প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,২১ জানুয়ারি: থাইরয়েড গ্রন্থি আমাদের শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখার কাজ করে।থাইরয়েডের সমস্যার ক্ষেত্রে, রোগীদের তাদের খাদ্যাভ্যাসের বিশেষ যত্ন নিতে হবে।দুধ পান করা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।কিন্তু থাইরয়েডে এটি পান করা কি ঠিক?স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ গরিমা গোয়েলের কাছ থেকে এই সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
দুধে থাকা পুষ্টিগুণ -
দুধে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম,ভিটামিন ডি,প্রোটিন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান থাকে।এটি পান করলে হাড় মজবুত হয় এবং শরীরে শক্তি যোগায়।
থাইরয়েডের জন্য ক্যালসিয়াম গ্রহণ করলে কী হবে?
থাইরয়েড গ্রন্থি শরীরের ক্যালসিয়ামের মাত্রাকে প্রভাবিত করে।দুধকে ক্যালসিয়ামের খুব ভালো উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়।থাইরয়েডের ওষুধ খাওয়ার পরপরই দুধ পান করলে ওষুধের কার্যকারিতা কমে যেতে পারে।
দুধে আয়োডিন -
দুধে আয়োডিন থাকে,যা থাইরয়েড হরমোন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয়।থাইরয়েডের সমস্যাযুক্ত রোগীদের আয়োডিন নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিৎ।
কম চর্বিযুক্ত দুধ পান করুন -
থাইরয়েড রোগীদের কম চর্বিযুক্ত দুধ পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়।ফুল-ক্রিম দুধে উচ্চ চর্বি থাকে,যা ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।থাইরয়েড রোগীদের ওজন নিয়ন্ত্রণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
দুধ এবং থাইরয়েডের ওষুধের মধ্যে ব্যবধান -
খালি পেটে থাইরয়েডের ওষুধ খাওয়া বাঞ্ছনীয়।দুধ বা যেকোনও দুগ্ধজাত দ্রব্য ওষুধের কার্যকারিতা কমাতে পারে। ওষুধ খাওয়ার কমপক্ষে ২ ঘন্টা পরেই দুধ পান করুন।
দুধের সাথে কোন খাবার খাওয়া উচিৎ নয়?
থাইরয়েড রোগীদের দুধ,সয়াজাতীয় পণ্য,গলগন্ডজাতীয় খাবার এবং উচ্চ চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা উচিৎ।এই খাবারগুলি থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যকারিতার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
থাইরয়েড রোগীরা দুধ পান করতে পারেন।তবে সঠিক সময়, পরিমাণ এবং প্রকারের দিকে মনোযোগ দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বি.দ্র: এই বিষয়বস্তু,পরামর্শ সহ, শুধুমাত্র সাধারণ তথ্য প্রদান করে।এটা কোনওভাবেই যোগ্য চিকিৎসা মতামতের বিকল্প নয়। আরও তথ্যের জন্য সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞ বা আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। প্রেসকার্ড নিউজ এর দায় স্বীকার করে না।
No comments:
Post a Comment