প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,৫ জানুয়ারি: ডায়াবেটিস থেকে শুরু করে ক্যান্সার পর্যন্ত রোগ শুধুমাত্র চোখের মাধ্যমেই শনাক্ত করা যায়।এই সমস্যাটি প্রায়ই একটি গুরুতর রোগের প্রাথমিক লক্ষণ।চোখ শুধু পৃথিবী দেখার মাধ্যমই নয়,স্বাস্থ্যের ইঙ্গিতও দেয়।চোখে দেখা যায় এমন কিছু সাধারণ লক্ষণ শরীরের গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার সাথে সম্পর্কিত হতে পারে।
ডায়াবেটিস,হৃদরোগ,উচ্চ রক্তচাপ,এমনকি ক্যান্সারের মতো রোগের প্রাথমিক লক্ষণ প্রায়শই চোখে দেখা যায়।আজ আমরা চোখের সম্পর্কিত এমন কিছু লক্ষণ সম্পর্কে বলছি, যেগুলি সময়মতো শনাক্ত করা মারাত্মক রোগ প্রতিরোধ করতে পারে।
ডায়াবেটিস -
উচ্চ রক্তে শর্করার কারণে রেটিনার রক্তনালীগুলি ফুলে যায় এবং ক্ষতি হতে পারে,যাকে ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি বলা হয়।এই অবস্থায় ব্যক্তির দৃষ্টি ঝাপসা হতে থাকে।চিকিৎসা না করলে সম্পূর্ণ অন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে।এই ধরনের পরিস্থিতিতে হঠাৎ চোখ ঝাপসা হয়ে যাওয়া,দৃষ্টিশক্তি পরিবর্তন বা চোখে দংশন সংবেদনের মতো লক্ষণগুলির দিকে মনোযোগ দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
উচ্চ রক্তচাপ -
দীর্ঘায়িত উচ্চ রক্তচাপের ক্ষেত্রে চোখের রক্তনালীগুলি প্রভাবিত হতে পারে,যার কারণে রেটিনাল ভেসেলসে পরিবর্তন শুরু হয়।এর ফলে দৃষ্টি ঝাপসা,দৃষ্টিশক্তির পরিবর্তন এবং কখনও কখনও মাথাব্যথা বা চোখে জ্বালা হয়।
কোলেস্টেরল -
রক্তনালিতে নোংরা চর্বিযুক্ত কোলেস্টেরল বৃদ্ধির লক্ষণও চোখে পড়ে।এর কারণে চোখের চারপাশে হলুদ রঙের পিন্ড দেখা যায় এবং চোখের আইরিসের চারপাশে নীল বা বাদামী রিং দেখা যায়।
ক্যান্সারের লক্ষণ -
হঠাৎ চোখে দাগ দেখা,চোখ লাল হয়ে যাওয়া বা চোখের চারপাশ ফুলে যাওয়া শরীরে ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। চোখের মধ্যে টিউমার বা ম্যালিগন্যান্ট কোষের কারণে দৃষ্টিশক্তির আকস্মিক পরিবর্তন ঘটতে পারে।চোখের এক অংশে অন্ধকার বা অস্পষ্টতা বা সাধারণ দৃষ্টিতে অসমতা ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগের লক্ষণ হতে পারে।
একাধিক স্ক্লেরোসিস -
মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস একটি স্নায়বিক ব্যাধি যা দৃষ্টিশক্তিকে প্রভাবিত করতে পারে।এই অবস্থায় চোখের পেশী এবং স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়,যাতে ঝাপসা দৃষ্টি এবং ব্যথা হতে পারে।কখনও কখনও এটি চোখে ব্যথা বা উজ্জ্বল আলোর প্রতি সংবেদনশীলতা সৃষ্টি করে।
থাইরয়েড সমস্যা -
থাইরয়েডের সমস্যাও চোখকে প্রভাবিত করতে পারে।এর ফলে চোখে ফোলাভাব,জ্বালা এবং ঝাপসা দৃষ্টির মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে।এই উপসর্গগুলো সময়মতো শনাক্ত করা বিশেষ করে মহিলাদের জন্য খুবই উপকারী বলে প্রমাণিত হয়।কারণ থাইরয়েড রোগের কারণে প্রজনন সমস্যা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
No comments:
Post a Comment