ডেস্ক রিপোর্ট, ১১ জানুয়ারি : ভারতের সাথে উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশ তার সেনাবাহিনীকে আধুনিকীকরণ করতে আগ্রহী। দেশটি অন্যান্য দেশের যুদ্ধজাহাজ, কামান ব্যবস্থা এবং যুদ্ধবিমানের দিকে নজর দিচ্ছে। বাংলাদেশের ইউনূস সরকার তার প্রতিরক্ষা প্রয়োজনে জোটের বিকল্প খুঁজছে। চীন ও পাকিস্তান ছাড়াও, দেশটি সশস্ত্র অস্ত্রের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় দেশগুলির কাছে পৌঁছেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে একজন প্রতিরক্ষা অ্যাটাশে নিয়োগ করেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ বলেছে যে, তারা গত বছর জাপানের সাথে সম্পাদিত নিরাপত্তা চুক্তি বাস্তবায়ন করবে। প্রতিরক্ষা প্রয়োজনে বাংলাদেশ ন্যাটো দেশ ইতালি, তুরস্ক, ফ্রান্স এবং সুইডেনের সাথে যোগাযোগ করছে।
প্রতিরক্ষা খাতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সামরিক-সম্পর্কিত পরিবর্তন সম্পর্কে ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলি থেকে তথ্য পাওয়ার পর দ্য ট্রিবিউন এই তথ্য দিয়ে প্রতিবেদন করেছে।
সূত্রের খবর, ইউনূস সরকার কাউন্টার ইউভি সিস্টেম সহ মার্কিন ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টার কেনার কথা ভাবছে। বিমান বাহিনীর প্রয়োজনে বাংলাদেশ ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিরাপত্তা কাঠামো’-তে যোগদানের পরিকল্পনা করছে। দেশটি চীনা জে-১০ সি কেনার কথাও বিবেচনা করছে।
মজার বিষয় হল, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শিক্ষার্থীদের তীব্র প্রতিবাদের কারণে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য করার পর সামরিক-সম্পর্কিত পরিবর্তনগুলি শুরু হয়েছিল। আরেকটি বড় ঘটনা হল, বাংলাদেশ নৌবাহিনী ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের নৌবাহিনীর সাথে একটি যৌথ মহড়া করবে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বাংলাদেশের ময়মনসিংহে একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে যোগ দেবে। এই মহড়ার মাধ্যমে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ৫৩ বছর পর বাংলাদেশে প্রবেশ করবে।
বাংলাদেশের সেনাবাহিনীও তার নৌবাহিনীর জন্য ১২টি যুদ্ধজাহাজ কেনার কথা ভাবছে। আশা করা হচ্ছে যে চীন এই চুক্তিতে জড়িত হতে পারে, যা ইতিমধ্যেই পাকিস্তানে চারটি সাবমেরিন তৈরি করছে।
No comments:
Post a Comment