঁদতাম’, ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন কোচবিহারের মেয়ে মৌনী



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ৩০ জানুয়ারি : ছোট পর্দার গন্ডি ছাড়িয়ে এখন বড় পর্দার নায়িকা মৌনী রায়। সাধারণ পরিবারে বড় হয়ে ওঠা মৌনীর ইন্ডাস্ট্রিতে চলার পথ অতটাও সহজ ছিল না। মাত্র ১৯ বছর বয়সেই একতা কপূরের হিট ধারাবাহিক ‘কিউঁকি সাস ভি কভি বহু থি’-তে কৃষ্ণা তুলসী ভিরানির চরিত্রে খ্যাতির স্বাদ পান মৌনী।


তবে জানেন কি ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেই বহু কটাক্ষের শিকার হয়ে হয়েছিল কোচবিহারের মেয়ে মৌনীকে। এমনকি একটা সময় বাড়ি এসে কাঁদতেও হয়েছে তাকে। সম্প্রতি ‘বলিউড বাবল’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেই গল্পই শোনান মৌনী।



মৌনীর কথায়, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেই তাঁকে কেমন দেখতে সেই নিয়ে কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছিল তাকে। এমনকি লোকজন তাঁর রূপ, ফ্যাশন ইত্যাদি নিয়ে তাঁর পিছনে কথা বলতে শুনেছেন তিনি।



এই প্রসঙ্গে মৌনী জানিয়েছেন, ‘আমি সত্যি কথা বলছি যখন আমি শুরু করি, এবং লোকজন তখন কথা বলত, আমি সবসময় শুনেছি, সবসময় জানতামও যে আমি ঘরের সবচেয়ে সুন্দরী মহিলা নই। এবং সেই নিয়ে আমি চিরকালই সন্তুষ্ট। কিন্তু যখন আমি বম্বে এলাম, এখানে অন্যরকম দেখতে হওয়াটা যেন সমস্যা, অর্থাৎ চিরাচরিত নায়িকা সুলভ দেখতে না হওয়াটা।’


তখন তার বয়স সদ্য ১৯। আর সেই বয়সে এতকিছু সম্ভবও ছিল না। মৌনীর কথায়, ‘সেই সমস্ত তখন ১৯ বছরের এক মেয়ের পক্ষে সেসব খুব কঠিন ছিল। আমি বাড়ি ফিরে প্রচণ্ড কান্নাকাটি করতাম। আমি শুনতে পেতাম ঘরে লোকজন আমাকে নিয়ে আলোচনা করছে। আমার প্রথম ২-৩ বছর ছিল শুধু আমাকে কেমন দেখতে এবং কেমন লাগছে।’



মৌনী আরও বলেন, ‘আমি যখন এখানে এসেছিলাম, হঠাৎ করে আমি তখন চুল কীভাবে বাঁধে বা মেকআপ কী করে বা নিজেকে কীভাবে পরিবেশন করতে হয় জানতাম না। কিন্তু সৌভাগ্যবশত আমি খুব ভাল পর্যবেক্ষণ করতে পারতাম এবং ঈশ্বর অবশেষে আমাকে সেই শক্তি দিয়েছিলেন যে ওই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পেরেছি।’বর্তমানে বহু অভিনেতাদের সাথে লিড রোলে কাজ করছেন মৌনী।

নিম ফুলের মধুর পর এবার নতুন প্রোজেক্টে ‘বাবুর মা’ কৃষ্ণা ওরফে অভিনেত্রী অরিজিতা

 


প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ৩০ জানুয়ারি : বাংলা সিরিয়াল অথবা বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী মানেই ছিপছিপে চেহারা, সুন্দরী হতে হয়। এই প্রবাদ যেন যুগের পর যুগ চলে এসেছে ইন্ডাস্ট্রিতে। কিন্তু কে বলে মোটা হলে অভিনেত্রী হওয়া যায়না? এই চিন্তাধারাকেই পাল্টে দিয়েছেন যেসব শিল্পীরা তাদের মধ্যেই একজন হলেন অভিনেত্রী অরিজিতা মুখোপাধ্যায়। যাকে আপনারা জি-বাংলার ‘নিম ফুলের ধারাবাহিকে’ শাশুড়ি মার চরিত্রে অভিনয় করতে দেখতে পারছেন।


