প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,১৯ জানুয়ারি: লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি থাকে।এটি ভিটামিন বি, ক্যালসিয়াম,ফসফরাস,ম্যাগনেসিয়াম,প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেটের মতো পুষ্টিগুণেও সমৃদ্ধ।এই গুণাবলীর কারণে অনেকেই লেবু খান।কিন্তু আপনি কি জানেন যে রাতে বালিশের কাছে লেবু রেখে ঘুমানোরও অনেক উপকারিতা রয়েছে?
সাধারণত লেবু নিয়ে ঘুমানো কুসংস্কার বা টোটকার সাথে জড়িত।কিন্তু এটি সেরকম নয়।এর অনেক বৈজ্ঞানিক ও স্বাস্থ্যগত উপকারিতাও রয়েছে।আজ আমরা এর সুবিধাগুলি একবার দেখে নেব।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে:
নিম্ন রক্তচাপের রোগীদের রাতে বালিশের কাছে দুটি লেবুর টুকরো রেখে ঘুমানো উচিৎ।এতে তারা সকালে সতেজ বোধ করবে।লেবুর গন্ধ শরীরে সেরোটোনিনের মাত্রা বাড়ায় যা নিম্ন রক্তচাপের রোগীদের জন্য উপকারী।
মনকে শান্ত রাখে:
যদি আপনার মন সবসময় অস্থির থাকে এবং ক্লান্তি বা উত্তেজনার কারণে আপনি ঘুমাতে না পারেন,তাহলে ঘুমানোর আগে একটি লেবু দুই টুকরো করে বালিশের কাছে রাখুন। এতে উপস্থিত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান আপনার মনকে শান্ত করতে কাজ করবে।এটি আপনাকে ভালো ঘুমাতে সাহায্য করবে।
শ্বাসকষ্টের উপশম:
নাক বন্ধ হওয়া বা শ্বাসকষ্ট একটি সাধারণ সমস্যা।এর থেকে মুক্তি পেতে ঘুমানোর সময় বালিশের কাছে এক টুকরো লেবু রাখুন।এর সুগন্ধ শ্বাসকষ্টের সমস্যায় উপশম দেবে।এর সাথে সাথে আপনি গভীর এবং সুন্দর ঘুমও পাবেন।
মশা এবং মাছি থেকে মুক্তি পাবেন:
রাতে ঘুমানোর সময় যদি মশা,মাছি বা অন্যান্য পোকামাকড় আপনাকে বিরক্ত করে,তাহলে লেবুর টুকরো কেটে ঘরের চার কোণে রাখুন।এর সাথে বিছানাতেও কিছু লেবুর টুকরো রাখুন। আপনি কোনও ঝামেলা ছাড়াই শান্তিতে ঘুমাতে পারবেন।
অনিদ্রা থেকে মুক্তি:
যদি আপনার অনিদ্রা বা কম ঘুমের সমস্যা হয়,তাহলে রাতে এক টুকরো লেবু নিয়ে ঘুমানোর মাধ্যমেও এটি নিরাময় করা যেতে পারে।লেবুর সুগন্ধ আপনার ক্লান্তি এবং উত্তেজনা কমাতে সাহায্য করবে এবং আপনাকে শান্তিপূর্ণ ঘুম দেবে।
হাঁপানি বা ঠাণ্ডা লাগা থেকে মুক্তি:
লেবুতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে।যদি হাঁপানি বা ঠাণ্ডার কারণে আপনার শ্বাসকষ্ট হয়, তাহলে বিছানায় লেবু নিয়ে ঘুমালে শ্বাসনালী ভালোভাবে খুলে যায়।এটি আপনাকে শ্বাসকষ্টের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
বি.দ্র: এই বিষয়বস্তু,পরামর্শ সহ, শুধুমাত্র সাধারণ তথ্য প্রদান করে।এটা কোনওভাবেই যোগ্য চিকিৎসা মতামতের বিকল্প নয়। আরও তথ্যের জন্য সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞ বা আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। প্রেসকার্ড নিউজ এর দায় স্বীকার করে না।
No comments:
Post a Comment