প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ০৬ জানুয়ারি: কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো তাঁর পদ ছাড়তে চলেছেন। দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেইল পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাস্টিন ট্রুডো সোমবার (৬ জানুয়ারি) পদত্যাগ করতে পারেন। লিবারেল পার্টির মধ্যে ক্রমবর্ধমান বিরোধ এবং সদস্যদের তরফে তার ওপর চাপের কারণে ট্রুডো এই বড় পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেইলের মতে, লিবারেল পার্টির অভ্যন্তরে অসন্তোষ ও দ্বন্দ্ব বাড়ছে। এ বিষয়ে লিবারেল পার্টির অভ্যন্তরীণ বিষয়ে জ্ঞান থাকা তিনটি বিশিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ট্রুডো পদত্যাগের ঘোষণা দিতে পারেন। এর পর বুধবার (৮ জানুয়ারি) ন্যাশনাল লিবারেল পার্টির পার্লামেন্টারি পার্টির বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যার আগেই ট্রুডোর পদত্যাগের ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে।
ক্ষমতায় ট্রুডোর প্রবেশ এবং নির্বাচনী যাত্রা
জাস্টিন ট্রুডো ২০১৫ সালে প্রথম নির্বাচনে জয়ী হয়ে কানাডার ক্ষমতায় আসেন। এর পরে, তিনি ২০১৯ এবং ২০২১ সালেও লিবারেল পার্টিকে বিজয়ী করেন। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে, জনমত জরিপ অনুসারে, ট্রুডো তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টির নেতা পিয়েরে পয়লিভের থেকে ২০ পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছেন। এই পতন তাঁর রাজনৈতিক দখলে একটি বড় দুর্বলতা প্রতিফলিত করে।
লিবারেল পার্টির সদস্যরা মনে করেন, এখন জাস্টিন ট্রুডোর নেতৃত্বে দলটির জন্য আগামী নির্বাচনে জেতা কঠিন। দলের অভ্যন্তরে তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে এবং এই ক্ষোভের ফলে সাংসদরা প্রকাশ্যে তাঁর বিরোধিতা শুরু করেছেন। কিছুদিন আগে তাঁকে সরানোর জন্য স্বাক্ষর অভিযানও চালানো হয়। এ সময় ট্রুডোকে অনেক কঠিন প্রশ্ন করা হয়। এ কারণে তিনি পদত্যাগের জন্য চাপের মুখে রয়েছেন।
তবে লিবারেল পার্টি নতুন নেতা না পাওয়া পর্যন্ত ট্রুডো অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী থাকবেন কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। দলের ক্রমাগত অবনতি বিবেচনায় এটা সম্ভব যে, শীঘ্রই তিনি পদত্যাগ করতে পারেন। লিবারেল পার্টির অনেক নেতা ও সাংসদরা মনে করেন, ট্রুডো পদত্যাগ না করলে আগামী নির্বাচনে দলকে পরাজয়ের মুখে পড়তে হতে পারে।
জাস্টিন ট্রুডো পদত্যাগ করলে, লিবারেল পার্টিকে এমন একজন নতুন নেতার সন্ধান করতে হবে, যিনি দলকে পুনঃসংগঠিত করতে পারেন এবং জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারেন। একইসঙ্গে কনজারভেটিভ পার্টির পিয়েরে পোইলিভের আগামী নির্বাচনে নিজের অবস্থান শক্ত করার সুযোগ পাবেন। কানাডার রাজনৈতিক পরিস্থিতি খুবই আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে এবং জাস্টিন ট্রুডোর পদত্যাগ এ দিকে নতুন মোড় নিয়ে আসতে পারে।
No comments:
Post a Comment