 একের পর এক বাংলা ধারাবাহিকে অভিনয় করে দর্শকের মন জিতেছেন অভিনেত্রী অরিজিতা মুখোপাধ্যায়। যাকে দর্শক এই মুহূর্তে ‘বাবুর মা’ কৃষ্ণা হিসাবে বেশি চেনেন। নিম ফুলের মধু ধারাবাহিকে অভিনয় করে অরিজিতার ক্যারিয়ারের গ্রাফ পাল্টে গেছে রাতারাতি।


একাধিক ধারাবাহিকে এবং সিনেমায় অভিনয় করলেও ‘নিম ফুলের মধু’ এনে দিয়েছে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা। তবে আগামী মাসেই শেষ হতে পারে এই ধারাবাহিক। এর মধ্যেই সামনে এলো খুশির খবর। ধারাবাহিক শেষ না হতে হতেই দারুণ সুখবর মিলল ছোটপর্দার কৃষ্ণাকে ঘিরে।



শোনা যাচ্ছে, ফের আবার সৃজিতের ছবিতে থাকতে চলেছেন অরিজিতা মুখোপাধ্যায়। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ছবি ‘এক্স=প্রেম’-এ অভিনয় করেছিলেন। সৃজিতের সঙ্গে এটা তার দ্বিতীয় কাজ হতে চলেছে।



‘হেমলক সোসাইটি’র সিকুয়্যালে আসছে নতুন ছবি ‘কিলবিল সোসাইটি’। যার মুখ্য ভূমিকায় থাকবেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ও কৌশানী মুখোপাধ্যায়।। এই ছবিতে থাকবেন সন্দীপ্তা সেনও। ‘কিলবিল সোসাইটি’ ছবিতেই একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করবেন অরিজিতা মুখোপাধ্যায়। খুব শীঘ্রই তার শুটিং শুরু হবে।

জানেন কি কেন হয় ফেনাযুক্ত প্রস্রাব?


প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,৩০ জানুয়ারি: আপনি যদি অনেক দিন ধরে প্রস্রাবে ফেনা দেখে থাকেন তবে তা উপেক্ষা করার ভুল করবেন না।এটি গুরুতর রোগের লক্ষণ হতে পারে।প্রস্রাব হল এক ধরনের ময়লা যা শরীর থেকে বের হয়।এর সাহায্যে স্বাস্থ্য সম্পর্কে অনেক ধরনের তথ্য পাওয়া যায়।শুধু তাই নয়,অনেক রোগের প্রাথমিক লক্ষণও এতে থাকে।এমন অবস্থায় এতে কোনও ধরনের পরিবর্তন উপেক্ষা করবেন না।

গন্ধ,রং এবং জ্বালাপোড়া ছাড়াও,প্রস্রাবের পরিবর্তনের মধ্যে ফেনা গঠনের সমস্যাও অন্তর্ভুক্ত।তবে প্রস্রাবের তীব্র স্রোতের কারণে কিছু সময়ের জন্য ফেনা তৈরি হওয়া স্বাভাবিক।কিন্তু যদি প্রতিদিন ফেনাযুক্ত প্রস্রাব আসে তবে তা কোনও না কোনও রোগের লক্ষণ হতে পারে।এখানে আমরা এমন কিছু  রোগের কথা বলছি।

কিডনির রোগ -

কিডনি রক্তকে ফিল্টার করে এবং প্রস্রাবের আকারে শরীর থেকে বর্জ্য অপসারণ করে।এই প্রক্রিয়া সঠিকভাবে না ঘটলে, প্রস্রাব ফেনাযুক্ত হতে পারে।প্রস্রাবে খুব বেশি ফেনা কিডনি রোগের লক্ষণ হতে পারে।

