নিজস্ব প্রতিবেদন, ০৬ জানুয়ারি, কলকাতা : বেঙ্গালুরুতে ৩ থেকে ৮ মাস বয়সী শিশুদের এইচএমপিভিতে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পরে আহমেদাবাদে ২ বছরের এক শিশুর আক্রান্ত হওয়ার খবর আসে। এখন কলকাতাতেও। কলকাতায় ৬ মাস বয়সী এক শিশু এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাকে বাইপাসের পাশে অবস্থিত একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সূত্রের খবর, চিকিৎসার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সুস্থ আছে শিশুটি।
বেঙ্গালুরুতে যে দুটি শিশু পজিটিভ পাওয়া গেছে তাদের কোনও ভ্রমণের ইতিহাস নেই। তাই বিষয়টি নিয়ে আরও চিন্তিত হয়ে পড়েছে কর্ণাটক প্রশাসন। তবে রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রক স্পষ্ট করে দিয়েছে যে এই ভাইরাসের সঙ্গে চীনের কোনও সম্পর্ক নেই। কলকাতার ঘটনার ক্ষেত্রেও তাই অনুমান করা যায়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মুম্বাইয়ের বাসিন্দা ওই শিশুটি ডিসেম্বরে বাবা-মায়ের সঙ্গে কলকাতায় এসেছিল। তখন হাঁচি, কাশি, গলা ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। তারপর ১০-১২ দিন ধরে তার চিকিৎসা চলে। এখন খবর হচ্ছে সে সুস্থ হয়ে মুম্বাই ফিরেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইনফ্লুয়েঞ্জা, কোভিড-১৯ যেভাবে ছড়ায় ঠিক সেভাবেই এই ভাইরাস ছড়ায়। কাশি বা হাঁচির জীবাণু থেকে হোক বা রোগীর কাছাকাছি আসা, হাত মেলানো, আক্রান্ত স্থান স্পর্শ করা ইত্যাদি। কর্ণাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন যে HMPV ইতিমধ্যেই উপস্থিত রয়েছে। এটা নতুন কোনও ভাইরাস নয়। তাই আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই।
এই ভাইরাসটি ২০০১ সালে প্রথম সনাক্ত করা হয়েছিল। এই ভাইরাস প্রধানত শ্বাসযন্ত্রের ক্ষতি করে এবং গুরুতর শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে। এটি শিশু বা প্রাপ্তবয়স্ক যে কোনও বয়সের মানুষকে অল্প সময়ের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা রাখে। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের জন্য এই ভাইরাস বিশেষভাবে ক্ষতিকর।
No comments:
Post a Comment