প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ০৫ জানুয়ারি : অ্যান্টার্কটিকার ভোস্টক স্টেশনে ৬ মাস সূর্য ওঠে না। এই সময়ে, দিন এবং রাতের মধ্যে কোনও পার্থক্য থাকে না, এবং পুরো জায়গাটি অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকে। সূর্য না ওঠার কারণে তাপমাত্রা আরও কমে যায়, ফলে এখানে শীত আরও বেড়ে যায়।
ভোস্টক স্টেশন অ্যান্টার্কটিকায় অবস্থিত, যা পৃথিবীর শীতলতম স্থান হিসাবে বিবেচিত হয়। এখানকার পরিবেশ খুবই রূঢ় এবং দুর্গম, এখানকার জীবনযাত্রাকে চ্যালেঞ্জিং করে তুলেছে।
২১ জুলাই ১৯৮৩-এ ভোস্টক স্টেশনে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল -৮৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রা শুধুমাত্র অ্যান্টার্কটিকায় নয়, পৃথিবীতেও সর্বনিম্ন পরিমাপ করা হয়েছে।
ভোস্টক স্টেশনটি অ্যান্টার্কটিকার বরফ অঞ্চলে অবস্থিত, যা সম্পূর্ণরূপে বরফে ঢাকা। এখানকার বরফ এতটাই পুরু এবং ঘন যে কোনও জীবের জন্যই তা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়ায়।
ছয় মাস সূর্যের অনুপস্থিতি এখানে শীতলতা আরও বাড়িয়ে দেয়। এই সময়ের মধ্যে তাপমাত্রা আরও কমে যায়, যা বাইরের কার্যকলাপকে কঠিন করে তোলে।
ভোস্টক স্টেশনের হাওয়া এতই ঠাণ্ডা যে এখানে শ্বাস নিতেও কষ্ট হতে পারে। এই ঠাণ্ডা হাওয়া মানবদেহেও ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে, যার কারণে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ভস্টক স্টেশনের নিচে প্রায় ৪ কিলোমিটার পুরু বরফের স্তর রয়েছে। বরফের এই স্তরের নীচে, লেক ভোস্টক রয়েছে, যা একটি জাদুকরী এবং রহস্যময় স্থান হিসাবে বিবেচিত হয়।
বরফের নিচে লাখ লাখ বছরের পুরনো জীবাশ্ম ও অণুজীব পাওয়া গেছে। এই জীবের অধ্যয়ন বিজ্ঞানীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, কারণ এটি পৃথিবীর প্রাচীন জীবন সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে।
No comments:
Post a Comment