উচ্চ প্রোটিন -

শরীরে অতিরিক্ত প্রোটিনের কারণে প্রস্রাবে ফেনা তৈরি হতে থাকে।এই অবস্থাকে প্রোটিনুরিয়া বলা হয়।প্রধানত এই সমস্যাটি গর্ভবতী মহিলাদের,আর্থ্রাইটিস এবং হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে দেখা যায়।

ডায়াবেটিস -

ডায়াবেটিসের কারণে কিডনির কার্যকারিতা নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত হয়।যার কারণে ফেনাযুক্ত প্রস্রাব হয়।এছাড়াও, ইনসুলিনের মাত্রার ওঠানামাও শরীরে প্রোটিনের অত্যধিক উৎপাদনের দিকে পরিচালিত করে,যা ফেনাযুক্ত প্রস্রাবের জন্য দায়ী।

থাইরয়েড -

থাইরয়েডে কোনও সমস্যা হলে তা সরাসরি কিডনির ওপর প্রভাব ফেলে।এমন অবস্থায় থাইরয়েড রোগের ক্ষেত্রে প্রস্রাবে ফেনা দেখা যায়।শুধু তাই নয়,সমস্যা আরও গুরুতর হলে কিডনি বিকল হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। 

কেন মেডিকেল রিপোর্ট রোগীদের উদ্বেগ বাড়িয়ে দেয়?


প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,৩০ জানুয়ারি: সারা বিশ্বে মেডিকেল রিপোর্ট এমনভাবে লেখা হয় যে সাধারণ রোগীরা বুঝতে পারে না,যা তাদের উদ্বেগ বাড়িয়ে দেয়।কারণ এই রিপোর্টগুলি সাধারণত বিশেষজ্ঞ ডাক্তার,যেমন- সার্জন বা ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের জন্য লেখা হয়,রোগীদের জন্য নয়।

মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাঃ ক্যাথরিন ল্যাপেডিস এবং তার সহকর্মীরা সাধারণ প্যাথলজি রিপোর্টগুলি বুঝতে পারে কিনা এবং রোগীদের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা রিপোর্টগুলি তাদের বোঝার উন্নতি করতে পারে কিনা,তা খুঁজে বের করার জন্য একটি গবেষণা পরিচালনা করেছেন।

JAMA জার্নালে প্রকাশিত সমীক্ষা অনুসারে,ডাঃ ল্যাপেডিস বলেছেন যে "রোগী-কেন্দ্রিক প্রতিবেদনে," চিকিৎসা পরিভাষাগুলি সহজ ভাষায় উপস্থাপন করা হয়,যাতে রোগীরা তাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সঠিক তথ্য পেতে পারেন।  উদাহরণস্বরূপ,যখন একটি সাধারণ রিপোর্ট একটি জটিল শব্দ ব্যবহার করতে পারে,যেমন- "প্রস্ট্যাটিক অ্যাডেনোকার্সিনোমা", একটি রোগী-কেন্দ্রিক রিপোর্ট কেবল "প্রস্টেট ক্যান্সার" বলতে পারে।

গবেষণায় ৫৫ থেকে ৮৪ বছর বয়সী ২,২৩৮ জন প্রাপ্তবয়স্কদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল যাদের প্রোস্টেট ক্যান্সারের কোনও ইতিহাস ছিল না।এই লোকেদের একটি অনুমানমূলক পরিস্থিতি দেওয়া হয়েছিল যেখানে তাদের প্রস্রাবের সমস্যার জন্য পরীক্ষা করা হয়েছিল এবং বায়োপসি ফলাফলগুলি তাদের কাছে একটি অনলাইন পোর্টালে পাঠানো হয়েছিল।প্রতিবেদনটি পড়ার পর তাদের উদ্বেগের মাত্রা কী ছিল তাও জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল।

