নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ১৭ জানুয়ারি: পোষ্য কুকুরের মাংস কেটে খাসির বলে বিক্রি করতে গিয়ে ধৃত এক ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের রামসাই গ্রাম পঞ্চায়েতের পানবাড়ি এলাকায়। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তর নাম সুদীপ রায়। তার বাড়ি রামসাই-এর হাতিপোতা এলাকায়। এদিন হাটে বিক্রির জন্য নিয়ে আসা মাংসের আকৃতি দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয় কয়েকজনের। কেটে রাখা মাংসের পাশে কুকুরের একটি ছাল এবং সুদীপের ব্যাগ থেকে কুকুরের দেহাংশও পাওয়া যায় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে ব্যাপক হইচই পড়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ময়নাগুড়ি খানার পুলিশ এবং তাকে আটক করে। অভিযুক্ত মানসিক ভাবে সুস্থ কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, এদিন ছিল পানবাড়ির সাপ্তাহিক হাট। হাটেরই এক প্রান্তে সুদীপ মাংস বিক্রি করছিল। এর আগেও তার পোষ্য কুকুর নিয়ে তাকে হাটে আসতে দেখা গিয়েছে বলে জানান স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। বৃহস্পতিবার সে হাটে মাংস বিক্রি করা শুরু করে। তবে তার বিক্রির জন্য মাংসের আকৃতি দেখে এবং মাংসের পাশে রাখা কুকুরের ছাল দেখে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের সন্দেহ হয়। তাকে ঘেরাও করে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও সুদীপ জোর দিয়েই জানায় এটা খাসির মাংস। অভিযোগ, এরপর তার ব্যাগে তল্লাশি চালাতেই সেখান থেকে কুকুরের দেহাংশও পাওয়া যায়। কুকুরের একটি ছালও মাংসের পাশেই রাখা ছিল।
স্থানীয়দের সন্দেহ নিজের পোষ্যকে কেটেই খাসির মাংস বলে তা বিক্রি করছিল অভিযুক্ত। এর পরেই পুলিশে খবর দেন সেখানকার ব্যবসায়ীরা। ঘটনাস্থলে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ পৌঁছায় এবং কুকুরের মাংস বিক্রির অভিযোগে সুদীপকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
পানবাড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক কিরেন্দ্র নাথ রায় বলেন, "অমানবিক ঘটনা ঘটিয়েছে অভিযুক্ত।" ওই ব্যক্তির কঠোর শাস্তির দাবী তিনি করেন। ময়নাগুড়ি থানার আইসি সুবল ঘোষ বলেন, ওই ব্যক্তি মানসিক ভাবে সুস্থ কিনা তা দেখা হচ্ছে। বামাল সমেত তাকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। অন্যদিকে, পশুপ্রেমী সংগঠন ওই ব্যক্তির চিকিৎসার দাবী তোলেন।
No comments:
Post a Comment