নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা, ১২ জানুয়ারি: ট্যাব দুর্নীতির পর এবারে কন্যাশ্রী প্রকল্পেও দুর্নীতির অভিযোগ। কন্যাশ্রী টাকা আত্মসাৎ, এক বা দু'জন নয় বেশ কয়েকজন ছাত্রীর কন্যাশ্রীর টাকায় গায়েব। এ বিষয়ে কিছুই জানেনা কন্যাশ্রী প্রাপক ছাত্রীরা। তাদের নামে রীতিমতো রয়েছে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট। সবকিছুই ভুয়ো বলে জানান তারা। আর এই গোটা বিষয়টা নিয়েই তোলপাড় স্কুল, আলোচনার শীর্ষে এখন কন্যাশ্রী টাকা। ঘটনাটি ঘটেছে মানিকচক থানার এনায়েতপুর হাই স্কুলে। অভিযোগ, স্কুলেরই সহ-শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ করছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিজেই। এমনকি বিষয়টি জানাজানির পর ১২ জন ছাত্রীদের সাথে নিয়ে সোজা মানিকচক থানার দ্বারস্থ হন প্রধান শিক্ষক। এই নিয়ে মানিকচক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ প্রসঙ্গে বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক বাদিউজ জামান জানান, প্রধান শিক্ষক পদে তিনি আসার আগে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছিলেন সুনন্দ মজুমদার। অভিযোগ, সেই সময়ে তিনি কেটু ফ্রম ফিলাপ করে বিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন ছাত্রীর কন্যাশ্রী টাকা গায়েব করেন। যাদের টাকা পাওয়ার কথা তাদের ইতিমধ্যেই টাকা ট্রান্সফার হয়ে গেছে অ্যাকাউন্টে। এ বিষয়ে ছাত্রীরা কিছুই জানে না।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, প্রত্যেকটি অ্যাকাউন্ট একটি নির্ধারিত রাষ্ট্রায়াত্ত্ব ব্যাংকের রয়েছে। এটা কি করে সম্ভব? বিষয়টি জোরালো তদন্তের স্বার্থে তিনি শনিবার মানিকচক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বিদ্যালয়ের ওই সহ শিক্ষকের বিরুদ্ধে। বিষয়টি যেন প্রকাশে আসে এবং সঠিক বিচার পায় সকলে, সেই আবেদন জানান তিনি।
প্রধান শিক্ষক বাদিউজ জামানের দাবী, বিদ্যালয়ের প্রায় ৪২ জন ছাত্রীর এমন ঘটনা রয়েছে। তবে ১২ জন ছাত্রী অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অন্যদিকে গোটা ঘটনায় অভিযুক্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক সুনন্দ মজুমদারের দাবী, এই ধরণের অভিযোগ সমস্তটাই ভিত্তিহীন। তিনি বলেন, 'বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন ২০১৯ সালে। ঘটনা হয়েছে ২০২১ সালে সেখানে এই ঘটনায় আমার যুক্ত থাকার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। সমস্ত কিছু প্রধান শিক্ষকের অনুমতিতে হয়। আমার হয়ত সিল-সই জাল করে এই ধরণের ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
No comments:
Post a Comment