ল্যাপেডিসের গবেষণায় দেখা গেছে যে বেশিরভাগ মানুষ সাধারণ তথ্যও বুঝতে পারে না।সাধারণ রিপোর্ট পড়া মাত্র ৩৯% লোক বুঝতে পারে যে তাদের ক্যান্সার হয়েছ।কিন্তু রোগী-কেন্দ্রিক রিপোর্ট পড়া ৯৩% লোক সঠিকভাবে বুঝতে পেরেছিল যে তাদের ক্যান্সার হয়েছে।

এটি আরও দেখিয়েছে যে রোগীদের উদ্বেগের মাত্রা তাদের প্রকৃত ঝুঁকির স্তরের সাথে মিলেছে।অধ্যয়নের লেখকরা পরামর্শ দেন যে হাসপাতালগুলিকে তাদের প্রক্রিয়াগুলিতে রোগী-কেন্দ্রিক প্রতিবেদনগুলি অন্তর্ভুক্ত করা উচিৎ,যাতে রোগীরা তাদের অবস্থা আরও ভালোভাবে বুঝতে পারে।

কফি মগের রং বদলে দেয় কফির স্বাদ


প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,৩০ জানুয়ারি: দেশ হোক বা বিদেশ, কফি এমন একটি পানীয় যা প্রায় সব জায়গাতেই পান করা হয়।বেশিরভাগ মানুষই কফি পান করতে পছন্দ করেন।চায়ের তুলনায় কফি পান করা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপায়ে উপকারী প্রমাণিত হতে পারে।মানুষ কফি পান করার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি এবং বিভিন্ন রঙের কফি মগ ব্যবহার করে।আপনি কি জানেন যে রঙিন কফি মগ বিভিন্ন স্বাদ প্রদান করে?এই বিষয়ে একটি গবেষণাও করা হয়েছে,যাতে কিছু চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে।আসুন জেনে নেই পুষ্টিবিদ দীপশিখা জৈনের কাছ থেকে কোন রঙের কফি মগ থেকে কী ধরনের স্বাদ পাওয়া যায়।

স্বাদের পার্থক্য কেন?

পুষ্টিবিদদের মতে,লাল রঙের মগে কফি পান করলে এর স্বাদ ভিন্ন হতে পারে।একই সঙ্গে সবুজ বা হলুদ মগে কফি পান করলে এর স্বাদও ভিন্ন হতে পারে।এটি নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি BYK-তে প্রকাশিত হয়েছে।আমরা যদি সহজ ভাষায় বুঝতে পারি,এর সাথে আমাদের মস্তিষ্কের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে।বিভিন্ন রঙের কফি মগের স্বাদে মস্তিষ্ক ভিন্নভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায়।মস্তিষ্ক কফির স্বাদকে মগের সাথে যুক্ত করে।এটা বিশ্বাস করা হয় যে কফি যত বাদামী হয়,মস্তিষ্ক তত বেশি তিক্ত হয়।

কোন স্বাদ কোন রং থেকে আসে?

বিশেষজ্ঞদের মতে,আপনি যদি লাল এবং গোলাপী রঙের মগ থেকে কফি পান করেন তবে এটি আপনাকে মিষ্টি এবং ফলের স্বাদ দেয়।

আপনি যদি সবুজ এবং হলুদ রঙের মগে কফি পান করেন তবে এটি আপনাকে টক স্বাদ দেয়।

আপনি যখন নীল এবং বেগুনি মগ থেকে কফি পান করেন, তখন এটি কিছুটা তিক্ত স্বাদ দিতে পারে।

একই সময়ে,আপনি যখন একটি সাদা মগে কফি পান করেন, তখন এটি কিছুটা শক্তিশালী বা কড়া স্বাদ দিতে পারে।

