নিজস্ব প্রতিবেদন, ১০ জানুয়ারি, কলকাতা : ফের চিকিৎসার অবহেলার কারণে রোগীর মৃত্যু। এখন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগটি হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের বিরুদ্ধে। জানা গেছে, বুধবার রাতে সিজার হওয়া বেশ কয়েকজন প্রসূতি বৃহস্পতিবার সকালে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়তে শুরু করেন। গুরুতর অবস্থায় তাদের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
৩ জনকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। শুক্রবার সকালে প্রসবের সময় তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়। নিহতের নাম মামনি রুইদাস। তার স্বামীর দেবাশীষ রুইদাস। বাড়ি গড়বেতা থানা এলাকায়। বাবার বাড়ি কেশপুর থানায়। বুধবার রাতে সিজারে তিনি একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। এর আগে তার একটি মেয়েও রয়েছে। এদিকে, প্রসূতির মৃত্যুর পর মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ভুল স্যালাইন অথবা মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন ব্যবহারের কারণে প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে এবং অন্যান্য প্রসূতি জীবনের সঙ্গে লড়ছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বেশ কয়েকজন চিকিৎসকের একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। এদিকে, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে উত্তেজনার কারণে বিপুল সংখ্যক পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই সন্তান প্রসবের পর একজন মায়ের মৃত্যুতে চরম উত্তেজনা হয়। আসানসোলের রানিগঞ্জে অবস্থিত একটি বেসরকারি হাসপাতালের ঘটনা। হাসপাতালের সামনে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ জানান আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুরা। রাতে পুলিশকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হয়। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনার পর উত্তেজনা কমে যায়। বলা হচ্ছে যে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ শিশুটিকে চিকিৎসা ও যত্নের জন্য ছয় মাস তাদের কাছে রাখবে।
No comments:
Post a Comment