প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ১৮ জানুয়ারি : ছত্রপুর জেলায় শৈত্যপ্রবাহ এবং তাপমাত্রার পতন সকলকে বিচলিত করেছে। এই তীব্র ঠান্ডায় শুধু মানুষই নয়, পশুপাখিরাও সমস্যায় পড়ছে। এই ঠান্ডা আবহাওয়া বিশেষ করে গরু এবং বাছুরের জন্য মারাত্মক প্রমাণিত হতে পারে। কিন্তু ছত্রসাল নগরের দিব্যানী ছত্রসাল গৌশালা এই চ্যালেঞ্জের এক অনন্য সমাধান বের করেছে। গরুগুলোকে ঠান্ডা থেকে রক্ষা করার জন্য এখানে রুম হিটার স্থাপন করা হয়েছে। জনসাধারণের সমর্থন এবং স্থানীয় প্রশাসনের প্রচেষ্টার কারণে এই উদ্যোগ সম্ভব হয়েছে।
বিভিন্ন ক্যাম্পাসে গরুর রক্ষণাবেক্ষণ
দিব্যি ছাত্রসাল গোশালা রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো গরু ও বাছুরদের নিরাপদ আশ্রয় প্রদান করে। এই গোশালায় গরু এবং বাছুরের জন্য আলাদা ক্যাম্পাস তৈরি করা হয়েছে:
একক বাছুরের জন্য ক্যাম্পাস: এখানে শুধুমাত্র ছোট বাছুর রাখা হয়।
মা-সন্তান ক্যাম্পাস: এই ধরনের ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে যেখানে গরু এবং তাদের ছোট বাছুর একসাথে থাকতে পারে।
প্রতিবন্ধী গরু ও ষাঁড়ের জন্য ক্যাম্পাস: এই ক্যাম্পাসগুলিতে বিশেষ যত্ন নেওয়া হয়।
রুম হিটার দিয়ে ঠান্ডার সমাধান
গোশালার কর্মীরা জানিয়েছেন, ঠান্ডার কারণে গরু ও বাছুরের অনেক কষ্ট হয়। বিশেষ করে রাতে, তাপমাত্রা দ্রুত কমে যায়, যা তাদের অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
রুম হিটারের ব্যবহার:
জনসাধারণের সহায়তায় গোয়ালঘরে রুম হিটার স্থাপন করা হয়েছে। এগুলো দিয়ে ক্যাম্পাস উষ্ণ রাখা হয়, যাতে প্রাণীরা ঠান্ডা থেকে মুক্তি পায়।
জনসাধারণের সহযোগিতার ভূমিকা:
গোশালাটি মূলত স্থানীয় মানুষ এবং প্রশাসনের সহায়তায় পরিচালিত হয়। রুম হিটার এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থাও একইভাবে করা হয়েছে।
গোশালা প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা
পৌরসভা এবং জনসাধারণের সহায়তায় গত ৩ বছর ধরে এই গোশালাটি পরিচালিত হচ্ছে।
প্রতিষ্ঠা:
দিব্যানী ছাত্রসাল গোশালা শুরু করেছিলেন সরকারি শিক্ষিকা শুভা খারে।
আয়োজক কমিটি:
গোশালাটির উন্নত ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার জন্য, এখন একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, যারা গোশালার দৈনন্দিন কার্যক্রম এবং চাহিদাগুলি দেখাশোনা করে।
গরুর যত্নের জন্য অন্যান্য ব্যবস্থা
রুম হিটার ছাড়াও, ঠান্ডা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য গোশালায় অন্যান্য ব্যবস্থাও নেওয়া হয়:
খাদ্য এবং খাদ্য:
শীতকালে গরুকে উষ্ণতা প্রদানের জন্য পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহ করা হয়।
কম্বল এবং বস্তা:
গরু ও বাছুরদের ঠান্ডা থেকে রক্ষা করার জন্য কম্বল এবং বস্তাও সরবরাহ করা হয়।
বিশুদ্ধ জল:
শীতকালে বিশুদ্ধ ও হালকা গরম জল পানের ব্যবস্থা করা হয়।
জনসাধারণের সহযোগিতার গুরুত্ব
গোশালাটি সফলভাবে পরিচালনায় স্থানীয় জনগণের ভূমিকা প্রশংসনীয়। মানুষ কেবল আর্থিক সাহায্যই করে না, বরং গোশালায় এসে সেবাও করে।
No comments:
Post a Comment