'সমস্ত পাপ ধুয়ে গিয়েছে', মহাকুম্ভে ডুব দিয়ে বললেন পুনম পান্ডে


প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ৩০ জানুয়ারি: মহাকুম্ভে পুণ্যস্নানের জন্য ভিড় জমাচ্ছেন কোটি কোটি, পুণ্যার্থী। ধনী-গরিব, সাধারণ মানুষ বা সেলিব্রেটি যেই হোন না কেন, সবাই এই শুভ উপলক্ষে স্নান করতে আসছেন। এমনকি, এই সময়ে বলিউডের তারকারাও চুপচাপ মহাকুম্ভে গিয়ে দিব্যস্নান করছেন।


মৌনী অমাবস্যা উপলক্ষে প্রয়াগরাজের কুম্ভ নগরীতে পৌঁছেছেন অভিনেত্রী পুনম পান্ডে। মহাকুম্ভে পৌঁছে যাওয়া পুনম পান্ডে আগেই ঘোষণা করেছিলেন তিনি মহাকুম্ভে যাবেন। সঙ্গম তীরে স্নান সেরে নৌকায় বসে কিছুক্ষণ বিচরণ করেন তিনি। সব ডুব দেওয়ার পরে, তিনি ছবি পোস্ট করে ইন্সটাতে লিখেছেন - 'আমার সমস্ত পাপ ধুয়ে গিয়েছে।'


 পদপিষ্ট হওয়ার পর যা বলেছিলেন 

মৌনী অমাবস্যার রাতে প্রয়াগরাজের সঙ্গমে হুড়োহুড়ি ও পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন পুনম পান্ডে। পুনম পান্ডেও মৌনী অমাবস্যার দিনে স্নান করেন। তিনি তাঁর স্টোরিতে বলেছেন- মৌনী অমাবস্যার দিনে যে দুর্ঘটনা ঘটেছে তা খুবই দুঃখজনক। এখনও এখানে লোকজনের উপস্থিতি, আগের মতোই ভিড়। শক্তি কম হয়ে যাওয়া উচিৎ কিন্তু শ্রদ্ধা হওয়া উচিৎ নয়।



পুনম পান্ডে, তাঁর স্পষ্টভাষী শৈলী এবং সাহসী ভূমিকার জন্য পরিচিত, সঙ্গম তীরে ডুব দেওয়ার সময় মহাকাল লেখা একটি শার্ট পরেছিলেন। সঙ্গমে ডুব দিয়ে হাত জোড় করে প্রার্থনা করছেন পুনম পান্ডে।


অন্য ভিডিওগুলোতে তিনি মেলায় বসে থাকা মানুষের মধ্যে রয়েছেন। সঙ্গম তীরে নৌকায় বসে গঙ্গা-যমুনার ঢেউয়ের মাঝে পাখিদের খাবারও দেনন পুনম পান্ডে। এ সময় তিনি কপালে তিলক লাগিয়েছিলেন। মাথায় কালো স্কার্ফও পরেছিলেন। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে পুনম পান্ডে বলেছিলেন যে, তিনি কুম্ভ স্নান করতে প্রয়াগরাজ যাবেন।

মাথাব্যথা উপশমের জন্য হিং কেন উপকারী?


প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,৩০ জানুয়ারি: মাথাব্যথা একটি সাধারণ সমস্যা যাতে প্রায় প্রতিটি মানুষই কোনও না কোনও সময়ে ভোগেন।এটি মানসিক চাপ, খারাপ জীবনধারা, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস,ঘুমের অভাব বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার কারণে হতে পারে।মাথাব্যথা কেবল দৈনন্দিন জীবনযাত্রাকেই প্রভাবিত করে না,শরীর ও মনকেও ক্লান্ত করে তোলে।এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ঘরোয়া প্রতিকারগুলিকে সবচেয়ে কার্যকর এবং নিরাপদ বলে মনে করা হয়।

