প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৫ জানুয়ারি: মহারাষ্ট্রের পুনেতে এক রহস্যময় রোগের থাবা। এ পর্যন্ত ৭৩ জন এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। পুনের তিনটি হাসপাতাল এ বিষয়ে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেছে। এই রোগটি নবজাতক শিশুদেরও প্রভাবিত করছে। মহারাষ্ট্র সরকার এই রোগ সম্পর্কে সতর্ক, অন্যদিকে বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পৌঁছেছে। জানা গেছে, এই রোগটি হল গুইলেন-বের সিনড্রোম (জিবিএস)। এই সিন্ড্রোম মানুষের ইমিউন সিস্টেমকে লক্ষ্য করে। তবে, স্বস্তির বিষয় হল এই রোগের চিকিৎসা করা যায়।
তথ্য অনুসারে, পুনের স্থানীয় গোষ্ঠীর প্রতি মাসে এক বা দুটি জিবিএস রোগী আসে। কিন্তু গত এক সপ্তাহে জিবিএস আক্রান্ত ১৪ রোগীকে ভেন্টিলেটরে রাখতে হয়েছে। এর পরে মহারাষ্ট্র স্বাস্থ্য বিভাগকে সতর্ক করা হয় এবং ঘরে ঘরে সমীক্ষা শুরু করা হয়। এ সময় সেখানে কোনও জিবিএস রোগী আছে কিনা তা জানার চেষ্টা করা হয়। পাশাপাশি জনসচেতনতার প্রচারও করা হয়। দুই দিনে পৌর ও জেলা স্বাস্থ্য কর্মীরা প্রায় ৭২০০ বাড়ি জরিপ করেছেন। টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, এপিডেমিওলজি বিভাগের যুগ্ম পরিচালক ডাঃ ববিতা কমলপুরকর বলেন, জরিপ চলাকালীন মানুষের কাছে রোগের লক্ষণ সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হয়েছে। জিবিএস-এর লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের অসাড়তা এবং দীর্ঘ সময় ধরে ডায়রিয়া।
এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্যাথোজেনিক ব্যাকটেরিয়া ক্যাম্পাইলোব্যাক্টর জেজুনি জিবিএসের জন্য দায়ী। এই রোগ মানুষের ইমিউন সিস্টেমকে আক্রমণ করে। বিভিন্ন হাসপাতালে রোগীদের মল পরীক্ষায় একই ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে। ডাক্তারদের উদ্বেগও বেড়েছে কারণ রোগীদের মধ্যে একটি আট বছরের শিশু এবং একটি নবজাতক শিশুও রয়েছে।
বিষয়টি আমলে নিয়েছে কেন্দ্র
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সেন্ট্রাল সার্ভিল্যান্স ইউনিট (CSU) পুনেতে GBS-এর ক্রমবর্ধমান কেসগুলিকে বিবেচনা করেছে। এর পর স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে সাহায্য করার জন্য চিকিৎসকদের একটি দল পুনে পাঠানো হচ্ছে। চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন হাসপাতাল প্রস্তুত করা হচ্ছে। ১৬ জিবিএস রোগী সসুন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মোট ৭৩ জন রোগীর মধ্যে ৪৪ জন পুনে গ্রামীণ, ১১ জন পুনে কর্পোরেশন এলাকার বাসিন্দা এবং ১৫ জন পিম্পরি-চিঞ্চওয়াড মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন বেল্টের বাসিন্দা। রোগীর সংখ্যা সর্বাধিক ১৪ জন কিরকিটওয়াড়ি থেকে, ৮ জন ডিএসকে বিশ্ব থেকে, ৭ জন নান্দেড সিটি থেকে, ৬ জন খড়কওয়াসলা থেকে। রোগীদের বয়স সম্পর্কে কথা বললে, তিনজন রোগীর বয়স পাঁচ বছরের নিচে, ১৮ রোগীর বয়স ছয় থেকে ১৫ বছরের মধ্যে এবং ৭ রোগীর বয়স ৬০ বছরের বেশি।
No comments:
Post a Comment