উত্তর ২৪ পরগনা: "নমস্কার স্যার/ম্যাডাম, আমি IDFC ব্যাঙ্ক থেকে বলছি", এই কথা থেকে শুরু। এভাবেই একের পর এক সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করে মোটা টাকা আত্মসাৎ। দু'বছর ধরে এইভাবেই চলছে প্রতারণা, তাও আবার বারাসত পুলিশ জেলার নাকের ডগায় শিশিরকুঞ্জ স্টার মলের বিপরীতে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে। এদের খাতায় অসংখ্য ব্যাঙ্কের জাল নথি আছে, এমনকি RBI-এর নথিও জাল করে সাধারণ মানুষকে লোন করিয়ে দেওয়ার নামে মোটা টাকা হাতিয়ে নেওয়া হত দিনের পর দিন।
অবশেষে বারাসত জেলা পুলিশের হাতে গ্রেফতার ৬ জন অভিযুক্ত। যার মধ্যে মূল অভিযুক্ত সুমন দে, নিউব্যারাকপুর থানা এলাকায় বাড়ি। এছাড়াও পূজা বিশ্বাস ( মধ্যমগ্রাম), ঝিলিক দাস (বারাসত), শম্পা দে (বারাসত), শুভ সিংঘ (ঘোলা), সজিব মজুমদা (হাবড়া)।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এই সুমন দে বাড়িটি ভাড়া নিয়ে টেলি কলিং সেন্টার চালাতো। সেখানে ৩৪ জন পুরুষ-মহিলা কাজ করতেন। এদের কাজ ছিল ফোন করে সাধারণ মানুষকে লোনের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের জালে ফাঁসানো এবং পরবর্তীতে মোটা টাকা হাতিয়ে তাদের অ্যাকাউন্টে নিয়ে নেওয়া।
এইদিন (শুক্রবার) বারাসত ময়নায় পুলিশ সুপারের অফিসে সাংবাদিক সম্মেলন করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্পর্শ নিলাঙ্গী জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গতকাল (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় পুলিশ হানা দেয় শিশিরকুঞ্জের ওই টেলি কলিং সেন্টারে। সেই সময় অফিস ভর্তি কর্মীরা কাজে ব্যস্ত। দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্ত সুমন দে সহ আরও ৫ জনকে।
এদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ৪২ টি মোবাইল, যার মধ্যে বেশিরভাগ কিপ্যাড মোবাইল, দুটি ল্যাপটপ, একটি ডেক্সটপ, অসংখ্য ব্যাংঙ্কের জাল নথি এবং বেশ কিছু ডাইরি। আর সেই ডাইরিতেই লেখা রয়েছে কীভাবে কথা বলতে হবে কাস্টমারদের সাথে। অর্থাৎ সুন্দর একটা স্ক্রিপ্ট তৈরি করা হত,সেই স্ক্রিপ্টের মাধ্যামে ফাঁসানো হত একের পর এক সাধারণ মানুষকে। এই ৬ জন ধৃতকে আজ শুক্রবার বারাসত আদালতে পাঠানো হয় পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়ে।
No comments:
Post a Comment