মাথাব্যথার চিকিৎসায় হিং খুবই কার্যকর বলে মনে করা হয়।এতে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি,অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ব্যথা উপশমকারী বৈশিষ্ট্য কেবল মাথাব্যথা কমায় না বরং এর পুনরাবৃত্তির সম্ভাবনাও কমায়।হিং পাচনতন্ত্রকে শক্তিশালী করে এবং গ্যাস বা অ্যাসিডিটির কারণে মাথাব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে।এটি অনেকভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।আজ আমরা মাথাব্যথার চিকিৎসায় হিং খাওয়ার কিছু উপায় বলব।  এই বিষয়ে আরও ভালো তথ্যের জন্য লখনউয়ের বিকাশ নগরে অবস্থিত প্রাঞ্জল আয়ুর্বেদিক ক্লিনিকের ডাঃ মনীশ সিংয়ের বক্তব্য জেনে নেওয়া যাক।

মাথাব্যথার চিকিৎসায় হিং কেন কাজ করে?

হিং-এ প্রচুর পুষ্টিগুণ এবং ঔষধি গুণ রয়েছে যা মাথাব্যথা উপশমে সাহায্য করে।

হিং-এ প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে,যা মাথাব্যথা থেকে মুক্তি দেয়।এটি মাইগ্রেন এবং পেটের কারণে মাথাব্যথার জন্য বিশেষভাবে কার্যকর।

হিং-এ উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে,যার ফলে মাথাব্যথার সমস্যা কমে।

হিং পাচনতন্ত্রকে শক্তিশালী করে।গ্যাস এবং অ্যাসিডিটির কারণে মাথাব্যথার ক্ষেত্রে এটি খুবই কার্যকর।

হিংয়ের ব্যথা উপশমকারী বৈশিষ্ট্য স্নায়ুকে শান্ত করে এবং মাথাব্যথার তীব্রতা কমায়।

হিং রক্ত ​​সঞ্চালন উন্নত করে,যা অক্সিজেন সরবরাহ উন্নত করে এবং মাথাব্যথা থেকে মুক্তি দেয়।

হিংয়ের এই গুণাবলী এটিকে মাথাব্যথার জন্য একটি কার্যকর প্রাকৃতিক প্রতিকার করে তোলে।

কিভাবে খাবেন -

হালকা গরম জলের সাথে হিং খান:

হিং খাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হল হালকা গরম জলের সাথে এটি খাওয়া।এক গ্লাস হালকা গরম জলে এক চিমটি হিং মিশিয়ে নিন।  খালি পেটে এটি পান করুন।এই প্রতিকারটি পেটের কারণে মাথাব্যথা থেকে তাৎক্ষণিক উপশম দেয় এবং হজমশক্তি উন্নত করে।

হিং এবং মধুর মিশ্রণ:

মাথাব্যথার উপশমের জন্য হিং এবং মধুর ব্যবহার খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়।আধা চা চামচ মধুতে এক চিমটি হিং মিশিয়ে নিন।সকালে খালি পেটে অথবা মাথাব্যথা হলে এটি খান।এই মিশ্রণ মস্তিষ্কের স্নায়ুগুলিকে শান্ত করে এবং ব্যথা কমায়।

হিং এবং আদা চা পান করুন:

মাথাব্যথার জন্য চায়ে হিং এবং আদা মিশিয়ে পান করা খুবই কার্যকরী।জলে আদা এবং এক চিমটি হিং মিশিয়ে চা তৈরি করে গরম করে পান করুন।এই প্রতিকারটি মাইগ্রেন এবং স্ট্রেসের লক্ষণগুলির কারণে সৃষ্ট মাথাব্যথা কমায়।

খাবারে হিং ব্যবহার -

প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় হিং অন্তর্ভুক্ত করলে মাথাব্যথার সম্ভাবনা কমে।

ডাল,সবজি বা পরোটায় মশলা হিসেবে হিং ব্যবহার করুন।

নিয়মিত এটি খেলে গ্যাস এবং অ্যাসিডিটির কারণে মাথাব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

