প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ০৭ জানুয়ারি: শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ইতিমধ্যেই ভারতের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। এর পাশাপাশি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় গ্ৰেফতারি পরোয়ানাও জারি করা হয়েছে। এই আবহেই এবারে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর পাসপোর্ট বাতিল করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। মঙ্গলবার এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করে ইউনূস সরকার। শেখ হাসিনা ছাড়াও আরও ৯৬ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে। এনাদের বেশির ভাগই আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত নেতা ও ব্যবসায়ী। তাঁদের বিরুদ্ধে জুলাই মাসে বিক্ষোভ চলাকালীন জোরপূর্বক গুম ও খুনের অভিযোগ রয়েছে। এ থেকে স্পষ্ট যে শেখ হাসিনা ভারত ছেড়ে বাংলাদেশের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে গ্রেফতার করা হবে।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (আইসিটি) শেখ হাসিনাসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। এটি ২০২১সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের সময় গুলি চালানোর অভিযোগের সাথে যুক্ত। শফিকুল ইসলাম মুফতির দায়ের করা অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশে আসেন, তখন সেখানে বিক্ষোভ চলছিল। সে সময় শেখ হাসিনার সরকার আন্দোলনকারীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়, যাতে শফিকুল ইসলাম মুফতির ১৭ বছরের ছেলে মারা যায়। এতে আরও অনেক নিরীহ মানুষের মৃত্যু হয়।
জাতীয় নাগরিক সমিতির সদস্য সচিব আখতার হুসাইন বলেন, 'আমরা শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও প্রাক্তন সাংসদ রাম ওবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরী-সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। এই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ঢাকায় অনেক নিরস্ত্র নাগরিককে খুনের অভিযোগ রয়েছে।'
সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, কমপক্ষে ১৭ জন নিহত হয়েছেন। নির্যাতিতরা যাতে ন্যায়বিচার না পায় সেজন্য সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়েছিল। তিনি বলেন, 'ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৭ হাজার লোকের বিরুদ্ধে ৫৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং সেসব অপরাধের অভিযোগ দায়ের করতে আমরা আজ এখানে এসেছি।'
No comments:
Post a Comment