প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৮ জানুয়ারি: বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ভারতের সঙ্গে সে দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে। তিনি ভারতের আশ্রয়ে আছেন। এদিকে ইউনূস সরকার যে কোনও মূল্যে শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরতা চায়। এরই মাঝে মঙ্গলবার ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-সহ আরও ৯৬ জনের পাসপোর্ট বাতিল করেছে বাংলাদেশ। এবারে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে ভারত। সূত্রের খবর, সম্প্রতি তাঁর ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে, যাতে তিনি আগের মতো ভারতে থাকতে পারেন। সূত্রগুলি আরও স্পষ্ট করেছে যে, ভারতে তাঁকে শরণ দেয়নি, কারণ শরণার্থীদের জন্য ভারতে কোনও বিশেষ আইন নেই।
শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ২৩ ডিসেম্বর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি ডিপ্লোম্যাটিক নোট পাঠিয়েছিল। যদিও ভারত সরকার এ বিষয়ে এখনও কোনও ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। ভারতীয় আধিকারিকরা বলছেন, ঢাকা প্রত্যর্পণের জন্য প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেনি।
এদিকে শেখ হাসিনা-সহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। জুলাই মাসে বিক্ষোভ চলাকালে জোরপূর্বক গুম ও খুনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে এই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশের অভিবাসন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর ঘোষণা করেছে যে, শেখ হাসিনা-সহ বাকিদের পাসপোর্টও বাতিল করা হয়েছে।
একই সঙ্গে গত ৬ জানুয়ারি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনাল বাংলাদেশ পুলিশকে শেখ হাসিনা-সহ ১১ জনকে গ্রেফতার করে ১২ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছে।
এদিকে ভারতে শেখ হাসিনার ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। ভারত সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আগেই বলেছে, শেখ হাসিনাকে নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এদিকে, বাংলাদেশের জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের প্রধান বলেছেন, ২০০৯ সালে বাংলাদেশ রাইফেলসের হাতে ৭৪ জনকে খুনের ঘটনায় শেখ হাসিনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে কমিশনের সদস্যরা ভারতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন।
শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। তবে বর্তমানে ভারত কোনও দৃঢ় পদক্ষেপ করছে বলে মনে হচ্ছে না। এখন দেখার বিষয় ঢাকা তাদের দাবী আদায়ে সফল হয় কি না।
No comments:
Post a Comment