হিং খাওয়ার সময় প্রয়োজনীয় সতর্কতা -

অতিরিক্ত পরিমাণে হিং খেলে পেটে জ্বালাপোড়া বা অ্যালার্জি হতে পারে।

গর্ভবতী মহিলাদের ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে হিং খাওয়া উচিৎ।

শিশুদের হিং দেওয়ার সময় পরিমাণের দিকে বিশেষ মনোযোগ দিন।

হিং একটি সহজ এবং কার্যকর প্রতিকার,যা প্রাকৃতিকভাবে মাথাব্যথা উপশম করে।সঠিক পরিমাণে এবং পদ্ধতিতে এটি খেলে কেবল মাথাব্যথা থেকেই মুক্তি পাওয়া যায় না এটি হজম এবং চাপ নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।

বি.দ্র: এই বিষয়বস্তু,পরামর্শ সহ, শুধুমাত্র সাধারণ তথ্য প্রদান করে।এটা কোনওভাবেই যোগ্য চিকিৎসা মতামতের বিকল্প নয়। আরও তথ্যের জন্য সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞ বা আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।  প্রেসকার্ড নিউজ এর দায় স্বীকার করে না।

বিমান-হেলিকপ্টার মুখোমুখি ধাক্কায় ১৯ জনের মৃত্যু, মৃতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা


প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ৩০ জানুয়ারি: সেনা হেলিকপ্টার ও যাত্রীবাহী বিমানের ধাক্কায় ১৯ জনের মৃত্যু। ওয়াশিংটন ডিসির রেগান জাতীয় বিমানবন্দরের কাছে মার্কিন সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারের সাথে ধাক্কা খেয়ে পটোম্যাক নদীতে পড়ে যায় একটি যাত্রীবাহী বিমান। এই বিমানে প্রায় ৬৪ জন ছিলেন, যার মধ্যে ৪ জন ক্রু সদস্য ছিলেন। বিএনওর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনার পর ৪ জনকে উদ্ধারও করা হয়েছে। উদ্ধার অভিযানে নদী থেকে ১৯ জনের মরদেহ মিলেছে। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।


আমেরিকান এয়ারলাইন্সের এই বিমানটি উইচিটা, কানসাস থেকে উড়ে ওয়াশিংটন ডিসির দিকে আসছিল। রানওয়েতে অবতরণের সময় সেনার একটি হেলিকপ্টারের সঙ্গে এই বিমানটির ধাক্কা খায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বিমানটি হঠাৎ ডানদিকে কাত হওয়ার পর তাতে আগুন ধরে যায় এবং দ্রুতগতিতে নদীতে পড়ে যায়।



ডিসি পুলিশ স্পষ্ট করেছে যে, মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিপার্টমেন্ট (এমপিডি)-র হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার সাথে জড়িত ছিল না। এমপিডি এই জরুরি পরিস্থিতিতে ত্রাণ ও উদ্ধার কাজে অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা করছে।


ঘটনার সময় উপস্থিত কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী সিএনএনকে বলেন, "যখন বিমানটিকে দেখেছিলাম, তখন এটিকে স্বাভাবিক মনে হয়েছিল। কিন্তু কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই এটি ৯০ ডিগ্রির বেশি কাত হয়ে যায় এবং এর নীচে থেকে স্ফুলিঙ্গ বের হতে থাকে। তারপর হঠাৎ ধাক্কার পর আগুন ধরে যায়।"


দুর্ঘটনার পর, আমেরিকান এয়ারলাইন্সের সিইও রবার্ট আইসো ডিসিএ দুর্ঘটনা সম্পর্কে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, 'দুর্ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন। আমাদের কোম্পানি সব ধরনের সাহায্য প্রদান করতে প্রস্তুত। এর জন্য আপনি আমেরিকান এয়ারলাইন্সের টোল ফ্রি নম্বর ৮০০-৬৭৯-৮২১৫-এ কল করতে পারেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের কলকারীরা অতিরিক্ত ফোন নম্বরের জন্য news.aa.com-এ যেতে পারেন।'