শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় গ্ৰেফতারি পরোয়ানা জারি, হাজির হতে হবে ১২ই ফেব্রুয়ারির মধ্যে - Press Card News

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday, January 6, 2025

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় গ্ৰেফতারি পরোয়ানা জারি, হাজির হতে হবে ১২ই ফেব্রুয়ারির মধ্যে


প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ০৬ জানুয়ারি: বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় গ্ৰেফতারি পরোয়ানা জারি। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) শেখ হাসিনা-সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। এর মধ্যে রয়েছেন শেখ হাসিনার প্রাক্তন প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী এবং পুলিশের প্রাক্তন মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ। এই ওয়ারেন্ট দুটি মামলাল সাথে সম্পর্কিত, যাতে খুন এবং বলপূর্বক গুমের অভিযোগ সামিল। সোমবার এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।‌ 


আইসিটি বিচারপতি এমডি গোলাম মুর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে ট্রাইব্যুনাল ১১ জনকে গ্রেফতারের জন্য প্রসিকিউশনের দুটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেয়। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম দ্য ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনা-সহ ১১ জনকে ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে গ্রেফতার ও আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।



উল্লেখ্য, গত বছর কোটা আন্দোলনের জেরে উত্তাল হয় বাংলাদেশ। সেনাবাহিনী ও বিক্ষোভকারীদের ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যে গত বছরের ৫ আগস্ট নিজের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ভারতে চলে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্টে ছাত্র আন্দোলনের সময় মৃত্যুর অভিযোগ রয়েছে। বাংলাদেশে তাঁর বিরুদ্ধে ২২৫টি মামলা রয়েছে। 


ঢাকা আগেই মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। গত বছর ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনা এবং ৪৫ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল। 


দেশীয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের মতে, শেখ হাসিনা এবং তাঁর সামরিক উপদেষ্টা, সামরিক কর্মী ও অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী কর্তা-সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে নতুন পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তিনি বলেন, 'আদালত বিচার এগিয়ে নিতে চায়।' তিনি আরও বলেন, 'আমরা এটা নিশ্চিত করতে চাই যে, যত দ্রুত সম্ভব বিচার শেষ হোক। কিন্তু এর মানে এই নয় যে, আমরা আইন ভঙ্গ করব বা যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়াই রায় শোনাব।'


শেখ হাসিনাকে এবারও গ্রেফতার না করা হলে তিনি জরিমানা ও গ্রেফতার-সহ অনেক আইনি পদক্ষেপের মুখোমুখি হতে পারেন। একই সঙ্গে তা আদালত অবমাননা বলেও গণ্য হবে। ট্রাইব্যুনাল, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিতে পারে এবং অভিযুক্তের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা এবং ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের মতো পদক্ষেপ করতে পারে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad