প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১১ জানুয়ারি : জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি আমেরিকার আগুন নিয়ে বড় বক্তব্য দিয়েছেন। মুফতি লস অ্যাঞ্জেলেসের বনাঞ্চলে এই বিশাল অগ্নিকাণ্ডকে গাজার যুদ্ধের সাথে যুক্ত করেছেন। তিনি বলেন, "এই ট্র্যাজেডি দেখায় যে যখন কারও বাড়ি এবং জীবন ধ্বংস হয়ে যায় তখন তা কতটা দুঃখজনক। গাজার ধ্বংসযজ্ঞে এমনকি বড় বড় ব্যক্তিত্বরাও দুঃখিত ছিলেন। এই ট্র্যাজেডির ফলে গাজায় যে ধ্বংসযজ্ঞ ঘটেছে তা নিয়ে ভাবা গুরুত্বপূর্ণ।"
পিডিপি প্রধান বলেন, "এখন গাজার যন্ত্রণা গভীরভাবে বোঝা যাবে।" মেহবুবা বলেন, "আরও ভালো প্রতিরোধ ব্যবস্থা থাকলে আগুন এড়ানো যেত।" তিনি বলেন, "গাজার ধ্বংসযজ্ঞ ইজরায়েলি সরকারের কর্মকাণ্ডের ফল। যারা ধ্বংসযজ্ঞ দেখেছেন তারা এখন গাজার যন্ত্রণা গভীরভাবে বুঝতে পারবেন। ঘরবাড়ি এবং জীবন ধ্বংস হয়ে গেলে যে যন্ত্রণা আসে।"
মেহবুবা বলেন, "আমেরিকার আগুন গাজা পোড়ানোর ফলাফল। আমেরিকা গাজায় হাসপাতাল এবং শরণার্থী শিবির পুড়িয়ে দিয়েছে। আমেরিকার এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড পরিবেশগত অবহেলার পরিণতির একটি কঠোর স্মারক।" আসলে, এটি সোশ্যাল মিডিয়ায় আমেরিকার বিরুদ্ধে মেহবুবার ক্ষোভ।
লস অ্যাঞ্জেলেসের বনের আগুন আমেরিকায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ঘটিয়েছে। এখন পর্যন্ত ১১ জন মারা গেছেন। হাজার হাজার ভবন ছাই হয়ে গেছে। এই ধ্বংসযজ্ঞের ফলে আমেরিকার কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। গত ৪ দিন ধরে জ্বলন্ত এই আগুন প্রায় ৪০ হাজার একর জমি জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। ২৯ হাজার একর এলাকা সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। অনেক অভিনেতা এবং রাজনীতিবিদদের বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানলে কমপক্ষে ১০,০০০ বাড়ি পুড়ে গেছে। শুধুমাত্র লস অ্যাঞ্জেলেস প্যালিসেডসে ৫,৩০০ টিরও বেশি বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। ৬০ হাজারেরও বেশি ভবন এখনও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
গাজায় ১৫ মাসের ধ্বংসযজ্ঞে ৪০ হাজারেরও বেশি হামলা হয়েছে। ৪৬,০০০ এরও বেশি বেসামরিক লোক নিহত হয়েছিল। আহত হন প্রায় ১ লক্ষ মানুষ। ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ হয়েছে। হাজার হাজার ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। ২১ লক্ষ জনসংখ্যার গাজায় ৯০ শতাংশ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে। ৭ অক্টোবর ২০২৩ সালের হামলার পর, গাজায় ইজরায়েল আক্রমণ চালায়।
No comments:
Post a Comment