প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ০৬ জানুয়ারি: কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন জাস্টিন ট্রুডো। সোমবার (০৬ জানুয়ারি, ২০২৫) তিনি পদত্যাগের ঘোষণা করেন। সেইসঙ্গে লিবারেল পার্টির নেতার পদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। কানাডার সংবাদপত্র গ্লোব অ্যান্ড মেইলের খবর অনুযায়ী, কানাডার প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত তিনি পদে থাকবেন। দেশের সাংসদদের ক্রমবর্ধমান বিরোধিতার কারণে ট্রুডোকে পদত্যাগ করতে হয়। উল্লেখ্য, জল্পনা ছিল সোমবারেই পদত্যাগ করতে পারেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। আর সেই জল্পনাই সত্যি হল।
ট্রুডো বলেন, "আমি দলীয় নেতা হিসেবে, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগ করছি। দল যখন তার পরবর্তী নেতা নির্বাচন করবে, ততদিন পর্যন্ত পদে বহাল থাকব। গত রাতে আমি লিবারেল পার্টির সভাপতিকে সেই প্রক্রিয়া শুরু করতে বলেছি।"
তিনি আজ অটোয়াতে রিডো কটেজে তাঁর বাসভবনের বাইরে এক সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তবে দলের নতুন নেতা নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত দুটো পদেই বহাল থাকবেন তিনি। জাস্টিন ট্রুডো ২০১৩ সালে লিবারেল নেতা হিসেবে দায়িত্ব নেন। জাস্টিন ট্রুডো ১১ বছর ধরে লিবারেল পার্টির নেতা এবং নয় বছর প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
এ বছরই কানাডায় সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর আগেও তাঁর দলের মধ্যে নেতৃত্ব পরিবর্তনের দাবী ওঠে। তাঁর পদত্যাগের পর নির্ধারিত সময়ের আগেই নির্বাচনের দাবী উঠতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। গত কয়েক মাস ধরে, তাঁর নিজের দলের সাংসদরা, ট্রুডোকে পদত্যাগ করার জন্য চাপ দিয়ে আসছিলেন।
গত মাসে, তাঁর সরকারের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড ট্রুডো সরকারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলে পদ থেকে ইস্তফা দেন। এরপর থেকে তাঁকে ক্রমাগত নিশানা করা হচ্ছিল এবং চাপ এতটাই বেড়ে যায় যে শেষ পর্যন্ত তাঁকে পদত্যাগ করতে হল। জাস্টিন ট্রুডোর মতো তাঁর বাবাকেও নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে হয়েছে। ভারতের বিরুদ্ধে বিষ উগরে দেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তিনি গত দেড় বছর ধরে ভারতবিরোধী এজেন্ডা চালিয়ে তার সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষমতাবিরোধী তরঙ্গকে শান্ত করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁর প্রচেষ্টা বাস্তবায়িত হতে পারেনি।
জাস্টিন ট্রুডো ২০১৫ সাল থেকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি ১০ বছরের কনজারভেটিভ পার্টি শাসনের পরে ক্ষমতায় এসেছিলেন এবং তাঁর মেয়াদের শুরুতে, দেশকে তার উদার অতীতে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য প্রশংসিত হয়েছিলেন। খাদ্য ও বাসস্থানের ক্রমবর্ধমান ব্যয় এবং অভিবাসন বৃদ্ধি সহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ট্রুডো ভোটারদের কাছে অত্যন্ত অজনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন।
No comments:
Post a Comment